ঘুরে এলাম নবাবগঞ্জের কলাকোপা এবং মৈনটঘাট, দোহার

দিব্যেন্দু দ্বীপ
Published : 11 Feb 2016, 05:49 PM
Updated : 11 Feb 2016, 05:49 PM

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা।ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপত্য। নবাবগঞ্জের কলাকোপা ইউনিয়নটি ঐতিহ্যের দিক থেকে সবচে বেশি এগিয়ে।

প্রথমেই আমরা গেলাম ইছামতির তীরঘেষে অবস্থিত কলাকোপা আনসার ক্যাম্পে।এই আনসার ক্যাম্পটিও একটি জমিদার বাড়ি ছিল। এখানকার চা-চক্র শেষ করে আরো কিছু স্থাপনা দেখার জন্য সামনে হাঁটলাম। খানিকদূরে গিয়ে এতিহ্যবাহী এসএন সাহার বাড়িটি দেখে হতাশ হতে হলে। এতিহ্য গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে এখন উঠছে নতুন স্থাপনা।

চলতি পথে কলাকোপা বাজার। এই বাজারে নাকি খাঁটি দুধ বিক্রি হয়। দামও খুব বেশি না। পঞ্চাশ টাকা প্রতি কেজি।

গ্রাম বাংলার আরেক ঐতিহ্য মূলি বাঁশের বেড়ার দেখা মিলল এখানে। মূলি বাঁশ এনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নদীর পাড়ে। অদূরের চলছে বেড়া বানানোর কাজ।

বেলুন ফুটানো, মিউজিক্যাল চেয়ার, মোরগ যুদ্ধ ইত্যাদি মজার খেলা খেলে আমরা খাইলাম অসম্ভব সুস্বাদু কিছু খাবার। স্থানীয় বাবুর্চী পোলাও মাংস, সবজি রান্না করেছে চমৎকার।

সংলগ্ন বাড়িটি থেকে খেলাধুলা দেখতে হাজির হয় ছোট্ট ছেলে-মেয়েরো।

ছবিটাকে নিঁখুত করতে তাদের চেষ্টার কোন কমতি ছিল না।

এরপর খানিক বিশ্রাম নিয়ে আমরা রওনা হই দোহার উপজেলার পদ্মাপাড় মৈনটঘাটের উদ্দেশ্যে। এই জায়গাটিকে অনেকে মিনি কক্সবাজারও বলে থাকে।
পদ্মায় নৌকা ভ্রমণের সাথে সাথে সুর্যাস্তের দৃশ্য দেখলাম। একটি চরের পাশা নৌকা ভিড়িয়ে অনেকে লাফ দিয়ে পড়ল নদীরে শীতল পানিতে।

এবার ফেরার পালা। সে আরেক মজা। বাসে ওঠার ঠিক আগ মুহূর্ত পদ্মা পাড়ে ফানুস উড়িয়ে নতুন মাত্রা যোগ করা হল।এরপর ঢাকা পর্যন্ত বাসের মধ্যে নানাবিধ মজা করা হল। র‌্যাফেল ড্রতে পুরস্কার জিতল সবাই।

এরাই ছিল ট্যুরের প্রাণ ভোমরা।

ছোট্ট ঈশপ মজা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।