আমি দুই মাথার মানুষ

দিব্যেন্দু দ্বীপ
Published : 11 April 2016, 09:03 AM
Updated : 11 April 2016, 09:03 AM
আমার শক্তির জায়গাটা হচ্ছে, আমি দুই মাথার মানুষ। আমার ধারণা এটা প্রাকটিসের ফলে হয়েছে। পরীক্ষা দেওয়ার সাথে সাথেও অন্য একটি প্লান আমি নির্বিঘ্নে করতে পারি। তবে এর নেতিবাচক দিকও আছে। হঠাৎ এবসেন্ট মাইন্ডেড হয়ে ভুল করে ফেলতে পারেন। তাতে বর্তমান পারফরমেন্স খারাপ হবে। দুই এর জায়গায় চার লিখে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ, এই প্রকাটিসের কারণে আপনার সমসাময়িক অনেকে এগিয়ে থাকবে। তবে চূড়ান্ত বিচারে আপনি এগিয়ে থাকবেন, যদি নিজের কাজের প্রতি আস্থা থাকে, বিশ্লেষণ থাকে এবং চালিয়ে যেতে পারেন।
[* খুব অভ্যস্ত না হলে এই প্রাকটিসে সর্বনাশও হতে পারে।]
ছোটবেলা থেকেই প্রাকটিস করলে যে কারো এই স্কিল আসতে পারে। দুই মাথার মানুষ মানে, আপনি যখন একটি কাজ করছেন, একই সাথে মাথাটা অন্যদিকে খাটাতে পারেন। ধরুণ, আপনি কাউকে পড়াচ্ছেন, এরজন্য আপনার কিন্তু চিন্তা করার খুব বেশি প্রয়োজন নেই, কারণ, আপনি জানা জিনিসই পড়াচ্ছেন। এই সময় আপনি অন্য কোন চিন্তা, প্লান, এনালাইসিস করতে পারেন।
বউয়ের সাথে গল্প করছেন, তাতেও কিন্তু মাথা লাগার কথা না, লাগলেও মাথার খুব সামান্য অংশ সেখানে ব্যয় হওয়ার কথা, বাকী অংশ দিয়ে দিব্যি আপনি অন্য কাজ (চিন্তা) করতে পারবেন। তবে বউ যেন টের না পায়, তাহলে খেপে যাবে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দুইটা মাথা ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে বিশাল ভলিউমের কাজ করা সম্ভব। তবে এজন্য দরকার প্রতিষ্ঠান। মাথায় যা ধরে তা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রতিষ্ঠান লাগবে। এমপ্লয়ি লাগবে। নিজেকে এমডি লেভেলে, মানে নিজেকে এম্প্লয়িদের হেড হিসেবে দাঁড় করাতে না পারলে দুই মাথা কাজে লাগানো কঠিন। অন্যের প্রতিষ্ঠানের হেড হয়ে মাথা কাজে লাগানো যাবে না। অন্যের প্রতিষ্ঠানের হেড বাংলাদেশ হওয়া যায়ও না।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে থেকেও হবে না। নিজের প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে হবে যে কোন মূল্যে। একটি রিসার্স ফার্ম এবং একটি পাবলিকেশন্স। টুকটুক করে এগাচ্ছিও, কিন্তু গতি খুবই ধীর। বিনিয়োগ দরকার।
এটাও নিশ্চেত থাকতে হবে যে, তেমন কোন হেল্প পাওয়া যাবে না। কারণ, যুগটা এমন যে, এখানে সবাই সর্বেসর্বা। যার টাকা আছে সে তা দিয়ে ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ করবে, কিন্তু কোন মহৎ কাজে লাগাবে না। আপনার কাছের লোক হলেও না। টাকাটা তার, তাই আপনার এখানে কিছুই করার নেই। ব্যাংক লোনও পাওয়া যাবে না। কারণ, মর্টগেজ নেই।
তাই বসে বসে আঙ্গুল চুসতে হবে আরা চিন্তা-ভাবনাগুলো সংক্ষিপ্তাকারে ডাইরিতে লিখে রাখতে হবে। কোনদিন সুযোগ আসলে কাজে লাগাতে হবে। সুযোগ না আসলে আক্ষেপ নিয়ে মরতে হবে।