কম্পিউটার যদি ভাইরাসে আক্রমন করে, তাহলে হয়তো- নতুন করে সেটআপ নতুবা-এন্টি ভাইরাস প্রোগামের মাধ্যমে পরিস্কার করা হয়। যদি তাই সত্যি হয়। তাহলে কেন —- চলমান ঘটনাকে, নতুন ভাইরাস মনে করে আমরা তা প্রতিহত করতে পারবো না?
১। মাদকের বিরুদ্ধে, ২। এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ৩। যৌতুকের বিরুদ্ধে, ৪। ইভ টিজিংর বিরুদ্ধে, ৫। ধর্ষনের বিরুদ্ধে, ৬। গুম-হত্যার বিরুদ্ধে, ৭। সর্বপরি দূনীতি ও স্বজনপ্রীতি বিরুদ্ধে ….. ….. ……?
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন আমরা প্রয়োজনে আবার অস্ত্র হাতে নিব। আফসোস করে বলেন–এর জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম-৩০ লক্ষ মা,বোন,ভাই, বাবার রক্ত আর ইজ্জত দিয়ে। কিন্ত কেন এই অবস্থা, কেন তার প্রতিকার নেই। একজন বাবুর্চি বুক টান করে পুলিশকে বলে – পারলে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানা নিয়ে যান, দেখি কতক্ষন রাখতে পারেন? আমি আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। কত বড় সাহস চিৎকার করে লোকজন জড় ফেললো মুহু্ত্তেই, একজন অন্যজনের মুখের দিকে তাকিয়ে কোন শব্দ বিহীন জানতে চায়, কি হয়েছে? কেন বললাম, আশা করি পাঠক বুঝে নিয়েছেন। এই হল বর্তমান অবস্থা।
আবার – রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও যারা ক্ষমতাশীন হবেন–তারা ঠিক একই সুরে কথা বলবেন। যাই হোক, সাধারণ মানুষের করনীয় কি? এই সব থেকে পরিত্রানের জন্য। বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক, সমাজসেবী, মানবাধিকার,ব্যবসায়ী — আর বিশিষ্ট সুবিধা ভোগী ব্যক্তিরা কি বলেন? কিছু করার আছে কি?
শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ কামাল হোসেনের কলাম থেকে নেয়া "একটা সময় সুশীল সমাজ বা বুদ্ধিজীবীরা দেশ নিয়ে এত ভাবতেন করতেন যা এই বাঙালি জাতী এখনো চিত্তভরে স্মরণ করে কিন্তু এখন সুশীল সমাজ বা বুদ্ধিজীবীরা বিক্রি হয়। যখন যে ক্ষমতায় যায় তার হয়ে যায় আর বিরোধী হলে সরকারের বিরোধিতা করে শুধু মাত্র নিজের সুবিধার জন্য। প্লট বা সরকারি নিয়োগ বা সামান্য সুবিধার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দেন।"।
দ্রুত আরোগ্য কামনায় ক্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে সমবেদনা, ভয় নেই, আমরা আছি, তোমার পার্শ্বে–এ আঘাতে বন্ধ হবে না লেখার ধারা। এ হীন কাজ যারাই করেছে– তারা কাপুরুষ, তারা পুরুষ নামের কলঙ্ক।
এভাবে আর কত দিন চলবে। আর কত দিন, কত বৎসর হলে, কত ঘটনা ঘটলে– পরিসমাপ্তি হবে।