মেধার অপ্রাচুর্যতা আর অর্থের সীমাহীন সীমাবদ্ধতাই কি আমাদের জীবনের অভিশাপ?

ক্ষুদে ব্লগার
Published : 21 Dec 2011, 06:04 PM
Updated : 21 Dec 2011, 06:04 PM

মনের ভিতরে এক অদ্ভুত নিরবতা।সব কিছু এলোমেলো লাগে। কোথায় জেনো গিয়ে জীবনটা থেমে গেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় চারিদিকে একটা ভুতুড়ে স্পদ্ধতা তারপর বাতাসের শো শো সব্দ এরপর খানিকটা ঝি ঝি পোকার ডাক………।

আসলে মানুষের ভিতরে যখন অধিক মাত্রায় টেনশন কাজ করে তখনই এধরনের অনেক উপশর্গ গুলো মনের ভিতরে বাসাবাধে।আমার বেলায় ও তার বেতিক্রম নয়।

আজকাল টেনশন এর মাত্রা এতই প্রবল হয়ে ওঠেছে যে,নিজেকে ঘুমের মধ্যেই বেশি ব্যাস্ত রাখতে ভালবাসি। তবে এক্ষেত্রে আমার ব্যাপার টা একটু উলটো।কারন মানুষ এর মাঝে টেনশনগুলো তাকে ঘুমহীন করে ফেলে।কিন্তু আমি ঘুমের মধ্যে থাকলে নিজেকে টেনশনমুক্ত মনে হয়।

আমাদের মত নিম্মমধ্যবিত্ত ঘরের কিছু ছেলে যাদের মেধা ওই সব ছেলেমেদের মত নয় যারা সবার থেকে বিশেষ ধরনে মেধা নিয়ে পৃথিবিতে আসে।তারা তাঁদের মেধার দাপটে দেশের ভালো ভালো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বড় বড় ডীগ্রি লাভ করে থাকে।অন্যদিকে বিত্তশালী বাবার সন্তানদের তাদের লেখাপড়ার জন্য কোনো হয়রানি নেই।বাবার অঢেল অর্থের প্রাচুর্জের বলে বিশ্বের সব নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বড় বড় ডীগ্রি লাভ করে শিক্ষাজীবনের সম্পাপ্তি টানে।

কিন্তু আমরা সাধারন ছাত্রছাত্রি বা সাধারন বাবার নিম্মমধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেরা !!! আমাদের কি আছে?? আমাদের নেই মেধার দাপট না আছে বাবার অর্থের প্রাচুর্যতা।
তাহলে কি আমাদের মনের ভিতরের বড় হবার যে প্রবল আখাঙ্কা তা আঙ্কুরএই বিনষ্ট হয়ে যাবে । দেশের শিক্ষাব্যবস্থাপনা পরিসদ আজ এতই নিজেকে নিয়ে বাস্তত যে আমাদের নিয়ে ভাববার সময় তাদের নাই।

অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো শিক্ষানিতির নামে ব্যবসানিতি নিয়ে বসে আছে।তাদের অবস্থা এমন, ঠিক যেন বেসরকারি এনজিও গুলোর মতই। দেশের নিম্মমধ্যবিত্ত বাবাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তার সন্তানকে পড়াতে গিয়ে ভিটেমাটি প্রর্জন্ত নিলাম করতে হয়।কিন্তু এই নিরব পাশবিকতা কেউ কখনও দেখেনা অথবা কোন বড় বড় নামিদামি সংবাদপত্রতেও এর কোনো হেডলাইন হয় না। সুদু হেডলাইন হয়ে রয়ে যায় বাবাদের অন্তরে। কি করবে সন্তান কে তো মানুষ করতে হবে।……

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আজ শিক্ষাকে তাদের ব্যবসার বড় হাতির হিসেবে ব্যাবহার করছে। সীমাহীন ভাবে বাড়িয়েই চলছে তাদের টাকা আদায় এর তালিকা। দেখে মনে হয় এ কোন শিক্ষার হাট। যেখানে বড়বড় শিক্ষিত ফড়িয়ারা ডালা সাজিয়ে বসে রয়েছে।আর ডালাতে রয়ে গেছে নানা পদের নানা দামের ডিগ্রি। যে যেভাবে পারছে দাম হাকিয়ে নিচ্ছে।

এভাবে বছর এর পর বছর তারা শিক্ষা অর্জন এর খরচ বাড়িয়েই চলেছে এ নিয়ে সমাজের কোন মাথা বাথা নেই। কিন্তু এর ভুক্তভুগি আমরা সাধারন নিম্মমধ্যবিত্ত বাবার ছেলেমেরা।যাদের মনেরভিতরে বড় বড় ডিগ্রি অর্জন এর স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও মেধার অপ্রাচুর্যতা আর অর্থের সীমাহীন সীমাবদ্ধতাই আমাদের স্বপ্নকে তিলেতিলে নিশ্বেষ করে দিচ্ছে।