জ্যাম রঙ্গ

ইয়ামিন
Published : 6 Sept 2012, 06:54 AM
Updated : 6 Sept 2012, 06:54 AM

আগে এবং এখনো আরিচা, মাওয়া কিংবা পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে যখন কোথাও যেতাম তখন ঘাটে যে জ্যাম পরতো, সেই সুযোগে কম বেশী আমরা সবাই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার জন্য বাস থেকে নামতাম। এটা সবার-ই জানা কথা। তবে আমার কাছে যেটা অজানা ছিলো তা হল ঢাকা শহরের কুড়িল বিশ্ব রোডের জ্যাম সম্পর্কে।

পড়াশোনার জন্য এখন ঢাকার বাইরে থাকতে হয়। আর ঢাকায় এলেও শহরের ওদিকটায় বহুদিন যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কুড়িল রেল ক্রসিং-এ অটোমেটেড সিগনাল সিস্টেম চালু হয়েছে আরো অনেক আগেই। ট্রেন আসার ১০ মিনিট আগেই বার ফেলে দেয়! অতি সাবধানতা আরকি! এমনিতেই ফ্লাই-ওভারের কাজের জন্য ৩ লেনের রাস্তা ২ লেন হয়ে গেছে। তার উপর ১০ মিনিট আটকে রাখার ফলে কয়েক হাজার গাড়ির জ্যাম! হঠাৎ পাশে বসা লোকটা বলে উঠলো, "ভাই একটু সাইড দেন, মু___ আহি!" আমি একটু অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম 🙄 । লোকটা বুঝতে পারলো আমি হয়তো জ্যাম ছেড়ে দেবার কথা ভাবছি। তখন তিনি একটু হেসে বললেন, "সমুস্যা অইবো না। দেরী আছে! টেরেন অহন বনানী!

"। দিলাম সাইড। পরে দেখি আরো অনেক লোক নামল। কেউ হাওয়া খেতে, কেউবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে। এরপর আরো ১২ মিনিট বসে রইলাম, আর আমি ফেরি ঘাট এর কথার সাথে এই অবস্থার কথা মেলাতে লাগলাম। নাহ, ঢাকা শহরের জ্যাম অপকার বেশি করলেও মাঝে মাঝে কিঞ্চিৎ উপকার করে!

অতঃপর বাংলাদেশের রকেট তুল্য ট্রেন আমাদের অতিক্রম করে চলে গেলো। ভাবলাম ট্রেনটাকে আটকে রেখে আমাদের যেতে দিলেই পারতো!

বি.দ্র. এটা এখন কুড়িল বিশ্ব রোড রেল ক্রসিং এর নিয়মিত ঘটনা। তাই শুধুমাত্র ছেলেরা, যদি একটু সমস্যা মনে হয় তাহলে নির্ভয়ে কাজ সেরে নিয়েন 😉 IT'S PROVED! 😛