প্রযুক্তি: বাঁচতে হলে জানতে হবে, শিখতে হবে, বুঝতে হবে (পর্ব – ২)

রিং
Published : 5 Jan 2012, 04:59 PM
Updated : 5 Jan 2012, 04:59 PM


তারিখ: ৫ই-জানুয়ারী-২০১২ইং

ভূমিকার পূর্বেঃ "উইন্ডোজ" অপারেটিং সিস্টেম কে আমি "খিড়কী" বা "জানালা" নামে ডাকতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি। আমার এ লেখায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি লেখাটা পড়ে আহত হোন বা কষ্ট পেয়ে থাকেন তো সেইজন্যে আমি আন্তরিকভাবেই দুঃখিত। কিন্তু করার ও তো কিছু নেই। আমার লেখায় যদি আমিই শান্তি না পাই তো লিখবো কি করে‍‍? এই কাজটুকু করাই হতো না যদি না "প্রজন্ম ফোরাম" আর "উবুন্টু বাংলাদেশ" এর মেইলিং লিস্টে কিছু মানুষের ভুল ধারনা কে ভেঙ্গে দিতে কিছু কঠিন মন্তব্য না করতাম আর সেখানে আমাদের গৌতম দা আমাকে এই বিষয়ে বিশদভাবে লেখার জন্য উৎসাহ না দিতেন। গৌতম রয় কে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ভেতরের আমি কে টেনে-হেঁচড়ে বের করে নিয়ে আসবার জন্য।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখাটি আমি পর্ব আকারে বিগত ২৯শে ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী প্রতিটি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রকাশ করছি এবং করবো ইনশাল্লাহ। আজ প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় পর্ব। অষ্টম পর্বে লেখার উপসংহার প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে। প্রথম পর্বটিও আপনি পড়ে নিতে পারেন।

আজকের লেখায় আমি, ২। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তায় অযাচিত হস্তক্ষেপ (Invading Privacy) বিষয়ে আলোকপাত করতে চেষ্টা করেছি।

আপনার কম্পিউটারকে বিভিন্ন কাজের নির্দেশনা কি আপনিই দিচ্ছেন? নাকি ! ? ! হুট করে কথাটা বলতেই আপনার মাথার ভেতরটা গুলিয়ে গেলো, তাই না? আসলে এই বিষয়টা নিয়ে আপনারই মতো আরো অনেকেই অনেক রকমের চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। তবে সব ভাবনার কেন্দ্র কিন্তু একটি মাত্র বিন্দুতে এসেই মিলিত হবে। আর তা হলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বা সুরক্ষা। এমনকি এই বিষয়টা নিয়ে গভীরভাবে ভাববার পর আপনি কখনো কখনো এটাও চিন্তা করে থাকেন যে, আপনার কম্পিউটার শুধুমাত্র (একমাত্র বললে বিষয়টা পরিপূর্নতা পায়) আপনারই নির্দেশনা নেবে, এমনকি আপনার অতি প্রিয় মানুষটির নির্দেশনাও যেনো সে অমান্য/অগ্রাহ্য করে যায়। তো আপনার এই চিন্তা/আস্থার জায়গাটুকুকে দখল করতেই আসলে বিশ্বাসযোগ্য/আস্থাপূর্ন কম্পিউটিং এর ধারনাটা এসেছে। আরো বিস্তারিত তথ্য পাবেন উইকিপিডিয়ার এই পৃষ্ঠাতে — http://en.wikipedia.org/wiki/Trusted_Computing।

