ভোক্তা ঐক্য পরিষদ

জাফর ইদ্রিস
Published : 4 Nov 2011, 04:35 PM
Updated : 4 Nov 2011, 04:35 PM

আজ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর জালে আটকা পড়েছে পুরা জাতি। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে দ্রব্য মূল্যের কষাঘাতে। ষোল কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে হাতে গোনা কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর হাতে। সরকারও অসহায় হয়ে গেছে তাদের কাছে। হাতে গোনা কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর কাছে পুরা জাতিই জিম্মি,এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা যারা ভোক্তা তাদের ঐক্য বদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। অর্থ মন্ত্রী একটা প্রতিরোধের বানী শুনিয়েছেন "একদিন বাজারে যাবেন না" আমি তার বাণীকে সাধুবাদ জানাই। তার পক্ষে এর বেশী কিছু বলা কি সম্ভব? ভোক্তা,ব্যবসায়ী সবাই তার সেবা প্রত্যাশী।

অনেক দিন থেকে আমি একটা কাজ করি যখন কোন একটা দ্রব্য অতি মূল্যায়িত হয় এবং সেটা যদি অত্যাবশ্যকীয় না হয় তবে তা ক্রয় করি না। অত্যাবশ্যকীয় হলে অল্প ক্রয় করি। কোন একটা পণ্য অতিমূল্যায়িত হতে থাকলে তা আমরা বেশী বেশী ক্রয় করি এবং কমতে থাকলে ক্রয় বন্ধ করি। সম্প্রতিক শেয়ার বাজারেও এরূপ লক্ষ্য করা গেছে। মনে করুন বাজারে কাঁচা মরিচ,টমেটো বা মাছ যা পচনশীল দ্রব্য আমরা যদি অতি মূল্যায়নের সময় ক্রয় সাময়িক বন্ধ করি তাহলে ওরা বাধ্য হবে দাম কমিয়ে বিক্রি করতে । ইদানিং চট্টগ্রামে দেশের প্রাচীনতম চায়ের সাপ্তাহিক নিলামে একজন ক্রেতাও চা কিনতে আসে নাই।

এখন প্রশ্ন হল এমন কর্মটি কি ভাবে করা যায়। আসুন আমরা একটা "ভোক্তা ঐক্য পরিষদ" নামে একটি সংগঠন করি এবং যে কোন একটি বেসরকারী টিভি সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে উক্ত পরিষদে কার্যক্রমগুলো নিয়মিত প্রচার করে ভোক্তাদের সচেতন করি যেন অতি মূল্যায়িত দ্রব্যগুলো অত্যাবশ্যকীয় না হলে সাময়িক বর্জন করি এবং আবশ্যকীয় হলে দিনে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কিনি আর অতিরিক্ত দ্রব্য কেনা থেকে বিরত থাকি। আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি ব্যাংক ঋণের দায়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা আপনার ঐক্য পরিষদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি। এটা ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে এই দ্রব্য মূল্যের কষাঘাত থেকে বাঁচার উপায় নাই। এখানে অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন তবে কি ব্যবসায়ীদের লোকসান দিয়ে দ্রব্য বিক্রি করতে বাধ্য করবেন ? না,আমি অপনাকে একটা প্রশ্ন করি,
এক দোকানি একটা দ্রব্য যে দামে বিক্রি করে ঠিক পাশের দোকানি কেজি প্রতি বিশ ত্রিশ টাকা বেশী চায়। আমার কথা হল যোগান সরবরাহের ভিত্তিতে সব জায়গায় এক দর থাকুক শুধু পরিবহন খরচটা পার্থক্য থাকুক। এবং এর সাথে সরকারকে বলবো টিসিবিকে পরি পূর্ণভাবে চালু করুন। আমার এই প্রস্তাবটি ষোল কোটি মানুষের কাছে বিবেচনার জন্য ছেড়ে দিলাম।

(০১)প্রয়োজন অতিরিক্ত দ্রব্য কেনা থেকে বিরত থাকুন
(০২)অতি মূল্যায়িত অনাবশ্যক দ্রব্য ক্রয় সাময়িক বন্ধ রাখুন
(০৩)অতি মূল্যায়িত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিমানে কম ক্রয় করুন

ধন্যবাদ