গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ নানা সংবাদ মাধ্যমে একটি সংবাদ বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে তা হলে রাজধানীর মৎসভবনের সামনে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মুস্তাইন কর্তৃক দৈনিক মানবজমিনের ফটোসাংবাদিক মো. নাসির উদ্দিনকে নির্যাতনের ঘটনা। বিভিন্ন মাধ্যমে মুস্তাইন কতৃক নাসির উদ্দিনকে নির্যাতনের যে ছবি আমাদের দেখতে হয়েছে একটি সভ্যজাতির জন্য দুঃখজনক তো বটেই লজ্জা এবং বিব্রতকরও বটে। আমাদের পুলিশ বাহিনী একটি বিশাল সুশৃংখল হিসেবেই আমাদের কাছে বিবেচিত। তবে কেন জানি সবসময়ই আমাদের পুলিশ বাহিনীর রয়েছে ইমেজ ক্রাইসেস। সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়তই শিরোনাম হয় এই বাহিনীর কিছু সদস্যের নানা অপকর্ম।
যদিও পুলিশের বড় কর্তারা সব সময়ই বলে থাকেন একটি বিশাল বাহিনীতে দুই চার জন খারাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। এই কথার সাথে অবশ্য আমরাও দ্বিমত পোষণ করতে পারিনা। একটা বিশাল বাহিনী তে দুই চারজন খারাপ লোকের অবস্থান থাকতেই পারে এটা শুধু আমাদের বাংলাদেশের বেলায়ই না বিশ্বের উন্নত দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ অনিয়ম ও অপকর্মের কথা উঠছে তা কিন্তু পুরোনো ঘটনা গুলিরই নতুন সংস্করণ। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি মিথ্যামামলায় হয়রানি সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে সংবাদিক শিক্ষক রাজনীতিবিদদের শারিরীক নির্যাতন বিনাবিচারে তথাকথিত ক্রসফায়ারে মানুষ খুন কোন অভিযোগ না আছে? তারপরও কিন্তু এই ধরনের সকল অপকর্ম গুলিই করে যাচ্ছেন আমাদের এক শ্রেণীর পুলিশ সদস্য।
এবার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মুস্তাইনের ঘটনায় আসি। ১১ অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল সোয়া ৪টার দিকে প্রেস ক্লাব থেকে কারওয়ান বাজারে দৈনিক মানবজমিনের কার্যালয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক জীবন ঘোষকে সাথে নিয়ে রওনা দেন ফটোসাংবাদিক নাসির উদ্দিন। এ সময় ঢাকা মহানগর ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. মুস্তাইন নাসির উদ্দিনের মোটরসাইকেলকে সিগনাল দিয়ে থামান মৎস ভবন মোড়ে। এ সময় মুস্তাইন মোটরসাইকেলের নথিপত্র দেখতে চান। নাসির উদ্দিন মোটরসাইকেলের নথিপত্র এবং তার ব্যক্তিগত ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখান। তখন তিনি নাসিরের কাছে জানতে চান, তার হেলমেট কোথায়? নাসির বলেন, তিন দিন আগে তার হেলমেটটি প্রেসক্লাব থেকে চুরি হয়ে গেছে। দুই দিন পরই তিনি হেলমেট কিনবেন। শত কাকুতি-মিনতি সত্ত্বেও কর্তব্যরত সার্জেন্ট তার নামে মামলা রুজু করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের নামে কুৎসা করতে থাকেন। কুৎসার তীব্র প্রতিবাদ জানান নাসির। এক সময় নাসির ও জীবনকে শারীরিক ভাবে আঘাত করতে আসলে নাসিরের সাথে থাকা ক্যামেরা দিয়ে মুস্তাইন ছবি তোলার চেষ্টা করেন। এতে সার্জেন্ট মো. মুস্তাইন নাসিরকে শারীরিক নির্যাতন সহ শার্টের কলার ধরে মৎস ভবনের পুলিশ বক্সে নিয়ে যান এবং সেখানে বসিয়ে রাখেন। কোথাও যাতে ফোন দিতে না পারেন এ জন্য নাসিরের ফোনটিও ছিনিয়ে নেন তিনি। পরে খবর পেয়ে নাসির উদ্দিনের সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। অবশ্য এই অপরাধের জন্য সাংবাদিকদের শান্ত করার লক্ষ্যে মুস্তাইনকে ক্লোজ করা হয়েছে।
সাম্প্রতি খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালতে খালিশপুর থানার ওসিসহ পুলিশের আট সদস্য তিনজন আনসার সদস্য সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রেনু বেগম নামের এক মহিলা। রেনু বেগমের দাবি গত ১৮ জুলাই তার ছেলে মো. শাহ জালাল স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে নগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনির শ্বশুর বাড়িতে আসেন। ওইদিন রাত ৮টার দিকে শাহ জালাল তার শিশু কন্যার দুধ কেনার জন্য বাসার পাশের একটি দোকানে যান। এ সময় খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খানের নির্দেশে কৌশলে তাকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। তার ফিরতে দেরি হওয়ায় খোঁজ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে ওসি তাকে ছাড়ানোর জন্য দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন। কিন্তু দাবিকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হয়ে স্বজনরা থানার সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। এর মধ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা শাহজালালকে পুলিশের গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে যান। পরদিন ১৯ জুলাই ভোরে তারা থানায় গিয়ে জানতে পারেন শাহজালাল নামে কেউ থানায় নেই। পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে তারা জানতে পারেন শাহজালাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গিয়ে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১০-১১নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় তাকে পড়ে থাকতে এবং দুটি চোখ উপড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। শাহজালালের বক্তব্য পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুলিশ কর্মকর্তারা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গাড়িতে করে গোয়ালখালি হয়ে বিশ্ব রোডের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে তার দুটি চোখ উপড়ে ফেলে।
নাসির বা শাহজালালের ঘটনার চেয়ে ও আরো আনেক দুর্ধষ আপরাধের নায়ক আমাদের পুলিশ বাহিনের অনেক সদস্য। পুলিশে চাকুরি কোন সাদাসিদে চাকরি নয়। এটা ইউনিফর্মের আবরণে আবৃত একটি পেশা। যেহেতু পুলিশ রাষ্ট্র তথা সমাজের আইন-শৃংখলা রক্ষাকরা ইউনিফর্মে আবৃত তাই আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য খুনি চোর ডাকাত অর্থাৎ অপরাধীদের নিয়েই পুলিশের দিনকাল। তাই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আচার আচরণে কিছুটা কর্কশ হলে অশ্চর্যের কিছুই নাই। তাই বলে কোন ভাবেই হিংস্র হওয়াটা কারোই কম্য নয়। পুলিশ নামের প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু রাষ্ট্র তথা সমাজের সমগ্র আইন-শৃংখলা রক্ষার প্রতিষ্ঠান তাই এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের কাজই হলো রাষ্ট্র তথা নাগরিকের শান্তি-শৃংখলা ও জনস্বার্থ রক্ষা করা। তাই বিশ্বের অনেক দেশেই পুলিশকে বিভিন্ন উপাধিতে ডাকা হয়। যেমন আইরিশ পুলিশদের ডাকা হয় গার্ডা সিওচানা, যার বাংলা অর্থ “শান্তির অভিভাবক”, আর একজন পুলিশ অফিসারকে শুধু গার্ডা বা শান্তির কর্মী বলে। তবে আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনীর আচার ব্যবহারের সঙ্গে আইরিশ পুলিশের ঐ উপাধি কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ এটা ই আজ বড় প্রশ্ন?
সব সময়ই পুলিশ বাহিনীর কর্তাব্যক্তি ও সরকারের তরফ থেকে আমরা বলতে শুনি একটি বিশাল বাহিনীতে দুয়েক জন খারাপ লোকের অবস্থান থাকতে পারে তাতে পুরো বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানকে দোষারপ করা ঠিক হবে না। মানলাম তাদের এমন কথা কিন্তু বাস্তবতা হলো পুলিশ বাহিনীর সদস্যের দ্বারা সংগঠিত নানা অপরাধের পর কি ঐ ধরনের অপরাধের খায়েস পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বন্ধ হয়েছে নাকি মাত্রায় আরো বেড়েছে? সবারই উত্তর হবে বেড়েছে। আর যদি বেড়েই যায় তা হলে এমন একটি সু-শৃংখল বাহিনীর সদস্যের অপরাধ প্রবণতা রাড়ার কারণ কি সরকার ও প্রশাসন কখনো খতিয়ে দেখেছেন?
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পুলিশ বাহিনীর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্ব ও বীরত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর হানাদার বাহিনী যখন নির্বিচারে বাঙালিদের হত্যা করেছিল, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে তখনো প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে পুলিশের এ সদস্যরা নয় মাসজুড়ে দেশব্যাপী গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত ঝিনাইদহের তৎকালীন সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এত কিছুর পরও রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনীকে নানা অপকর্মে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং আমাদের পুলিশ ও তাদের কর্তব্যও ঐতিহ্যের কথা ভুলে গিয়ে নানান অপকর্ম ও অপরাধে জরাচ্ছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক, সেই সাথে আতংকজনকও বটে। আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের মনের ভিতরে মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা জাগ্রত হবে, জাগ্রত হবে তাদের বিবেক ও কর্তব্যবোধ। আমাদের পুলিশবাহিনী আমাদের বন্ধু হয়ে আমাদের সেবক হয়েই আমাদের পাশে থাকবে।
জহিরুল হোসাইন খান বলেছেনঃ
জনাব ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন যথার্থই বলেছেন। আমি উনার বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
মিলটন কুমার বলেছেনঃ
লেখাটা আমার মনে হয়েছে বাস্তবসম্মত। পড়েছেনও অনেকে। কিন্তু মৌন রয়েছেন একজন ছাড়া। এতেই বোঝা যায় এই বাহিনীকে মানুষ কত ভয় পায়। মানুষ তাদের ভয় পায় এজন্য তারা মনে হয় গর্বিত। আর আমরা আম-জনতা ভীত!