কিভাবে করা হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তায় অযাচিত হস্তক্ষেপ? খেয়াল করে দেখুন আমি ঠিক আগের অনুচ্ছেদেই আপনার চিন্তা দখল হয়ে যাবার কথা বলেছি। তখন এই বিষয়টাকে হালকা করে নিলেও এই অনুচ্ছেদটুকু পড়ার পর হয়তোবা আপনার নিজেরই চোখ নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য হয়ে উঠবে। হয়তোবা আপনি এও চিন্তা করতে শুরু করবেন যে, তাহলে কি আপনি এতদিন নিজ গৃহে (কম্পিউটারে) দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষেছেন? ঐ যে আপনার বিশ্বাস কিংবা ভাবনার জায়গাটুকু যেখানে আপনি নিজের বাইরে আর কাউকেই আপনার কম্পিউটারে কোন রকম হস্তক্ষেপ করায় কিংবা করতে দিতে অনাগ্রহী ঠিক সেইটাকেই পুঁজি করে মাইক্রোসফট তৈরী করেছে বিশেষ একটা ব্যবস্থা, যার মনভোলানো নাম দিয়েছে — "আসল খিড়কীর মজা" বা Windows Genuine Advantage.

আসুন দেখি, কি এই "আসল খিড়কীর মজা" এটা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এক্সপি সিস্টেমের সাথে থাকা এমন একটি প্রযুক্তি যাঁর মাধ্যমে মাইক্রোসফট নিজের সার্ভার থেকে আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যারকে এক্সেস বা পরিচালনা করতে পারে। ভয়াবহ বিষয়টা হলো এই যে মাইক্রোসফট আপনার পিসিতে সবচাইতে বেশী যে যন্ত্রাংশটুকুর উপরে কর্তৃত্ব দখল করে নেয় সেটা হলো আপনার হার্ডডিস্ক। এই Windows Genuine Advantage (আসল খিড়কীর মজা) এর আসল মজাটা এখানেই যে, সে প্রাথমিকভাবে আপনার কাছ থেকেই বিভিন্ন চুক্তি/শর্তের মাধ্যমে আপনার হার্ডডিস্কের যত্রতত্র তথ্যানুসন্ধানের অনুমতিটুকু হাসিল করে নেয় এই বলে যে, "এটার মাধ্যমে সে আসলে আপনার কম্পিউটারের ভেতরে যে আসলেই একটি লাইসেন্সকৃত "জানালা" বা "খিড়কী" ওএস ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিশ্চিত করা সহজতর হয়"। কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলক বিষয়টাই এখানে যে, এই প্রাথমিক অনুমতিটুকু নেবার পরপরই আসলে মাইক্রোসফট দূরনিয়ন্ত্রিত সার্ভার থেকেই আপনার কম্পিউটারের পরিপূর্ন নিয়ন্ত্রন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায়। প্রতিফলনে যদি এমন কোন হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সে আপনার কম্পিউটারে পায়, যা কিনা মাইক্রোসফটের অনুমোদিত নয় কিংবা এই Windows Genuine Advantage এর নিয়ন্ত্রনের বাইরে তো সেক্ষেত্রে সে আপনার কম্পিউটারের কার্যকারীতা রহিত করার মতো ক্ষমতা রাখে।

এক্সপি'র ক্ষেত্রে এই http://www.microsoft.com /genuine/downloads/faq.aspx পৃষ্ঠার মাধ্যমে জানা যায় যে, মাইক্রোসফট যে সব তথ্যের ভিত্তিতে এই Windows Genuine Advantage বা WGA Checks সম্পন্ন করে থাকে তা হলো —
০১। কম্পিউটারটির নাম এবং মডেল
০২। বায়োস বা বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম
০৩। MAC বা ম্যাক অ্যাড্রেস
০৪। Globally Unique Identifier বা GUID বা আপনার কম্পিউটারে প্রদত্ত এমন একটি সংখ্যা যা কিনা একমাত্র আপনার এই পিসির বর্তমান হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনেই প্রযোজ্য হবে।
০৫। হার্ডডিস্কের ক্রমিক নম্বর
০৬। ভৌগলিক অবস্থান ও ভাষা সংক্রান্ত অপারেটিং সিস্টেমের সেটিংসসমূহ
০৭। অপারেটিং সিস্টেমটির সংস্করন
০৮। কম্পিউটারটির বায়োসের তথ্য (প্রস্তুতকারক, সংস্করন, প্রস্তুতকাল/তারিখ)
০৯। কম্পিউটারটির প্রস্তুতকারকের তথ্য
১০। ব্যবহারকারীর আঞ্চলিকতা সংক্রান্ত তথ্যাদি
১১। মেয়াদ যাচাইয়ের তথ্য এবং ইন্সটলেশন সংক্রান্ত তথ্যাদি
১২। খিড়কী অথবা মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজে'র পন্যযাচাইকরণ গোপন শব্দচাবি/ সংখ্যা
১৩। "খিড়কী"এক্সপি'র পন্যপরিচয়ের তথ্যাদি

