কিভাবে সংগঠিত হয় জঙ্গীরা

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল
Published : 18 Jan 2012, 03:40 AM
Updated : 18 Jan 2012, 03:40 AM

শুধু আমাদের দেশ নয় , বর্তমান সময়ে বেশ কিছু দেশে জঙ্গিদের আস্তানা রয়েছে । এসব জঙ্গী সংগঠন গুলো প্রত্যেক জায়গায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে । সেইখানে অবস্থান কালে তারা স্থানীয় যুবকদেরকে তাদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে সেই স্থানীয় ছেলেটির হাতে সেখানকার ক্ষমতা দিয়ে অন্যত্র চলে যায় ।

এভাবে একের পর এক স্থানে জঙ্গীদের আস্তানা গড়ে উঠে। ধীরে ধীরে তারা তাদের প্রভাব বিস্তার করে , অসহনীয় করে তুলে আমাদের সমাজ কে । আর আমরা নীরব দর্শক হয়ে তাদের সেই ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলা দেখে যাই । আমাদের চারপাশে এদের অবস্থান । কিন্তু আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারি না । আর সে কারনে অতর্কিতে হামলা করে তারা পার পেয়ে যায় অনায়াসে । একটা জঙ্গী সংগঠন একদিনে সৃষ্টি হয় না । আর একটি জঙ্গি সংগঠন সৃষ্টির জন্য প্রধান যে জিনিসটা দরকার সেটা হল টাকা । আর এই টাকা কোথা থেকে আসে তা অনেকেই জানে না ।

হ্যাঁ এই টাকার বেশীর ভাগ জোগান দাতাই হচ্ছে সৌদি আরব । তবে তারা সরাসরি জঙ্গিদেরকে সহযোগীতা করে না । এদেরকে প্রতারিত করে এই খাতে সহযোগিতা আদায় করা হয় । দারিদ্র মেধবী ছেলেদের লেখাপড়ার জন্য ফান্ড সংগ্রহ করে এক দল মানুষ। এরা দীর্ঘ দিন যাবত সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং সৌদি দের কাছে এদের বিশ্বস্ততা অনেক । এই হল একটি দিক । অন্য গুলো হচ্ছে , বিভিন্ন রকমের রশিদের মাধ্যেমে চাঁদা আদায় , সেগুলো কিছু মসজিদের নামে , কিছু মাদ্রাসার নামে । এভাবে মোটামূটি ভালো পরিমান অর্থ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট লোকগুলো । সেই অর্থ দেশে পাঠিয়ে জঙ্গী দের কে সংগঠিত করছে অনায়াসে । খেয়াল রাখতে হবে , একজন বাংলা ভাই যেমন একদিনে সৃষ্টি হয় না , তেমনি একদিনে জঙ্গিবাদ সমূলে ধ্বংস করা যায় না ।

দেশের বাইরে ইসলামিক দেশগুলোতে এসব জঙ্গিসংগঠন গুলোর পরিচয় ইসলামিক সংগঠন হিসাবে। এদের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে বহিঃবিশ্ব থেকে অনেক প্রকার হুমকি আসে সেটা সরকারের ভাল করেই জানা। এসব জঙ্গিবাদীদের সমূলে ধ্বংস করতে হলে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা এবং নজরধারী রাখতে হবে নিয়মিত । গত কিছুদিন পূর্বে পুলিশের উপর যে হামলা হল তাতে যে জঙ্গিবাদ জড়িত নাই সে কথা কি বলা যায় । অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সেদিনের গঠনার কেউ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি । এর বেশ কিছুদিন পূর্বে চট্রগ্রামে পুলিশের উপর সেইসব জঙ্গীদের হামলার দৃশ্য দেখে শিউরে উথেছিলাম । রাতের আধারে নিয়মিত ভাবে এদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বেশ শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ।

আমাদের সকলকে সচেতন হয়ে এদের কে প্রতিহত করতে হবে । এই নিয়ে এর আগে ও বহুবার লেখা হয়েছে , আজো লেখলাম । কারন গত পরশু আমাদের রিয়াদ অফিসে এমনি একজন বাংলাদেশী চাঁদা আদায়ের জন্য এসেছিল । সেই কারনে ভয় জাগে মনে । এরা এখন আছে নিজেদের প্রস্তুত করছে । তাই আমাদের ও জাগতে হবে প্রস্তুত থাকতে হবে ।