দুর্নীতি পেছনে ঠেলে কবে শুরু হবে পদ্মা সেতুর কাজ?

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল
Published : 14 Oct 2011, 12:08 PM
Updated : 14 Oct 2011, 12:08 PM

পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত সপ্ন দেখে আসছে। সেই সেতু'র কাজ কবে শুরু হবে কিংবা আদৌ শুরু হবে কিনা তা নিয়ে নানা ব্যাপারে সংশয় দেখা দিয়েছে । যোগাযোগ মন্ত্রী বলছেন তদন্ত করে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের কে সনাক্ত করতে । অন্য দিকে বিশ্ব ব্যাংক বলছে " যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কারণেই আটকে গেছে পদ্মা সেতুর কাজ। বিশ্বব্যাংক তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ এনে ঋণসহায়তা স্থগিত করে দিয়েছে। "

এখন কার কথা বিশ্বাস করব বলুন । আমার ঘরে চুরি হয়েছে বলে যদি আমি চেঁচাই তখন লোকে এসে জানবে আমার ঘর চুরি হয়েছে । সেই চোর যদি আমি নিজে হই তখন কার সাধ্য আছে চোর ধরবে। ঘটনাটা কি এমন হয়ে গেল না।
সৈয়দ আবুল হোসেনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরা ঘুষ চেয়েছেন। একথা যেমন সত্যি, পদ্মা সেতু হোক সেটা ও তিনি চান। তিনি চান এই কারনে যে তাতে তার প্রতিষ্ঠান বেশ মোটা অঙ্কের কমিশন কিংবা ঘুষ পাবেন । তাতে করে সেতু ও হল । মন্ত্রী সাহেবের প্রতিষ্ঠানের কিছু উপরি আয় হল। উনি হয়ত এটাকে দুর্নীতি বলতে নারাজ । এখানে কোথায় দুর্নীতি দেখেছ বাপু – যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেখ তারা বলবে আমার প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করে নি । কি সুন্দর পদ্ধতি , একদিকে দুর্নীতি করবেন অন্যদিকে তদন্ত করে সংবাদ সম্মেলনে প্রমান করে দেবেন তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করেনি । একেই বলা হয় চোরের বড় গলা।

বর্তমান সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পরপর সাকো ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদ থেকে অব্যাহতি নেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকেরা হলেন মন্ত্রীর স্ত্রী খাজা নার্গিস হোসেন এবং দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন। অথচ যোগাযোগমন্ত্রী এই সাকোকে কমিশন এজেন্ট করার জন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি ভয়ভীতিও দেখান।

বিশ্ব ব্যাংক তদন্ত করে দুর্নীতির প্রমান পেয়েছেন এবং সাফ বলে দিয়েছেন '" এ অবস্থায় পদ্মা সেতুতে অর্থ পেতে হলে বাংলাদেশকে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো ঋণ ছাড় করা হবে না। "
এখন সরকারের উচিত সকল দিক খতিয়ে দেখে সেতু নির্মাণ শুরু করা । যদি তারা তা না করেন তাহলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কখন এসব দুর্নীতি বাজ দের ক্ষমা করবে না । সবাই যে সেতুর দিকে চেয়ে আছে সরকারের উচিত সেই সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ তদন্ত করে এর বিচার করা । দেশের জনগন দুর্নীতিবাজদের বড় বড় কথা না শুনে কাজের বাস্তবায়ন চায় । আমি ও বাংলাদেশী হিসাবে তাই চাই ।