তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
খুব সাবধানি আওয়াজ দরজায়। কে? কোন উত্তর নেই। আবার প্রশ্ন করি- কে? এবারও কোন উত্তর নেই। কিছুক্ষণ পর আবার মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধের ক্ষিণ কণ্ঠের মত ঠ…ও…ক, ঠ…ও…ক। বিরক্ত হয়ে সুবর্ণাকে বললাম, দেখো তো কে…
ও দরজা খুলে আমাকে ডাকল।
বলে, দেখেন, কত ছোট্ট একটা বাচ্চা, একটা গামলা নিয়ে এসেছে, কয়টা ভাত চায়।
সুবর্ণা ওকে দশ টাকা নিয়ে দিল। কিছু খাবারও দিল, পাউরুটি, পুডিং, মিষ্টি পেয়ে ও নাকি মহাখুশি, ও যেন ভাবতেই পারছে না- এ জগতে ভাত চাইলে কেউ মিষ্টি-পুডিং-পাউরুটি দিতে পারে!