
ফরিদপুর শান্তি কমিঠির চেয়ারম্যান শীর্ষস্থানীয় রাজাকার নুরু মিয়ার ছেলে রাজাকার মোশাররফকে হাসি মুখে তরকারী তুলে দিচ্ছেন, দেশরত্ন (!) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আপোষহীন নেত্রী (!) শেখ হাসিনা। ছবিটি শেখ হাসিনার একমাত্র মেয়ে পুতুলের বিয়ের অনুষ্ঠানের! রাজাকার পুত্রের সাথে শেখ হাসিনার মেয়ের বিয়ে!! সেই মোশাররফ এখন শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভার সদস্যেও! রাজাকার বেয়াই হলে তাকে মন্ত্রীও বানানো যায়!!!
বাঙ্গালী বলেছেনঃ
একটি ভাগ্যবান পরিবার (যে পরিবারের সকলে ছিল রাজাকার আজ তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা!)

কবির চৌধুরী- এক নামে পরিচিত ব্যাক্তি। আওয়ামীদের অন্যতম থিংকট্যাংক। গত আওয়ামী সরকার কবির চৌধুরীকে জাতীয় অধ্যাপক বানিয়েছিল। তিনি ঘাদানিকের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী অধ্যাপক কবীর চৌধুরী এখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা।
অথচ এই কবির চৌধুরীর পুরো পরিবার ছিল রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ও পাকিস্তানপন্থী। কিছু তথ্য দেখুন-
কবির চৌধুরী-
১৯৬৯-৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় কবীর চৌধুরী পাক হানাদার সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিল।
পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার কথা বলে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় দালাল আখ্যায়িত করে ১৯৭১ সালের ১৭ মে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলো কবীর চৌধুরী।
অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর বড় ভাই কাইয়ুম চৌধুরী-
কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একজন কর্নেল হিসেবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানের প্রতি তার আনুগত্য এত বেশী ছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পাকিস্তানেই তিনি থেকে গেছেন। পরে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে অবসর নিয়ে এখনও পাকিস্তানেই অবস্থান করছেন।
মুনির চৌধুরী-
কবির চৌধুরীর আরেক ভাই মুনির চৌধুরী যাকে শহীদ বুদ্ধিজীবি হিসেবে অভিহিত করা হয়। তার ব্যাপারে কাদের সিদ্দীকি বলেছেন এভাবে, পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৭১ সালে ঢাকার ৩১জন বুদ্ধিজীবি বিবৃতি দিয়েছিল। তাতে একনম্বরে স্বাক্ষর করেছিল মুনির চৌধুরী। মুনির চৌধুরী পুরো যুদ্ধের সময় একদিনের জন্যও নিজের কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করেনি। এমনকি নভেম্বর মাসের বেতনও তিনি তুলেছিলেন। ১৩ তারিখ পর্যন্ত যারা অবলীলায় ঢাকায় থেকে পাকিস্তানিদের সব হুকুম হাকাম পালন করেছে, ১৪ তারিখ সুবেহ সাদেকে সেই পাকিস্তানিদের হাতে নিহত হয়ে সবাই পূতঃপবিত্র হয়ে গেল? আর যারা বেঁচে ছিল তাদের কেউ কেউ দালাল হলো? এটা কেমন বিচার?
৩১ জন বিবৃতিদান কারীদের মধ্যে থেকে কবি তালিম হোসেনকে যখন স্বাধীনতার পরপর দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন এভাবে, “…বেশ কিছুদিন ধরে কষ্ট হচ্ছে আমরা একসঙ্গে যারা পাকিস্তানের গোলামি করলাম, বেতন নিলাম তাদের কেউ কেউ মরে গিয়ে শহীদ হলো আমরা বেঁচে থেকে দালাল হলাম। এতে কেমন যেন স্বস্তি পাচ্ছি না। বাবা, অপরাধ যা কিছু করার আমরা একসঙ্গে করেছি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চাইতে পাকিস্তান আমলে আমি মাত্র এক বা দু’দিন বেশি বেঁচেছি, চাকরি করেছি। শহীদরা ১৩ তারিখ রাতে মারা গেছে। ১৪ আর ১৫ বলতে গেলে এই দু’দিন তো পাকিস্তানিদের দৌড়াদৌড়িই সার। ওই এক-দেড় দিন আমাদের কারোরই কিছু করার ছিল না। এখন মৃত্যু ভাগ্যে জোটে নাই তার জন্য কিইবা করতে পারি?”
