তার কারণ হল, আজ পুলিশের যে সদস্যরা হাতে অস্ত্র থাকা স্বত্বেও সহকর্মীকে সন্ত্রাসীদের চাপাতির কাছে ফেলে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে তাদের যারা ট্রেন আপ করেছিল সেই একই একই প্রশিক্ষকরাই তো নতুনদেরও প্রশিক্ষণ দেবেন।
আজ যে পুলিশ অফিসাররা আদালতের আদেশ ছারা ভুক্তভোগীর মামলা পর্যন্ত নেন না। আজ যে সব পুলিশ অফিসাররা রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করে চলেন।
তাদের যারা প্রশিক্ষক ছিলেন তারাই তোঁ নতুনদেরও প্রশিক্ষণ দেবেন। তাদের অধীনেই তো নতুনদের কাজ করতে হবে। অতএব ফলাফল যে একই থাকবে তা সহজেই অনুমেয়।
কাজেই ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষায়িত বাহিনী গঠন করুন যেখানে পুরাতনদের না নিয়ে সম্পূর্ণ নতুনদের নিয়ে নতুন ভাবে শুরু করার ব্যবস্থা করুন। নতুন সদস্যদের ওয়েল ট্রেন করে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে মাঠে নামান। তাহলেই কেবল আমরা ভাল কিছু পাওয়ার আশা করতে পারি। নয়ত পুলিশের সংখ্যাই কেবল বাড়বে। পুলিশই সেবার মান উন্নত হবে না, মানুষ উপকৃত হবে না।
বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের যা অবস্থা তাতে ভাল খারাপের শতকরা হিসেব করতে হবে। তার থেকেও বড় কথা প্রশাসনে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটি বিশেষ ভাবধারার মানুষ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে। যাদের দিয়ে আর যাই হোক চলমান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গঠন অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। প্রয়োজন নতুনদের নিয়ে নতুন ভাবে অগ্রসর হওয়া।
kmgmehadi@gmail.com