মানুষ প্রাণী হত্যা করে খায় সেই আদিকাল থেকে। বলা চলে সম্ভবত এখন পর্যন্ত মানুষ সবচে' বেশি সময় ধরে একমাত্র খাদ্য হিসেবে নির্ভর করেছে শিকার করা পশুদের উপর। এরপর সভ্যতা ধিরে ধিরে এগিয়েছে, মানুষের খাদ্যাভাসও বদলেছে, কিন্তু শুধু খাদ্য হিসেবে না হোক আমিষ হিসেবে প্রাণী হত্যা করে খাওয়ার রেওয়াজ কিছু কমলেও সারা বিশ্বেই তা বিদ্যমান। তালিকাটা একটু ছোট হয়েছে মাত্র, এখন আধুনিক জীবন-যাপন করা মানুষেরা গড়ে পাঁচ-ছয় রকম প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করে থাকে। হত্যা করে খেতে হয় -বিষয়টা প্রাণী জগতের খাদ্য শৃঙ্খলে নিষ্ঠুর এক অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা। মানুষকে পশু মানলে ঠিকই আছে, কিন্তু একইসাথে মানুষ মানবিক বলে, সভ্য বলে, সর্বশ্রেষ্ঠ বলে আমাদের খাওয়ার রকমটা একটু ভিন্ন। হত্যা করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণীটার প্রতি আমরা সদয় থাকতে চাই। সভ্যতার দাবী এমনই, হত্যা করে প্রাণী খাওয়া চলে না -এমন দাবীও পৃথিবীতে বিরল নয়। পৃথিবীতে প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করে না এমন লোকও খুব কম নয়। বিরুদ্ধবাদীরা অবশ্য বলে থাকেন গাছেরও তো জীবন আছে, তা ঠিক, কিন্তু গাছের জীবনের সাথে চলনশক্তি সম্পন্ন এবং ভিন্ন এবং অত্যন্ত সক্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রাণীর প্রত্যক্ষ তুলনা চলে না। গাছের ব্যবহারও বহুবিধ। যাইহোক, এ বিতর্ক দীর্ঘ এবং লাগামহীন। আমার আগ্রহ সেখানে নয়। বলতে চাইছি, হত্যার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সদয় থাকার কথা। নিচের ছবিটি বলে দিচ্ছে প্রাণীদের প্রতি আমাদের আচরণ মানবিক নয় মোটেও। ছবিটি ঢাকার ঠাঁঠারি বাজার থেকে তোলা।