ইচ্ছে হলেই তুমি আত্মহত্যা করতে পার না

মোঃ গালিব মেহেদী খান
Published : 31 Oct 2016, 03:27 AM
Updated : 31 Oct 2016, 03:27 AM


যে পরাজয়ের ফলে আজ তুমি আত্মহত্যা করতে চাইছ বেঁচে থেকে কাল তুমি তার থেকে অনেক বড় কিছু অর্জন করতে পারবে। যদি সন্দেহ থাকে তাহলে এমন অসংখ্য সফলতার গল্প তুমি তোমার আশে পাশের মানুষের কাছেই শুনে নিতে পার। তুমি কি জান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ মুহূর্তে ভারতের অন্যতম ভরসা যে সুরেশ রায়না। সেই রায়নাই এক সময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন! ভারতের লক্ষ্ণৌর স্পোর্টস হোস্টেলে অনেক বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল রায়নাকে। ওই সময়টাতে তিনি আত্মহত্যার কথা ভাবতেন।

মাত্র সতেরো বছর বয়সে কোম্পানির ব্যবসার মাল ওজন আর কাপড় বাছাই করতে করতে বিরক্ত হয়ে লর্ড ক্লাইভ দুবার পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গুলি চলেনি বলে বেঁচে যান ভাগ্যবান ক্লাইভ। অথচ সেই ক্লাইভের হাতেই শেষ পর্যন্ত নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে!

এমন অজস্র গল্প আছে যা তোমাকে আত্মহত্যায় নিরুতসাহিত করবে। তুমি নিশ্চিত থাক বেঁচে থাকলে তুমি অবশ্যই সুখী হতে পারবে।

আত্মহত্যার মত এমন মৃত্যু, শুধু পরাজয়ই নয় এটা এক ধরনের অবিচারও বটে। যা তুমি তোমার স্বজনদের সাথে করতে পার না। প্রতিটি মানুষকে নিয়ে তাদের স্বজনদের থাকে অজস্র স্বপ্ন, অজস্র ভালবাসা আর আকাঙ্ক্ষা। একজন মানুষ চাইলেই তা অস্বীকার করতে পারেন না। তার জীবনে এ পর্যন্ত পৌঁছুনর পেছনেও থাকে তার স্বজনদের ত্যাগ, ভালবাসা আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার অসংখ্য গল্প। যার প্রতিদান জীবন থেকে এভাবে পালিয়ে যাওয়া নয়। বরং স্বজনদের সময়ে অসময়ে পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। তাদেরকে সেই ভালবাসা ফিরিয়ে দেয়া।

সবাইকে নিয়ে বাঁচাই তো মানুষের জীবন। একা ভাল থাকা যায় না। একা কোন অর্জনেও উদযাপন সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকাই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। আর সেটা করতে গেলেই নিজের জীবনকে নিজে শেষ করে দেয়ার আকাঙ্ক্ষা উবে যাবে। মানুষ তুমি সকলের, তুমি শুধুই নিজের নও। তোমার উপরে যতটা অধিকার তোমার বোধ করি তারও বেশি অন্যের।