বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব বিভাস চন্দ্র সাহা দুই দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন তাৎক্ষনিকভাবে। এমনিতেই সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কোন কিনারা না করতে পেরে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা; সাংবাদিকদের তোপের মুখে আছে সরকার – তার ওপর আরেকজন বিখ্যাত সাংবাদিকের মৃত্যু সরকারকে তো বিপদে ফেলে দেবে আরো। তাই ওই শোকবার্তায়ই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষনিক শক্ত নির্দেশ দিয়েছেন বাস চালক মফিজকে গ্রেফতার করার জন্য।
জাদুমন্ত্রের মত আজ ধরাও পড়ে গেছেন সেই বাসের চালক মফিজ। আমাদের বিখ্যাত মানুষদের মৃত্যুতে আমাদের এই অতি সংবেদনশীলতা, আর অবিখ্যাত এবং ‘নীচুশ্রেণী’র মানুষের মৃত্যুতে অসংবেদনশীলতাকে আমার কাছে আমাদের ব্যক্তির, সমাজের, রাষ্ট্রের চরম এক অমানবিকতা বলে মনে হয়। এটা দেখে এই ব্লগের প্রথম দিকে আমি একটা পোষ্ট লিখেছিলাম – আরও অনেক ‘তারেক মাসুদ’ এর মৃত্যু এবং অনেক ‘রুমানা মঞ্জুর’ এর অন্ধত্ব চাই। অবশ্য আমার আজকের এই পোষ্টের বিষয় ভিন্ন।
তো ওই দুর্ঘটনা ঘটানো বাসের চালক মফিজকে আজ সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হল – অনুমান করি বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের শান্ত করার জন্য। তো সেখানে জানা গেল লিখতে পোরতে না পেরেও, ট্রাফিক সংকেত না চিনেও তিনি লাইসেন্স পেয়েছেন শুধু একটা কাগজে সই করেই। তাঁকে কোন পরীক্ষাই দিতে হয়নি।
খবরটার সাথে মফিজ সাহেবের যে ছবিটা দেয়া হইয়েছে তাতে দেখা যায় তিনি কাঁদছেন সংকেত না চিনলেও লাইসেন্স পান চালক মফিজ। অনুমান করি তাঁকে গ্রেফতার করার পর আমাদের পুলিশ বাহিনী তাঁকে চিরাচরিত নিয়মে ‘আতিথেয়তা’ দিয়েছেন (এর পর আবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে)। এটা দেখে অনেকেই খুশী হয়েছেন নিশ্চয়ই – একটা ‘মূল্যবান’ প্রাণ নষ্ট করে দেবার জন্য এই লোকের শুধু উত্তম-মধ্যম ই না ফাঁসী/যাবজ্জীবন কারাদন্ডই হয়ে যাওয়া উচিৎ।
মানূষটাকে দেখে আমার কিন্তু ভীষণ মায়া হয়েছে। এই মানুষটার তো ড্রাইভিং লাইসেন্সই পাবার কথা ছিল না – সেটা হলে তো আজ তিনি এমন একটা ঝামেলায় পড়তেন না। করতেন কিছু একটা যেটা করে হয়তো কোন রকমে দিন গুজরান করতে পারতেন। তাঁকে লাইসেন্স তো তিনি নিজে দেননি। তো তিনি যদি অপরাধী হন, অপরাধী কে না?
লাইসেন্স ইস্যু করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বি আর টি এ। দুই নম্বরী লাইসেন্স আর গাড়ির দুই নম্বর কাগজ বানিয়ে ওই সংস্থার অতি ছোট কর্মচারীও কোটিপতি বনে গেছে – এমন মানুষকে আমি নিজেও চিনি। আমাদের বর্তমান যোগাযোগমন্ত্রী শুরুতে ২/১ বার খলিফা হারুনুর রশিদের মত হঠাৎ করে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন অনিয়ম ধরতে – কিন্তু ফলাফল কী? সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বরি থোড়। সিস্টেমের পরিবর্তন না হলে ওইসব সস্তা হাততালি পাবার কাজ দিয়ে কিছু হয় না। তো ওই প্রতিষ্ঠানের এই ভয়ংকর খেলার দায় কি যোগাযোগমন্ত্রীর না?
