আঠারো’র ব্যানারে শুরু করেছিলাম পরিচ্ছন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (CLEAN DU) কর্মসূচি

দিব্যেন্দু দ্বীপ
Published : 12 April 2015, 05:50 PM
Updated : 12 April 2015, 05:50 PM

নিজ হাতে আমরা সেদিন (২০০৯ সালের প্রথম দিকে) ক্যাম্পাস পরিষ্কার করেছিলাম। শিক্ষার্থীদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম- একটু সচেতন হলেই ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখা যায়। পরবর্তীতে তখনকার উপাচার্য মহোদয় (বর্তমান উপাচার্য) আমাদের কর্মসূচীরে সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন। আমোদের ইচ্ছে ছিল- প্রতি মাসে একবার আমরা প্রতিকীঅর্থে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করবো। বিভিন্ন কারণে আমরা তা পারিনি। তবে কেউ না কেউ পেরেছিল। আমাদের ঐ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সেদিন জাইকার এক জাপানি ভদ্রলোক দেখেছিলেন। এক বন্ধু বলেছিল- আমাদের কর্মসূচীটি নাকি এবইউজড হয়েছে। কেউ এটিকে নিজের বলে চালিয়ে নিছে। কী হয়েছিল জানি না। যা-ই হয়েছিল, তাতে ক্ষতি নেই, যেভাবে হোক কিছু যে হয়েছিল, তা এখন বুঝতে পারছি, এবং তাতে ভালই হয়েছে।
আমাদের কর্মসূচীরটির বছর খানেক পরে জাপান থেকে একশো শিক্ষার্থী এসে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিজান পরিচালনা করল, তখন ভাল লেগেছিল, সবাই জাপানি শিক্ষার্থীদের বাহবা দিয়েছিল। একটু লজ্জাও লেগেছিল, কারণ, কাজটা তো আমাদেরই করার কথা।
কর্মসূচীটি এবইউজড হয়েছিল সে কথাটিও হয়ত পুরোপুরি মিথ্যা নয়। কেউ না কেউ আমাদেরকে বিক্রী করেছিল বলে শুনেছি। ছবি তুলে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে আমাদের কর্মসূচীটির উদ্যোক্তা সাজিয়েছি। উপাচার্য মহোদায় জানতেন- কারা কর্মসুচিটি শুরু করেছিল, তিনিও আমাদের কাউকে কখনো ডাকেননি। যাইহোক, সেদিকে না যাই। কাজটা আগাচ্ছে, এটাই ভাল লাগা।পরবর্তীতে ছাত্রলীগও 'ক্লিন ক্যাম্পাস সেফ ক্যাম্পাস' নামে একটি কর্মসূচী চালু করে। উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ কিন্তু এক সময় আমাদের কর্মসূচীতে বাধা দিয়েছিল, এবং একটি ঘটনার সূত্র ধরে আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে দেখলাম 'ক্লিন ঢাকা' কর্মসূচী। এখন দেখছি জাপান থেকে ওরা আবার এসেছে। ভাল লাগছে, তবে কাজটা আমরা চালু রাখতে পারলে সবচেয়ে ভাল লাগত।