সম্পূর্ণ পিঠে রড, পাইপ আর চেনের আঘাতের দাগ, কপালে ভ্রু’র কাছে ডিপ হয়ে গেছে। মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। ফুলে যাওয়ায় গোল মাথাটা বহুভূজ আকৃতির হয়ে গেছে। পিঠে আঘাত পাওয়ায় শুয়েও থাকতে পারছে না আবার মাথায় আঘাত পাওয়ায় বসেও থাকতে পারছে না। ঠিক এরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে দুইরাত একদিন পার হচ্ছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী মহিতোষ রায় টিটু ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের হামলায় শিকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিডিনিউজের সাংবাদিক শফিকের। কিছুক্ষণ আগে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। অবস্থা একটু ভালো। স্যালাইন চলছে সঙ্গে চলছে তরল জাতীয় খাদ্য গ্রহন।
আচ্ছা, একবার ভাবুন তো- শফিক ক্যাম্পাসে এসে আবার যখন এই সন্ত্রাসীদের দেখতে পাবে তখন তার কেমন অনুভূতি হবে?

ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বপ্রনোদিত হয়ে এখনো তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া বিচার পাওয়া কঠিন এটা যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে এই ক্যাম্পাসে।
তবে আমরাও ছাড়ছি না। এর শেষ দেখে ছাড়বো। যেহেতু আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া বিচার পাওয়া যায় না সেহেতু আন্দোলন-সংগ্রাম করেই আমরা দৃষ্টান্তমুলক বিচার আদায় করবো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মাঠে প্রয়োজন।
আমরা চাইলেই এরকম দুই চারটা সন্ত্রাসী ক্যাম্পাস থেকে বিতারিত করা কঠিন হবে না।
আন্দোলনের মাঠে অাপনাদের পাবো তো ? আমাদের এই সবুজ ক্যাম্পাস আবারো সন্ত্রাসমুক্ত করার অপেক্ষায় থাকলাম।
এলডোরাডো বলেছেনঃ
শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলছি সবুজ ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত করতে পারবেন না। এখানে এক মানিক (সেঞ্চুরী মানিক) গেলে আরেক মানিক রতন এসে তাঁর জায়গা দখল করে নেয়। মহিতোষরা সে ধারা বেয়েই এখানে উদয় হয়েছে। এক মহিতোষ গেছে ( যদি বহিস্কার হয় আর কি) অসংখ্য মহিতোষ অপেক্ষায় আছে। আর সত্যিকার ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় এখন “মহিতোষদের”ই সময়।