এমন সব অভিযোগ রয়েছে এই WGA প্রযুক্তি নিয়ে যা শুনলে আপনি হয়তো বা সেই দুধ-কলা-সাপ সুত্রের বাস্তব প্রয়োগ জগতে চলে আসবেন। যেমন — এটি ব্যবহারকারীর বিনা অনুমতিতে কম্পিউটারে থাকা সফটওয়্যার বা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বেমালুম গায়েব করে দেয় (সংক্ষেপে বললে মুছে ফেলে)। এটা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে সেই প্রাথমিক অনুমতিটুকু নিয়ে নেবার পর পরবর্তীতে আর কোন অনুমোদন ছাড়াই 'খিড়কী'র সাথে নিজেকেই নিজে সাম্প্রতিকীকরন (আপডেট) করে থাকে এবং ব্যবহারকারীদেরকে খুব কম বেছে নেবার সুযোগ দেয় এই বিষয়ে যে, "কিভাবে মাইক্রোসফট এই সিস্টেমকে মনিটর করবে/করবে না।" অনেকে ব্যবহাকারীরই অভিযোগ যে, মাইক্রোসফটের এই WGA প্রযুক্তিটি আসলে একটি "নজরদারী প্রযুক্তি", যদিও বা মাইক্রোসফট এই অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে এবং সেই সাথে নিজেই এই প্রযুক্তি বিষয়ে সিদ্ধান্তসমূহ নেবার এবং তা জোরপূর্বক হলেও বাস্তবায়নের ক্ষমতাটুকু সংরক্ষন করে। এই কর্মকান্ডের মাধ্যমেই মাইক্রোসফট প্রমাণ করে দেয় যে, আসলেই এই প্রযুক্তিটি "ব্যক্তিতথ্য সুরক্ষা/নিরাপত্তা"র প্রতি মারাত্মক রকমের হুমকি। আরো জানতে পড়তে পারেন — http://en.wikipedia.org/wiki/Windows_Genuine_Advantage

উপরের লেখাটুকু পডতে পড়তে হয়তো বর্তমান সময়ের "খিড়কী" বা "জানালা" ওএস ব্যবহারকারীদের বুকের ভেতরে বাতাস আকুপাকু করা শুরু করেছিলো। তবে লেখাটুকুর শেষ লাইনটা পড়ার পর একটানে আটকে থাকা বাতাস বুক থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন। তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে তুলতে মনের আনন্দে জপতে শুরু করে দিয়েছেন — "যাক বাবা আমি তো এখন আর 'খিড়কী এক্সপি' চালাচ্ছি না। আমি 'সপ্তম জানালা'য় চলে এসেছি।" হয়তোবা সত্যজিৎ রায় এর সেই "গুপী গাইন বাঘা বাইন" চলচ্চিত্রের গুপী ও বাঘার ন্যায় মনের মধ্যেও ঢোল বাজছে আর সুর ভজে যাচ্ছে — "তাক ধিন্ ধিন্ না ধিন্ তা, নাইকো মোদের চিন্তা"। তো সেই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা, ধিতাং ধিতাং বোলে নৃত্যানন্দে মেতে চলা মনের অধিকারীদের জন্য সুখবর — "সপ্তম জানালা'র" ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট প্রযুক্তিটির কার্যকারীতায় আপনার জন্য কোনরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন না এনে শুধুমাত্র নামটাকে বদলে দিয়েছে। এখন থেকে এটাকে আপনারা (হাড়ে হাড়ে) চিনবেন Windows 7 Activation Technologies বা WAT বা "সপ্তম জানালা সক্রিয়করন প্রযুক্তি" নামে। 🙂

