তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
জীবনে এতটা ক্লান্ত বোধ করিনি কোনোদিন। নিজের কোনো অপ্রাপ্তি বা ব্যর্থতা আমাকে এতটা ক্লান্ত করে না। কিন্তু শিশুদের মানবেতর অবস্থা আমার একেবারেই সহ্য হয় না।
কাকরাইল বাসস্টান্ডে দেখলাম, আইল্যান্ডের পাশে ছোট্ট একটা শিশু কাঁদছে, ছোট্ট মানে খুব ছোট, এক বছর বয়সও হয়নি হয়ত। পাশে আরেকটি শিশু, তার বয়স বড় জোর পাঁচ বছর, স্বাভাবিকভাবেই শিশুটি অপুষ্ট, অতি কষ্ট করে কাঁদছে। বড় শিশুটিকে বললাম, ওকে কোলে নাও। ওর মায়ের খবর নিয়ে খুব একটা কোনো হদিস পেলাম না। পাশের ডিমের দোকান থেকে একটা সিদ্ধ ডিম কিনে বড় শিশুটিকে বললাম, ওকে খাওয়ায়।
ভাবা যায়, পাঁচ বছরের একটি শিশু নিজের ক্ষুধা গোপন করে এক বছরের শিশুকে খাওয়াচ্ছে! এর থেকে রূঢ় বাস্তবতা আর কী হতে পারে? সকল আদর্শই তখন তুচ্ছ আমার কাছে, এমনকি শহীদ মিনারের বেদিও।