ওরা আয়ের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে যথেচ্ছ ব্যয়ের মধ্য দিয়ে

দিব্যেন্দু দ্বীপ
Published : 19 March 2016, 01:07 AM
Updated : 19 March 2016, 01:07 AM

ডেইলি স্টার পত্রিকার একটি খবর- ঢাকা শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং কানাডার মন্ট্রির শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় একই। কিন্তু জীবনমানে রয়েছে যোজন যোজন ফারাক। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনোমিস্ট-এর তথ্য মতে ঢাকা এবং মন্ট্রিল খরচের দিক থেকে রয়েছে ৭১নম্বরে, অন্যদিকে কানাডার টরেন্টো রয়েছে ৮৮নম্বরে। অর্থাৎ, টরেন্টো শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় ঢাকার চেয়ে কম! আমেরিকার অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এবং দূর্নীতির দেশ মেক্সিকের রাজধানী মেক্সিকো সিটির অবস্থানও ঢাকার পরে।

জীবনের সকল ঘটনার সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক তৈরি করা যায়। এখানেও আচমকা অর্থনীতির একটি সরলীকরণ করা যায়। জীবনযাত্রার মানের তুলনায় কেন ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় এত বেশি? সহজ ভাষায়- বৈষম্য ও দুর্নীতি।

আয়ের মাধ্যমে যদি পাপ হয়, তাহলে ব্যয়ের মাধ্যমে সে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হয়। সকালে আপনি ঠাঠারি বাজার বা ছোটখাট কোন বাজারে গিয়ে দেখবেন পাঁচ/সাতশো/এক হাজার টাকা কেজি দরের মাছ দশ/বিশ কেজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। ওখানে আপনি পাত্তাই পাবেন না। এর বিপরীত চিত্র হচ্ছে, হাফ কেজি/এক কেজি তেলাপিয়া বা নলামাছ কেনার জন্য ঘুরছে একই বাজারে শত শত মানুষ।

ঐ বেঘারে খানেওয়ালারা কিন্তু খেয়ে নিশ্চিন্ত থাকে না। এরপর আসে হজমের প্রশ্ন। যেহেতু গাড়িতে চলে তাই সময় বের করে হাঁটতে হয়, তাতেও নিস্কৃতি মেলে না। মনের জুজু এবং পকেটের টাকা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় স্কয়ার/ল্যাব এইডে, এভাবে প্রায়শ্চিত্তের প্রথম পর্ব শুরু হয়। তার আগে থেকেই সন্তানদের নষ্ট করা শুরু করে দেয়। নষ্টের প্রথম ধাপ বেশি খাইয়ে স্থুল বানিয়ে ফেলা, দ্বিতীয় ধাপ ইংলিশ মিডিয়াম/বাংলিশ মিডিয়াম এবং ডজন খানেক টিচার দিয়ে সন্তানের লাইফ হেল করে দেওয়া। এভাবে তারা অবৈধ উপায়ে আয়ের প্রায়শ্চিত্ত ব্যয়ের মাধ্যমে করছে এবং দেশটাকেও ঠেলে দিচ্ছে চরম বৈষম্য এবং দুর্নীতির মধ্যে।