হায় আফসোস ১৯৭১ এর ঘাতক দালাল কবীর চৌধুরী স্বাধীন বাংলাদেশের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা। সত্যি সেলুকাস বিচিত্র এদেশ। যে পরিবারের প্রতিটি সদস্য পাকিস্তানের পক্ষে দালালি করেছিল তারা আজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের? এর নামই কি আওয়ামী ভন্ডামি?
asaduzzaman বলেছেনঃ
আপনাদের মত উর্বর-মস্তিস্ক প্রাণী কোথায় ছিলো এতদিন ? ৭১সালে আপনার বয়স কত ছিলো ? অথবা অপনার পিতার বয়স কত ছিলো ? আপনার উর্বর মস্তিস্ক থেকে আবার কবে প্রসব হবে যে, ওরা কোন রাজাকার ক্যাম্পে রাইফেল তাক করে বসে ছিলো ,মুক্তিযোদ্ধাদের মাথার খুলি উডিয়ে দিবে বলে। প্রমাণ হিসেবে আপনার কোন নিকটাত্মিয় সাথে ছিলো বলবেন ।এইতো সেদিন আরেক উর্বর মস্তিস্ক বললো, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বিএনপি র ডাকে হরতাল সফল করুন !!!!!!!!!!!!!! হাগল কুনানের,বেকুব !!!!!!!!!
গোলাম রসুল খান বলেছেনঃ
আমি মুনীর চৌধুরীর ব্যাপারে একমত এবং আমি আগে থেকেই জানি যে উনি সহ আর ও বেশ কয়েকজন অধ্যাপক মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন।
বাঙ্গালী বলেছেনঃ
অথচ মুনির চৌধুরীকে এখন শহীদ বুদ্ধিজীবি বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিশাল ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে নাকি তিনি শহীদ হয়েছিলেন! অথচ তিনি সহ চীনপন্থী বাম যারা ছিল তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল না। বরং তারা মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই হিসেবে অভিহিত করত। আজ তারাও হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা!
শাকিল রহমান বলেছেনঃ
আসাদুজ্জামান( asaduzzaman )ভাই, শুরুতেই যদি মাথা গরম করেন তাহলে মতামত আসবে কিভাবে? 71 সালে আমার বয়স ছিল 7 বছর 4 মাস; আমার পিতাকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে গিয়েছিল! তার কারণ ছিল – আমার দুই ভাই ছিল মুক্তিযোধ্ধা! কিন্তু মজার বেপার হল এই 40 বছরেও তাদের মুক্তিযোধ্ধর সনদ ছিল না! আমার বড় ভাই 2010 সালে চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার পর অনেক কষ্ট করে সনদ পেয়েছে – মেঝ ভাইয়ের ভাগ্যে সনদ মিলে নাই; বর্তমান সরকারের আমলে মুক্তিযোধ্ধর সনদ বিক্রি হয়েছে বলে পত্রিকায় দেখেছি! দীর্ঘ 40 বছরে অগণিত রাজাকার মুক্তিযোধ্ধা হয়েছে – আর অনেক মুক্তিযোধ্ধকে রাজাকারে পরিণত করা হয়েছে! রাজাকাররা মোটা তাজা হয়েছে এবং হচ্ছে – আর অনেক মুক্তিযোধ্ধা অভুক্ত অবস্থায় মারা যাচ্ছে বলে পত্রিকায় দেখেছি!
সাঈফ বলেছেনঃ
লেখক কে (যুদ্ধাপরাধ নিয়ে জামাতের আইনজীবী স্টিভেনের মিথ্যাচার: পর্ব-১ (৭১২) – -নিঝুম মজুমদার) গতকাল আমি প্রশ্ন করেছিলাম, “শেখ হাসিনার নিকট আত্তিও-সজন ও নাকি এই বিষয়ের (যুদ্ধাপরাধ) মহারথী/মহগুরু। তাদের কী বিচার হবে নাকি সা কা , সাইদি দের বিচার হবে শুধু?” হাসিনা যদি শুধু সা কা , সাইদির বিচার করে তাহলে তো বিচারের পাল্লা একদিকে ভার হয়ে যাবে এবং বিএনপি এসে আরেকটা বিচার করে পাল্লা সমান করে দিবে। লেখক কে আরও বলেছিলাম, আমার পরিবার ও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ তাই আমিও আপ্রাণ বিচার চাই এবং সুস্থ বিচার চাই। [মন্তব্যের ব্যক্তিআক্রমনাত্মক অংশ মুছে দেয়া হলো :ব্লগ টিম] – ধন্যবাদ।
সোহাগ বলেছেনঃ
জানাব আপনার বয়স কত ছিলো মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন ? ধন্যবাদ।
বাঙ্গালী বলেছেনঃ
প্রশ্নটি কবির চৌধুরীকে করলেই সবচেয়ে ভাল হতো। যদি কবির চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করতেন জনাব আপনার বয়স কত ছিলো মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন? ভাল লাগত যদি কবির চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করতেন জনাব আপনি ও আপনার দুইভাই ১৯৭১ সালে কোন পক্ষে ছিলেন?