এই মুহুর্তে রাজনীতি সচেতন প্রতিটি ব্যক্তিই বোধকরি "রাজনীতি নিয়ে উদ্যোগী ব্যবসায়ীরা" বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক আবদুর রহিম হারমাছি'র করা প্রতিবেদনটি পড়ে কিছুটা হলেও সস্তির ন্বিশ্বাষ ফেলবেন। আমাদের প্রত্যেকের মনে এখন একটাই প্রশ্ন আর তা হল আমাদের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে? সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি দেশের অগ্রগতিকেই বাধাগ্রস্থ করে। আমাদের দেশের রাজনীতিতে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তা শুধুই দল এবং ব্যাক্তি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। যার সাথে দেশের স্বার্থের বিষয়টি নেই বললেই চলে। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা বঙ্গবন্ধুর পড়ে এমন কোন রাজনৈ্তিক নেতা পাইনি যিনি তার দলীয় গন্ডির বাইরে গিয়ে সকলের নেতা হতে পেরেছেন। অথচ সুযোগ ছিল। গণমানুষের প্রত্যাশাও ছিল কিন্ত আমাদের বর্তমান নেতৃবৃন্দের কেউই নিজেকে সে উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেননি। তবে এটাও ঠিক প্রকৃতির সূর্যসন্তানদের আবির্ভাব কদাচিৎই হয়ে থাকে।
এ তো গেল নিরাষার কথা। আশার কথা হল আজকের বাংলাদেশ বিনির্মানে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি এ প্রশ্নের উত্তরে দলকানাদের বাদ দিলে যে কোন সচেতনের উত্তর হবে এ দেশের অদম্য উদ্যোক্তারা। সে কৃ্ষিতে বলুন আর শিল্পের ক্ষেত্রে বলুন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও সাত কোটির স্থলে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এই দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে, জনসাধারনের মৌল চাহিদাগুলো পূরনের লক্ষে, প্রয়োজনীয় উপাদানের যোগানের ক্ষেত্রে তারা যে ভূমিকা পালন করেছেন তা যদি তারা না করতেন আজ হয়ত আমরাও সোমালিয়ায় পরিনত হতে পারতাম। ঠিক এর উল্টোদিকে চিন্তা করুন, এই অদম্য কির্তীমানরা যদি উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ পেতেন। যদি নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগীতা পেতেন তাহলে হয়ত আমরা আজ মালয়েশিয়ার অবস্থানে পৌছাতে পারতাম। আর আজ সেই কির্তীমানেরা এক হয়েছেন। দেশকে সমূহ সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করার নিমিত্তে। ব্যবসায়ীরা শুধুই ব্যাবসা করেন এটাই আমরা মনে করি। আসলেই কি তাই? একজন ব্যবসায়ী শুধু ব্যবসাই করেন না দেশকেও এগিয়ে নেন অনেকটা। হয়ত কিছু কিছু ব্যতিক্রম আছে যা সার্বিক বিচারে খুব একটা প্রভাব ফেলে না। এ প্রসংগে একজন ব্যবসায়ীর একটি কথা মনে পড়ে গেল। তিনি তার একজন ব্যবসায়িক অংশীদারকে বলেছিলেন আজ আমার ব্যাবসার যে অবস্থা আমি যদি গুডউইলসহ সব কিছু বিক্রি করে দেই। আমার কয়েক পুরুষ বসে বসে খেলেও তা শেষ করতে পারবে না। অর্থাৎ ক্ষতিটা আমার নয় হবে আমার কয়েক হাজার শ্রমিক আর আপনার মত কয়েক লক্ষ লোকের যারা আমার সাথে ব্যাবসা করছেন। কথাটা কিন্ত সম্পূর্ণই ঠিক ছিল। একান্তভাবেই কামনা করছি ব্যাবসায়ীদের এই উদ্যোগ সফল হউক। রাজনীতিবিদগণ আর যাই করুন দেশের ক্ষতি হয় এমন কর্মসূচী দিবেন না। এধরনের একটা মতৈক্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরী। আর তা করতে পারেন ব্যাবসায়ীরা।