আবার ওখানে যদি শক্ত হতে চাওয়া হয় তবে সেটা বন্ধ করার জন্য তো আমাদের প্রবল পরাক্রমশালী নৌ পরিবহনমন্ত্রী আছেনই। তাঁর এমনই প্রতাপ যে তাঁর মন্ত্রনালয় বাদ দিয়ে তিনি এই সেক্টর নিয়ে পড়ে থাকেন। অবশ্য কয়েকদিন আগে নিজে দূর্ঘটনায় পড়ে মরতে মরতে বেঁচে যাবার পর ওই চালককে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করিয়েছিলেন। নিজের জীবন বলে কথা – তখন পরিবহণ শ্রমিকের প্রতি মায়াকান্না কাজ করেনি।
এখন প্রশ্ন জনাব মফিজের ভয়ংকর অযোগ্যতা সত্ত্বেও লাইসেন্স কেন পেলেন? আমাদের সামনে দিনে দুপুরে কীভাবে লাইসেন্স দেয়া হয় আমরা জানি না আমরা? তো সেই ভয়ংকর অপরাধের মূল অপরাধী যোগাযোগমন্ত্রী, বি আর টি এ এর কর্মকর্তা, আর এটার সংস্কারে বাধা দানকারী নৌপরিবহনমন্ত্রীকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি কেন? এদের তুলনায় জনাব মফিজের দায় কতোটা?
ঘটনার পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী হুংকার দিয়ে চালককে ধরালেন। বাহ! খেয়েছেন অনেকে – আমি খাইনি। আমি এটা দেখলে খুশী হতাম যদি তিনি যোগাযোগ আর নৌপরিবহনমন্ত্রীকে ডেকে অবিলম্বে মানুষের জীবনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে বলতেন, হুমকি দিতেন যে এই সেক্টরে এসব ফাজলামো বন্ধ না হলে দুই জনেরই চাকুরী থাকবে না। কিন্তু না তিনি সেটা বলেননি, এঁরা এসব বলেন না। এঁরা এই দেশে রাজনীতি করে এদেশের মানুষের হাড়-মজ্জা চেনেন – জানেন মানুষ কোনটা খায়।
ভয়ংকর মূল অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে দিয়ে, অপরাধ তৈরি হবার মূল জায়গাটাকে পরিশুদ্ধ না করে (এই অপরাধের ক্ষেত্রে আমরা এই জায়গাটা স্পষ্টভাবে জানি, অপরাধীদেরকে চিনি) একজন মফিজ সাহেবকে পিটিয়ে হাড় মাংস এক করে দিলে অনেক সাংবাদিকদের প্রতিশোধপরায়ণতা হয়ত মিটবে, সমস্যার সমাধান হবে না কিছুতেই। কারন আরো অজস্র ‘মফিজ’ এর হাতে মানুষ মারার লাইসেন্স তুলে দেয়া হয় প্রতিদিন। আর যারা সেটা তুলে দিচ্ছে প্রতিদিন তাদের কিছু হয় না – বরং তারা থাকতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অতি কাছে।
আমাদের দেশে সব অপরাধের ক্ষেত্রেই (মাদক ব্যবসায়ী বা চোরাকারবারী) এই চুনোপুঁটি ‘মফিজ’ রাই ধরা পড়ে মার খায় – মূল হোতারা হয়ে থাকেন সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তি। কারন এঁরা তো নীচুতলার মানুষ – আমাদের যাবতীয় চোটপাট এঁদের ওপর হওয়াটাই নিয়ম। চালক মফিজ অপরাধ করেননি আমি সেটা বলছি না; কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি মূল দায়ী মানুষকে বাদ দিয়ে গৌন ভূমিকা পালনকারী মানুষকে শাস্তি দেবার কোন যৌক্তিক, নৈতিক অধিকার রাষ্ট্র রাখে না। তাই আমি মূল অপরাধীরা শাস্তি পাবার আগ পর্যন্ত চালক মফিজ সাহেবের মুক্তি চাইছি – কথার কথা না; সজ্ঞানে, শান্ত মাথায় চাইছি।
জাগো বাহে জাগো বলেছেনঃ
আরে ভাই আজকে দেখি মফিজ সুপার হিট। কাল এক মফিজের দোকানে চা খাইলাম। তারে নিয়া আমি লেখলাম।
আর এক মফিজ বিভাস দা’কে গাড়ি চাপা দিলো। আপনি তার মুক্তি চাইতেছেন!
