ক্যান্সার আ্ক্রান্ত অভিনেত্রী দিতিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দশ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। দিতে পারেন, তবে আমি ধরে নেব প্রধানমন্ত্রী এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে দেননি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দেনননি, দিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে।
ব্যক্তি যে কাউকে ভালবাসতে পারে, সহযোগিতা করতে পারে, পাশে দাঁড়াতে পারে; ব্যক্তি শেখ হাসিনাও নিশ্চয়ই তা পারেন; তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তা পারেন কিনা আমার জানা নেই । প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী হিসেবে তাঁর কাছে দেশের প্রতিটি জনগণ সমান (রাজাকার বাদে) হওয়ার কথা।
এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬০ বছর বয়সী জনৈক সামাদ গাজী (পেশায় কৃষক) যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী করেন আমাকেও দশ লাখ টাকা দিন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী তাকে দশ লাখ টাকা দেবেন না কোন যুক্তিতে?
প্রধানমন্ত্রী মানে আমাদের মত দেশে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা, তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপ আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি।
কয়েকদিন আগে একটি খবরে দেখলাম- জাপানে একটি রেল স্টেশন চালু রাখা হয়েছে একটি গ্রাম থেকে একটি মেয়ের কলেজে আসার জন্য। ঐ মেয়েটি বিশেষ কেউ নয়, একজন শিক্ষার্থী।
এখান থেকে বুঝতে হবে- জনগণের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার বিষয়টি। বিষয়টি ম্যাটেরিয়ালি ফলো করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কিন্তু বিষয়ের এবস্ট্রাক্ট আমাদের নিতে পারা উচিৎ।
অবশ্যই প্রত্যাশা করি অভিনেত্রী দিতি সেরে উঠুক। একইসাথে এও প্রত্যাশা করি প্রতিটি নাগরিকের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র সমান আচরণ করবে।