কাবা শরিফ যেহেতু বিশ্ব মুসলিমের তীর্থস্থান সেহেতু এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বও বিশ্ব মুসলিমের হাতেই থাকা উচিত। এ দায়িত্ব ওআইসি নিক কিংবা প্রয়োজনে নতুন একটি সংস্থা তৈরি করে তার হাতে এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া উচিত। আরবে অবস্থিত বলেই এর কর্তৃত্ব আরবদের হাতে থাকতে হবে এমন নিয়ম থেকে সরে আসা প্রয়োজন।
সৌদি সরকারের বেধে দেয়া শর্তে হজ্জ্বব্রত পালন করতে হবে। তারা দেশ অনুযায়ী হজ্জ্বব্রত পালনের সংখ্যা বেধে দেবে আর সেটা মেনেই সারা বিশ্বের মানুষকে হজ্জ্ব পালন করতে হবে; কেন? ইসলামের বিধান অনুযায়ী সামর্থ্যবানের জন্য হজ্জ্ব ফরয অথচ সামর্থ্য এবং ইচ্ছে থাকার পরেও সৌদি সরকারের ইচ্ছের উপর মির্ভর করে কতজন মানুষ হজ্জ্বব্রত পালন করতে পারবে। এটা কি ইসলামের বিধানকে লংঘন করছে না?
তা ছাড়া সৌদি সরকার হাজিদের নিরাপত্তা বিধানে যে ততটা আন্তরিক ছিল না তার সব থেকে বড় প্রমাণ ক্রেন উলটে হাজিদের মৃত্যু। হজ্জের এই সময় ওখানে ক্রেনটি রাখা হল কেন? এটা কি অব্যস্থাপনা নয়? মিনায় প্রতিবছর হাজিরা শয়তানকে পাথর ছুড়তে যান এবারে কেন এত সংখ্যক লোক পদদলিত হয়ে মারা গেল? এর থেকে চরম অব্যবস্থাপনার চিত্রই ফুটে ওঠে। আর এ সব কারণেই সারা বিশ্বের মুসলমানদেরই এ বিষয়ে দাবী করা দরকার। যাতে পবিত্র হজ্জ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্ব মুসলিমের হাতে ছেরে দেয়া হয়।
যাতে হজ করতে ইচ্ছুক মানুষকে কোন সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করতে না হয়। হাজীদের স্থায়ি আবাসন, যাতায়াত সুবিধা সহ সকল অব্যস্থাপনা দূর করে মানুষকে তার ইচ্ছে অনুযায়ী আল্লাহর ডাকে সারা দেয়ার সুযোগ করে দেয়া যায়।