কুষ্টিয়া শহরে রনি (৩০) নামে এক যুবলীগকর্মীর হাতের তিনটি নখ উপড়ে ফেলেছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ ক্যাডাররা। হাতুড়ি, হকিস্টিক দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে তার সারা শরীর। ভেঙে ফেলা হয়েছে ডান পা।
সবশেষে নিজেদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র রনির হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাকে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা।
জেলা যুবলীগের মিছিলে যোগ দেওয়ায় তার এ পরিণতি হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রনি। সূত্র: বাংলানিউজ২৪
খবরটি পড়ুন এবং একবার ভাবুন এ কাজটি যদি শিবির কিংবা বিএনপির কেউ করত তাহলে কি হত ? কি লিখতেন আমাদের সাংবাদিক এবং কলামিস্টরা ?
এদেশের কিছু মানুষ কথায় কথায় ইসলামী দল এবং মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় । এজন্য অবশ্য তাদের চাক্ষুষ কোন প্রমাণ লাগে না । কোন মাদ্রাসা কিংবা ইসলামী দলগুলোর সামান্য কোন ভুল কিংবা কারো সাথে একটু মারামারি হলেই এরা বিশাল গল্প বানিয়ে এদের জঙ্গী বানিয়ে ফেলে । কিন্তু এদেশে তথাকথিত প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষবাদী, এবং মুক্তিযুদ্ধের সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে তারা কত হিংস্র তা এরা ঢেকে রাখতে চায় । ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর একবার দেখা গিয়েছিল এদের হিংস্রতম রূপ । তাছাড়া এমন কোনদিন নেই এদের হাতে লাঞ্চিত নিপীড়িত হয়নি কোন মা-বোন এবং নিরীহ বাংলাদেশি । কিন্তু এদেশে অন্ধ জামায়াত-বিএনপি বিদ্বেষীরা শুধু জামায়াত এবং বিএনপির দোষ । আমি এখানে শুধু আজকেরই তিনটি ঘটনা তুলে ধরছি যা এদের হিংস্রতারই প্রতিচ্ছবি ।
এখন আপনারাই বলুন জঙ্গী কারা ?