একটি গল্প, মেঘ এবং আমরা

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল
Published : 12 Feb 2012, 06:31 AM
Updated : 12 Feb 2012, 06:31 AM

স্বপ্নে ঘেরা একটি দম্পতি । কিছু হাসি কিছু বেদনা সুখের সাতকাহন নিয়ে ছিল তাদের সংসার । দুইজনেই চাকুরীর খাতিরে ব্যাস্ত । তাদের কোল জুড়ে একটি হাসির ঝর্না সব মিলিয়ে অন্যরকম । দেশের প্রতি ভালোবাসায় ছেঁড়ে এসেছেন জার্মানের চাকুরী । লক্ষ্যে দেশে কিছু করবেন । অন্যজন তখন মিডিয়াতে নিজ নামে বিখ্যাত । এতক্ষণ যাদের কথা বললাম তারা সকলের পরিচিত আর পরিচিত না হলেও গতকাল থেকে পরিচিত । সেই মিডিয়া কর্মী সাগর এবং রুনীর কথাই বলছিলাম । উজ্জ্বল এবং মেধাবী দুইজন সংবাদ কর্মিকে কে বা কারা কিসের জন্য নির্মম ভাবে হত্যা করেছে । কেন করেছে কেউ জানে না ।কারা করেছে তাও কেউ জানেনা । মনে হয় আকাশ থেকে হথাত কেউ উদয় হয়ে আমাদের প্রিয় মানুষগুলো কে হত্যা করে আবার অদৃশ্য হয়ে গেছে । আর আমরা সকলে বসে শুধু কাঁদছি আর কাঁদছি ।
আবার ও ঘুরে ফিরে আসবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা । কিছু ব্যারথ প্রশাশনের কথা । স্বাধীন দেশে একের পর এক এসব নির্মম হত্যাকান্ড দেখে আমরা নির্বাক হয়েগেছি । এরপর যখন নিজেদের প্রিয় মানুষ গুলোকে দেখি অন্যায় ভাবে রাতের আধারে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় । তখন দু'চোখের অশ্রু আটকে রাখা যায় না ।

আবার হতাশ হই যখন দেখি দুই প্রধান দলের রাজনৈতিক নেতারা এসব হত্যাকাণ্ডকে অন্য দিকে মোড় ঘুরিয়ে নেয় । তাদের এমন হীন বক্তব্যে কে আমি এবং সাধারন জনগন এখন ঘৃণা করে । তারপর ও তারা তাদের হীনমন্যতার পরিচয় বারবার দিতে কুণ্ঠা বোধ করে না । এসব দেখে আমি অবাক হই । কোথায় তাদের প্রতি সহমর্মিতার কথা বলবে , তা না করে নিজের রাজনৈতিক বক্তব্যে দিতে থাকে । ঘৃণা করি এই রাজনীতি কে তাদের এই মনোভাবকে ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে । দেখা যাক সেশ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহীনি কতটুকু সফল হয় । আর সকলের মত আমরা চাই সেই সব সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হোক এবং রাষ্ট্র তাদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করে দুই মিডিয়া কর্মীর আত্নাকে শান্তি প্রদান করুক । আজ দেশের সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ মৃত্য আতংকে ভুগছে । সরকারের উচিৎ প্রকৃত অপরাধীদেরকে জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং এদের কে শাস্তি প্রদান করা ।

ওদের রেখে যাওয়া সৃতি মেঘ কে দেখে রাখার দায়িত্ব এখন সবার । বিশেষ করে সরকারের। আমি আশা করি সরকার এই ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে । এতিম মেঘের দিকে মুখ তুলে চাইবে । যতবারই খবরে মেঘকে দেখেছি ততবারই দুচোখের কোন বেয়ে অশ্রু নেমেছে । এটুকু বয়সে বাবা মাকে নিজের স্মাওনে খুন হতে দেখেছে । তার মানসিক শক্তি দৃঢ় হোক সেই দোয়া করি । আসুন সবাই মিলে আর একবার নিহত দুই সংবাদ কর্মীর জন্য দোয়া করি । আল্লাহ পাক তাদের আত্নাকে শান্তি দান করুক । আমিন ।