মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এভাবে না বললেই কি নয়? বিরোধী দলের কোন নেতা যদি আত্মগোপনও করে থাকেন। তিনি কোথায় আছেন, কি করছেন তা নিশ্চিত করা কি সরকারের দ্বায়িত্ব নয়? তাহলে আমরা বুঝব কি করে খেলাটা কার। আদালত কর্তৃক নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে কি বলে দেওয়া যায় কে দোষী। আপনি যদি আগে থেকেই রায় দিয়ে দেন, তাহলে আপনার আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি করবে? বিএনপি সরকার যেমন জজমিয়া নাটকের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার এত বড় বড় ঘটনার কোন কিনারা করতে না পাড়ায় দায় কি এড়াতে পারে? সাধারনের কথার গুরুত্ব অনেক কম ক্ষেত্রবিশেষে নেই বল্লেও চলে। কিন্ত আপনার কথা তো দিক নির্দেশনা। কেন বারবার আশাহত করছেন? এভাবে চলতে থাকলে দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়ে যাবে। যে সমাজে অন্যায় করে যত সহজে পার পাওয়া যায় সে সমাজে তত দ্রুত এর বিস্তার ঘটে। আপনারা এ দেশের অভিভাবক। সংসারের কর্তা ব্যক্তিরা যখন পারস্পরিক যুদ্ধ ঘোষনা করে তখন সাধারন সদস্যরা অসহায় হয়ে পাড়ে। আজ আমাদের এভাবে অসহায় করে ফেলে আবার আমাদের দোহাই দিয়ে নিজেদের কাজগুলি জায়েজ করছেন। এটা কি ঠিক? আমরা সাধারন জনগন এখন আর উন্নয়নের জোয়ার দেখতে চাই না কারন ওটা হয়ত বেশি চাওয়া হয়ে যাবে। কিন্ত এটুকু দাবি তো করতে পারি আমরা শান্তি চাই। কে গুম, হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে তা জানতে চাই না আমরা এগুলো বন্ধ হোক এটা চাই। ছোট ছোট ভুলগুলো ম্লান করে দিচ্ছে আপনার যা কিছু অর্জন।