নতুন করে ভাবুন

জাফর ইদ্রিস
Published : 31 Oct 2011, 10:53 AM
Updated : 31 Oct 2011, 10:53 AM

সময় অনেক গড়িয়েছে, আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগের কথা। হেরার পর্বতে মাটির গুহার পাঠশালা,ছাত্র এক মুহাম্মদ (সঃ),শিক্ষক জিবরাইল (আঃ), বানী আল কোরআনের-ইকরা(পড়),বিসমি রাব্বিকাল্লাজী খালাক।

স্মৃতি বিস্মৃত মানব জাতি আপন আকাঙ্খা চরিতার্থ করার নিমিত্তে সহাস্রাধিক বছর পূর্বের আরব গুহার সেই পাঠশালার পাঠকে নানা রঙ মেখে বিতর্কের অবতারণা সৃষ্টি করেছে। স্রষ্টাকে করেছে বিতর্কিত। মহা শূন্যে স্রষ্টার নিদর্শনাবলিকে বর্তমান বিবর্তন বাদীরা এক কল্প কাহিনি রূপে রচনা করছে। নবাগতরা দলে দলে অনৈতিক কামের মোহে নিজেদের নিপতিত করছে। স্রষ্টার অস্তিত্ব তাদের কাছে অষ্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা স্রষ্টার বানী ও দাওয়াতি নবীদের আদর্শ থেকে সরে যাচ্ছে বা দ্বিধা দ্বন্দে আছে এবং মহান স্রষ্টার একত্ববাদ ও অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

আজ আমরা যারা মহান স্রষ্টার বানী বা হাদিস সমূহ বিংশ শতাব্দীর বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী নবাগতের কাছে পৌছে দিতে দ্বারস্থ হচ্ছি,লেখাটি আমি তাদের জন্য নিবেদন করতে চাই।

দেড় হাজার বছর পূর্বের গুহার পাঠশালাটির প্রথম অনুচ্ছেদটি আবার শুরু করতে হবে আজকের নবাগত এবং দোদুল্যমানদের কাছে এবং তাদের কাছে নতুন ভাবে ইকরা (পড়),ডাকটি পৌছাতে হবে ,সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টার অস্তিত্বকে দেখাতে হবে তার পরই তাঁর বানী তাদের কাছে গ্রহন যোগ্যতা পাবে। অন্যথায় কোরআনের বানী বারবার আপন দুয়ারে ফিরে আসবে। বিশ্বাসীদের কাছে স্রষ্টার বানী বা দাওয়াত
মূল্যহীন নয়,তবে দোদুল্যমান বা অবিশ্বাসীদের জন্য অবশ্যই পনের শ বছর পূর্বে আদলে দাওয়াত পৌঁছাতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়া যেমন উচ্চ শিক্ষা লাভ সম্ভব নয়,তেমনি স্রষ্টার অস্তিত্ব অবিশ্বাসীদের কাছে কোরআন হাদিসের বানী মূল্যহীন। সুতরাং নতুন করে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের সময় এসেছে এবং এ কাজটি সকলকে মিলে দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

সময় খুবই দ্রুত বয়ে যাচ্ছে। ঘরে আগাছার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একক স্রষ্টার অস্তিত্ব বিশ্বাস স্থাপন ব্যতিত যতই কোরআন ও হাদিসের বানী সমূহ আরবি হরফে তাদের সমীপে উপস্থাপন করিনা কেন তা হবে হাস্যস্পদ ও মূল্যহীন। আগে তাদেরকে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস সৃষ্টি করাতে হবে। সকল ধর্মই সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী। সুতরাং আগে তাকে ধার্মিক বানাও,মানে যে কোন ধর্মের বিশ্বাস সৃষ্টি হউক অন্তত নাস্তিকতা দূর হোক তার পর তাদের কাছে ইসলামের বিশেষত্ব বানী পৌছে দিতে হবে এবং ধর্মের গুণাবলির তুলামুলক শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান স্বাপেক্ষে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করি। ধর্মহীন কখনো ধর্মের বানী শুনতে চাইবে না।

ধন্যবাদ