গ্রামে বৃদ্ধদের অবস্থা খুবই করুণ

দিব্যেন্দু দ্বীপ
Published : 7 Jan 2016, 06:52 PM
Updated : 7 Jan 2016, 06:52 PM

পুলেশন সায়েন্সে একটি মাস্টার্স ডিগ্রি (অসমাপ্ত) থাকার সুবাধে জানি আমাদের দেশে আগত সমস্যার একটি হচ্ছে- বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান চাপ। বিষয়টিকে অবশ্য সমস্যা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই, এটি একটি বাস্তবতা। কোনো দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যখন কমতে থাকে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হারও কমতে থাকে তখন একটা সময়ে গিয়ে ইয়াং-এজ পপুলেশন বৃদ্ধি পায়, এটাকে ডেমোগ্রাফিক বোনাস বলে। এই সময়ে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সবচে' বেশি থাকে। এরপরেই ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধ লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গড় আয়ু বৃদ্ধিও বৃদ্ধ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি বড় কারণ। অনেক উন্নত দেশ এখন এই সমস্যার সম্মুখিন, তবে উন্নত জীবনধারার কারণে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা তেমন বড় কিছু নয়। কিন্তু আমাদের মত দরিদ্র দেশের ক্ষেত্রে এটি অনেক বড় সমস্যা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, যেখানে চিকিৎসা এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা অপ্রতুল, সেখানকার বৃদ্ধদের জীবনমান খুবই নিচে। দৈনন্দিন কাজকর্ম শেষ করা তাদের জন্য বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। আমাদের গ্রামে (দক্ষিণ পাড়ায়) এখন অশীতিপর বৃদ্ধ আছেন নয় জন। পুরো গ্রামের হিসেব সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। উক্ত নয় জনের মধ্যে কেউ-ই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা পায় না। দৈনন্দিন কাজকর্ম সারার জন্য তাদের কোনো সহযোগী নেই। খাবারের ক্ষেত্রেও তারা অবহেলিত, তবে এর কারণ অবশ্যই দারিদ্র এবং অসচেতনতা। গ্রামে একটি হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে একজন প্যারামেডিকস্ রয়েছেন সর্বক্ষণ, অনেক ধরনের ওষুধও পর্যাপ্ত থাকার কথা, কিন্তু দূর্নীতি এবং জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না থাকায় সেখান থেকে চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না গ্রামবাসী।

প্রতিদিন এভাবে লাঠিভর দিয়ে উনি হেঁটে যান বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরে একটি পুকুরে স্নান করতে। পথ মধ্যে মাঝে মাঝে তাকে বসে জিরিয়ে নিতে হয়।

ছবি তুলেছিলাম গতবছর বর্ষাকালে। এবার (৩ জানুয়ারি) গিয়ে দেখে আসলাম দু'জনই শয্যাশায়ী।

সকালে হাঁটতে হাঁটতে ছোট্ট এই চায়ের দোকানটিতে এসে বসে তারা।