তার মুখের বেফাঁস থাবা থেকে পার পায়নি কেউ …

কে এম শহিদুল্লাহ
Published : 22 Nov 2015, 04:55 PM
Updated : 22 Nov 2015, 04:55 PM

আমার ছোট্ট জ্ঞান পরিসরে আমি যতটুকু পেপার পত্রিকা বিচরণ করেছি তার মধ্যে দেখলাম সাকা মৌখিক আক্রমন করেছে আমাদের বাংলাদেশর প্রায় সকল সেক্টরেই । আমি মারাত্তাক মর্মাহত হয়েছিলাম সে দিন , যে দিন সাকা বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পায় ৪ দলীয় জোটের আমলে। আর সে প্রধান অতিথির আসন গ্রহন করেই ১ম আক্রমন করেছিল আমাদের "জাতীয় সঙ্গীত" কে । সে আক্রমণ করেছিল "কবর" কবিতা ও লেখক জসীম উদ্দিনকে। আমার সে দিন সবচেয়ে বেশি অবাক লেগেছিল ওই অনুষ্ঠানে যে সমস্থ শিক্ষিত মানুষেরা একই মঞ্চে উপিস্থিত ছিলেন , তারা কিভাবে সহ্য করেছিল পর্যায়েক্রমে " জাতীয় সঙ্গীত", "কবর" কবিতা, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পল্লীকবি জসীম উদ্দিনকে ব্যঙ্গ করাটা! তবে আমি তাদের সবাইকে চুপচাপ হয়ে মাথা নীচু করে বসে থাকতে দেখেছি। সেদিন সে বলেছে …

( ১) কোথাকার কোন হিন্দুর লিখা একটাকে আমরা "জাতীয় সঙ্গীত"  হিসেবে ব্যবহার করি ! জাতীয় সঙ্গীত হতে হবে এমন,  যা শুনলেই গায়ে জোশ এসে যায়।

(২) আরে জসীম উদ্দিনের "কবর" কবিতার মধ্যে আমিতো ব্যা ব্যা করে কান্না ছাড়া আর কিছুই দেখিনা। এইটা কি কবিতা হলো?

তাহলে আজ কী হল ? জাতীয় সঙ্গীত তার জায়গায় থেকে গেল, কবর কবিতা  পড়েও সবায় ব্যা ব্যা করে কেঁদেছে, কিন্তু হা হা করে হেসেছে ২১.১১.২০১৫ তারিখ রাত ১২.৫৫ মিনিটে।