আপনার পিসির পরিচালনা পদ্ধতিতে "সপ্তম জানালা" যুগান্তকারী কোন পরিবর্তন সাধন করুক চাই না করুক ইতোমধ্যে আপনার হৃদযন্ত্রের জানালা গুলো যে দুমদাম খুলছে আর কপাটে কপাটে ঝড়ের দাপটে বাড়ি খাচ্ছে সে আমি বিলক্ষন দেখতে পাচ্ছি। বুকের ধুকপুকানিটুকু কমে আসলে তবেই এই লেখার পরবর্তী অংশটুকু পড়ুন। তা না হলে দুম করে নিজের হৃদযন্ত্র কিংবা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেবার মতো ঘটনাও ঘটে যেতে পারে, এই আগাম সাবধানী করে রাখলুম।

সপ্তম জানালা'র সাথে আসা নতুন মাত্রার কিছু গোয়েন্দাপ্রযুক্তি "বিশ্বাসযোগ্য কম্পিউটিং" এই সুর তুলে মাইক্রোসফট নতুন যে প্রযুক্তিটুকু আপনাকে উপহার দিচ্ছে তার চটকদার নাম হচ্ছে – "Palladium"। এটি জার্মান ভাষার একটি শব্দ। তবে ইংরেজী/জার্মান থেকে বাংলায় অনূদিত প্রতিশব্দটি হবে – "রক্ষাকবচ" বা "সুরক্ষার দেবী"। চটকদার এই নামের বাহারে নিজের অজান্তেই আপনার কম্পিউটারে কি ঘটতে চলছে তা হয়তো এখন বুঝতে পারছেন না। তবে জেনে রাখুন এই প্রযুক্তির পূর্বে প্রোপ্রাইটরী বা মালিকানাধীন সফটওয়্যার গুলোয় ম্যালিশাস বা কম্পিউটারের ব্যবহারকারীর জন্য ক্ষতিকারক কিছু অংশ বা বৈশিষ্ট্য থাকতো বা থাকতে পারতো। আর এই প্রযুক্তি এই ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যসমূহকেই প্রকারান্তরে বৈশ্বিকভাবে চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দিলো। আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে — http://en.wikipedia.org/wiki/Next-Generation_Secure_Computing_Base পড়ে নিতে পারেন।

এই "সুরক্ষার দেবী" কে ব্যবহার করে হলিউড আর বিখ্যাত রেকর্ডিং প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তায় অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে পারবে। কিভাবে? তো জেনে নিন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে এটা নির্ধারন করা সম্ভব যে কোন কম্পিউটারে একটি সুনির্দিষ্ট চলমান চিত্র বা ভিডিও কিংবা গান ডাউনলোড হয়েছে এবং তারপর সেই নির্দিষ্ট ডাউনলোড করা গান বা ভিডিওটি উক্ত যন্ত্র (পিসি/নেটবুক/ট্যাবলেট পিসি/মুঠোফোন) ব্যতীত আপনারই নিজের অন্য কোন যন্ত্র (পিসি/নেটবুক/ট্যাবলেট পিসি/মুঠোফোন) এ আপনার নিজেরই চালানোর অনুমতি রহিত করা যেতে পারে। ফলে একই জিনিষ বারংবার ডাউনলোড করতে আপনাকে বাধ্য করা হবে। আর যখন এই কাজটুকু নিখুঁতভাবে সব যন্ত্র সমূহে করা হবে তখন নিশ্চয় অতি সহজ হিসাব মেলাতে আপনার কষ্ট হচ্ছে না যে আপনার পিসি/নেটবুক/ট্যাবলেট পিসি/মুঠোফোন এর প্রতিটি ফাইল/নথি আপনার নাকি অন্য কারো নিয়ন্ত্রনাধীনে থাকছে। এখান থেকে আরো একটু বিস্তারিত জানতে পারেন — http://en.wikipedia.org/wiki/Next-Generation_Secure_Computing_Base#Digital_Rights_Management

