ছয়টি বাসে অগ্নিসংযোগ, একজন গাড়ি চালক জীবন্ত দগ্ধ। এ দায় কার? কারা এ কাজ করেছেন? সরকার বলবে বিরোধীদল। আর বিরোধীদল বলবে সরকার।অর্থাৎ কেউই এর দায়ভার নেবেন না। তাহলে দায়টা কার? দায় আমাদের যারা এদেশের অভাগা জনগন। যারা বারবার প্রতারিত হয়েও পূনরায় আশায় বুক বেধে তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেই। এবং পুনরায় নিষ্পেষিত হই। অথচ তারা নির্বিকার। আজ যে চালককে এভাবে মরতে হল তার সন্তানের কাছে বা তার স্ত্রীর কাছে কিংবা মা-বাবার কাছে তার যে অবস্থান। ঠিক একই অবস্থান ইলিয়াস আলীর সন্তানের কাছে বা তার স্ত্রীর কাছে কিংবা মা-বাবার কাছে। আমরা ভুলে যাই। মানুষ তো সবাই। ইলিয়াস আলী রাজনীতি করেন এটা যেমন দোষের নয়। তেমনি অভাগা চালকেরও বোধ করি পরিবারের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ছারা কোন দোষ ছিল না। আর এ দোষের শাস্তি যদি হয় জীবন্ত দগ্ধ হওয়া। তাহলে আমাদেরও একই শাস্তি হওয়া উচিৎ।বরং আরো বেশি। কারন আমরা অল্প বিস্তর সমালোচনাও করি। দয়া করে আমাকেও জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করুন। বিবেকের দংশন থেকে তো বাঁচি।
কার গাড়ী ভাংলেন? তার কি দোষ? আর কিই বা লাভ হল? ভয় দেখালেন, যাতে রাস্তায় বের না হই?
হাসি মুখে হরতাল শেষে ব্রিফিং দেবেন হরতাল সফল। সফলতার মাপকাঠি কি?
ঠিক একইভাবে সরকার বলবে, জনগন হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছেন। কি করে বুঝলেন?
জানি এসব প্রশ্ন অবান্তর। এর উত্তর নেই।
এ প্রশ্নটির তো উত্তর দিন, যে দিন এনে দিন খায় তার কি হবে? তার পরিবারের অন্নের যোগান কে দেবে?
যে রোগীটি এই হরতালের কারনে চিকিৎসা সেবা পেলেন না বা বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন তার দায় কে নিবেন?
জানি, দেশের সামান্য ক্ষতিও আপনারা মেনে নিতে পারেন না। আর তাইতো এ ধরনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হন।
অনশন কেন করছেন না? কষ্ট হবে বলে? না হয় একটু কষ্টই করুন। ক্ষমতায় যাওয়া বলে কথা।