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
সুলিখিত নিবন্ধের জন্য ধন্যবাদ। সাংবাদকি ও পুলিশের মধ্যে অম্ল-মধুর সম্পর্কের বিষয়টি সবারই জানা। আলোচ্য ঘটনাগুলোর অনেকগুলোই এখন তদন্ত বা বিচারিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এগুলো নিয়ে আমি তেমন কিছু বলতে চাই না।
পোস্টের ছবিতে সাংবাদিক সাহেব হেস্তনেস্ত হচ্ছেন। কিন্তু তিনি যে পুলিশের বৈধ কর্তৃত্বের বিপরীতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন সেটা অনেকটাই অনুপস্থিত।
ঢাকা শহর তো বটেই, এমনকি মফসালের ছোট ছোট শহরগুলোতেও সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিগণ এত দৌরাত্বের সাথে চলেন যা সাধারণ মানুষকেও বিব্রত ও আতঙ্কগ্রস্থ করে। আলোচিত সাংবাদিকের মাথায় হেলমেট ছিল না। তাই তার বিরুদ্ধে একটা মামলা দেয়ার ঘটনা জানলাম। একটি মামলায় তার কি এমন ক্ষতি হত? এখন তো অনলাইনে বা বিকাশে ট্রাফিকের ফাইন পরিশোধ করা যায়।
একটা গবেষণালব্ধ তথ্য দেই। যেসব ঘটনায় মানুষ পুলিশের বাড়াবাড়ির শিকার হয়, সেগুলোর অধিকাংশেরই সূচনা ঘটান নাগরিকগণই। ঢাকা শহরে যত সাংবাদিক মোটর সাইকেল নিয়ে চলেন তাদের অধিকাংশেরই বৈধ কাগজপত্র নেই এবং এনারা ট্রাফিক সিগন্যালের প্রতি শ্রদ্ধাও দেখান না। তারা মনে করেন, সাংবাদিক হিসেবে তাদের ইনডেমনিটি আছে। এর পরও সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের কদাচিৎ সংঘর্ষ ঘটে। এক হাতে তালি বাজে না। তাই এই ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট এর সাথে সাথে সাংবাদিকেরও আচরণগত সমস্যা থাকা অস্বাভাবিক নয়।
এবার একটা নিজের ঘটনা বলি। দেশের দক্ষিণ-পঞ্চিমাঞ্চলে চাকরি করার সময় একটি পিচ্ছি ছেলে শিশুদের নিয়ে নাটক করত্। সাংস্কৃতিক বিষয়ে আমার আগ্রহ ও সাধারণ মানুষের সাথে মেলামেশার প্রবণতা দেখে ওরা আমাকে ওদের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক বানাল। আমি যতদিন ঐ স্টেশনে চাকরি করেছি ততোদিনই তাদের সাথে কাজ করেছি।
এমনকি ঐ স্টেশন থেকে আসার পরও তাদের আমি নানাভাবে সহায়তা দিযেছি। একবার ওরা মামুনুর রসিদকে নিয়ে আসলে ঐ মহৎ অভিনেতার গোটা দলের পরিবহণ ও পরবর্তী আপ্যায়নের ভারটিও আমি নিয়েছিলাম। তাদের পুলিশ সুপারের বাসভবনে নিয়ে আপ্যায়ন করেছিলাম যেটা ঐ পিচ্ছিদের কল্পনার বাইরে ছিল।
অনেকদিন পর আমার বর্তমান কর্মস্থলে সেই পিচ্ছি নাট্যকর্মীটি এলো। সে জানাল, এখন সে সাংবাদিকতা করে। আমি তাকে অভিনন্দন জানালাম। ভাল আপ্যায়ন দিলাম। সে চলে গেল। এর পথ থেকে সে ফোনে আমাকে রাজ্জাক ভাই বলা শুরু করল।
যখন নিম্ন পদে ছিলাম তখন সে আমাকে স্যার বলত, এখন উচ্চ পদে উঠলাম সে আমাকে ভাই বলা শুরু করল। স্যার বলা থেকে ভাইয়ে নামাটাকে আমি বড় পাত্তা দিই না। কারণ প্রবেশন প্রিয়ডে এক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে গেলে ছাত্ররা ওসিকে স্যার ও আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করেছিল। আমি এতে খুশিই হয়েছিলাম।
কিন্তু এই পিচ্ছি নাট্যকর্মীর মানসিক পরিবর্তনটা এসেছিল সাংবাদিক হওয়ার সুবাদে। দিনাজপুরের ‘দৈনিক গোমর ফাঁস’ নামের অপ্রচলিত স্থানীয় পত্রির কার গ্রামীন প্রতিবেদন থেকে শুরু করে বহুল প্রচারিত প্রথশ আলোর সম্পাদক পর্যন্ত সবাই মনে করেন সাংবাদিক হওযা মানেই সকল আইনের ঊধ্র্বে ওঠা।