আর উপরের ঘটনাটা যদি হুবহু ঘটানো হয় তো একপ্রকারে ধরে নেয়া যায় যে আপনার সাথে আপনার পরিচিত সবার সম্পর্ক ছিন্ন হতে চলেছে। কেননা এই প্রযুক্তি আপনাকেই আপনার ডিভাইসগুলোতে আপনারই মালিকানাধীন ফাইলটি শেয়ার করতে দিচ্ছে না তো সেখানে অন্য কারো সাথে সেটা কিভাবে আপনি শেয়ার করবেন। আর যদি এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র শেয়ারিং বন্ধ করেই থেমে যেতো তো ভালো ছিলো। তবে তার বদলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলছে এই প্রযুক্তি। যেমন ধরুন এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হলো প্রাতিষ্ঠানিক নথিপত্র আর ইমেইলের ক্ষেত্রে, তো কি ঘটবে? একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে সেই নথি আর কারো জন্যেই ব্যবহার উপযোগী থাকবে না। আবার এটাও করা সম্ভব যে নথিটি কম্পিউটার ব্যতীত অন্য কোন যন্ত্রে পড়াও যাবে না। বিস্তারিত পাবেন — http://www.gnu.org/philosophy/no-word-attachments.html

ভুতুড়ে হলেও সত্যি যে এটা করা সম্ভব যে একটা ইমেলই আপনি পেলেন যেটা কিনা দুই সপ্তাহ বাদেই আপনার ইনবক্স থেকে বেমালুম হাওয়া (গায়েব)। ধরুন এমনটা যদি ঘটে যে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত সেই প্রতিষ্ঠানেরই গুরুত্বপূর্ন কর্তাব্যক্তিদের একজন আপনাকে ইমেইলে এমন একটি বিষয়ে কাজ করতে অনুমোদন/আদেশ দিলেন যেটা ঐ প্রতিষ্ঠানের জন্য জটিল বা বিপদজনক হতে পারে। একমাস পরে আপনার ঐ কাজটুকুর প্রতিফল সত্যি সত্যিই প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপদজনক বা জটিল হয়ে দাঁড়ালো আর তখন এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তগ্রহনকারী বা কর্মসাধনকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন একমাত্র আপনি। কেননা সেই ইমেইলটি প্রমাণ স্বরূপ আপনি দেখাতেই পারলেন না যার প্রধান কারন সেই নির্দেশনা/আদেশটুকু ছিলো এমনই কালি দিয়ে লেখা যা অদৃশ্য হতে পারে। এই বিষয়ে আরো তথ্য পেতে পারেন — http://www.cl.cam.ac.uk/~rja14/tcpa-faq.html

বাঁচতে হলে জানতে হবে, শিখতে হবে, বুঝতে হবে (পর্ব – ৩) প্রকাশিত হবে আগামী ১২ই জানুয়ারী ২০১২ইং, বৃহস্পতিবার রাত্রে।

বাঁচতে হলে জানতে হবে, শিখতে হবে, বুঝতে হবে (পর্ব – ১) প্রকাশিত হয়েছিলো বিগত ২৯শে ডিসেম্বর ২০১১ইং, বৃহস্পতিবার রাত্রে।