এক ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজের শেষে ঘরমুখো সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বাস্তব চিত্র দেখলাম আর নিজেও দুর্ভোগের অংশীদার হলাম। রাস্তায় অসংখ্য কোটি টাকা দামের ব্যক্তিগত গাড়ির ছড়াছড়ি; বেশিরভাগ গাড়িতে চালক ছাড়া আর কোন যাত্রী নেই। এতো এতো গাড়ি অথচ সাধারণ ঘরমুখো মানুষগুলো একেকটা লোকাল বাস আগমনের সাথে সাথে বাসে উঠার জন্য দৌড়াতে থাকে; কী অসহনীয় বাস্তবতা! সিএনজি অটো রিকশা পেয়ে বাড়ি ফেরাও প্রায় অসম্ভব। প্রচন্ড জ্যামে আটকে থাকতে হয় বলে ভিওআইপি সড়ক বা বস্তিমুখী সড়ক কোন দিকেই যেতে রাজী হয় না। ঢাকার এই চিত্র কখনোই প্রমাণ করে না যে ঢাকা একটি দেশের রাজধানী হওয়ার যোগ্য। অপরিকল্পিত নগরী- দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ডিসেন্ট্রালাইজেশন বন্ধ না করলে আগামী ২/৩ বছর পর মানুষ বোধহয় শ্বাস নিতে পারবে না ঢাকায়। উড়াল সড়ক বানিয়েও কি কোন লাভ হচ্ছে? হচ্ছে না; যে লাউ সেই কদু। মাঝখান থেকে ক্ষমতাসীনরা টাকা কামাচ্ছে। স্বাধীনতার স্তম্ভ বানানোর নামে দেশে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়; এই টাকা দিয়েও তো উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়। কিন্তু ওরা তা করবে না। শুধুমাত্র ইচ্ছে করলেই দেশের অনেক বড় বড় সমস্যা সমাধা করা সম্ভব কিন্তু ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা তা করবে না, কারণ ব্ল্যাক পলিটিক্স। যত বেশি সমস্যা ততো বেশি টাকা কামানোর পথ। এক একটি সমস্যার সাথে জড়িয়ে থাকে চেইন অফ করাপশন। এই ৪১ বছরেও কুৎসিত রাজনীতিকরা ক্ষমতায় এসে রাজধানীকে সাজাতে পারল না, শুধু নিজেদের পেট ভরানো আর দেশকে বিক্রি করে দেয়া ছাড়া। দেশের সকল রাজনীতিকদের গায়ে জুতো মেরে দেশ থেকে বের করে দিতে পারলে দেশের শাপমোচন হত….