বিশ্ব বাজারে যদি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে কেন বাড়বে না ? সরকারের এই প্রশ্নের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না। তবে বর্তমান সরকারের আমলে ইতিমধ্যে যেহেতু প্রায় আজকে বাদে তিন বার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছিল, তাই চার বারের মাথায় অন্তত পক্ষে সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নাগরিকদের জীবন যাত্রার কথা চিন্তা করে সরকারের উঠিত ছিল ডিজেল ও কেরোসিন কে মূল্য বৃদ্ধির আওতার বাইরে রাখার। এতে করে জনগণের হইত ডাইরেক্ট ইফেক্টটা কিছুটা কম হতো।
সরাসরি সাধারণ নাগরিকের সাথে ডিজেল কেরোসিনের রয়েছে যোগসূত্রতা। বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন ডিজেল কেরোসিনের বাজার মূল্য ছিল ডিজেল ও কেরোসিন ৪৪ টাকা। তারপরে ৬ মে '১১ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন বাজার মূল্য হয় ডিজেল ও কেরোসিন ৪৪ থেকে বেড়ে হয় ৪৬ টাকা।
দ্বিতীয় দফায় কেরোসিন ও ডিজেল হয় ৫১ টাকা।
তৃতীয় দফায় কেরোসিন ও ডিজেল হয় ৫৬ টাকা।
ডিজেল কেরোসিন হচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জন সাধারণের জ্বালানি। আর এতে করে এই বিশেষ শ্রেণীর নাগরিক বিপদের সম্মুখীন হবে। যেহেতু চলমান অর্থনীতি এখন খুব বেশি গতিশীল না। তার উপরে তেলের মূল্য বৃদ্ধি কৃষকের ইরি বোরো মৌসুমের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।