যাক সেকথা।
আমরা মফিজদের ধরে আনবো আর বাহবা কুড়াবো। আসল জায়গায় হাত দেবো না। সেখানে তো সম্রাট শাহজাহানের মতো বাদশাহদের রাজত্ব। তাহারা যাহা বলেন তাহাই দেশে হয়।
ভালো থাকুন।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
হ্যাঁ চঞ্চল ভাই, ওই সব যায়গায় তো সম্রাট শাহজাহানের মত মানুষেরই বাস। আর আমাদের দুই সম্রাজ্ঞীতো আছেই তাদেরকে যাবতীয় সমর্থন দেবার জন্য। আমরা এর পরও বসে আছি! কিছু করছি না! কিছু করার নেই আমাদের!
রাসেল বলেছেনঃ
কান টানলে মাথা আসে। চালক মফিজের কান ধরে টান দিলে কান ছিড়ে যাবে কিন্তু মাথা আসবেনা।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
রাসেল ভাই, আপনার লিখা বাক্যটি আমার খুব ভাল লেগেছে। আসলেই কান টানলে মাথা আসে না এইসব ক্ষেত্রে। পরিহাসের ব্যাপার, আমাদের অনেকেই আবার কান নিয়েই মেতে আছি, থাকব। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
আমি জাহেদকে সমর্থন করছি। এই মফিজকে যারা ড্রাইভার বানিয়েছে, অভাবী মানুষ যাই পায় তাকেই জীবিকার অবলম্বন করে। জাহেদ অবশ্য একটু বেশী আশা করছে যে মাননী্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের শ্রমিক-প্রান নৌমন্ত্রীকে ডেকে ধমকাবেন। অবশ্য তিনি পুলিশের তড়িৎ তৎপরতার প্রশংসা করবেন ঠিকই। এখন যা করা যেতে পারে, তা হচ্ছে মাননীয় নৌমন্ত্রীকে দিয়ে মফিজের মুক্তির জন্য মিছিল-টিছিল করানো, যা তিনি আগে বহুবার করেছেন। আগেরবার করেছিলেন, এবার করবেন না কেন? একই সাথে মন্ত্রী বাহাদুরের গাড়িতে সংঘর্ষ ঘটানো ড্রাইভারের মুক্তিও তাঁর দাবী করা উচিৎ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
হৃদয়ে বাংলাদেশ, চমৎকার পরামর্শ –
ভাবতে অবাক লাগে, কতোটা ব্যক্তিত্বহীন হলে, কতোটা লাজ-লজ্জাহীন হলে এদেশে মন্ত্রী হওয়া যায়!
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
জাহেদ ভাই, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকার সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ল কই! 😮
বাস ড্রাইভারকে ছেরে দিয়ে সরকারের কুলাঙ্গারগুলারে ধরা উচিত।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
আসলেই তো সরকার তো এই মুহূর্তে তোপের মুখে নেই। আমি আসিলে প্রথম কিছুদিনের কথা ভেবে ভুলে লিখে ফেলেছিলাম।
কাইয়ুম খান বলেছেনঃ
আমরা নিরপরাধী মফিজকে অপরাধী বানিয়ে তারপর তাকে সাজা দিচ্ছি! আমরা শুধু একজন মানুষকেই সাজা দিচ্ছি না দিচ্ছি একটা পরিবারকে। আর আমাদের (সরকারের) উচিৎ “অপরাধকে ঘৃণাকরা অপরাধিকে নয়”।
তাই সরকারের উচিৎ সাধারন নিরপরাধী মানুষ যেন অপরাধী তৈরি নাহয় সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
কাইয়ুম ভাই, ভাল বলেছেন – সহমত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আব্দুল মোনেম বলেছেনঃ
এইবার একজন মফিজ ভাইকে পাওয়া গিয়েছে। তাতেও আপনি নাখোশ হয়ে রুই-কাতলা খুঁজছেন। বলি, রুই-কাতলা ছাড়া কি আপনার মুখে অন্ন রোচে না! আহা, সব কিছুর পিছনে যদি আমাদের একজন করে এরকম মফিজ ভাই থাকত! তবে কি আর আইনের শাসন কী চিজ আমাদের অদেখা থাকত? এমন গুরুত্ব-অলা মফিজ ভাইকে নিয়েও আপনার অসন্তোষ!
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
মোনেম ভাই, কী করবো বলুন, রুচি বড়ই খারাপ হয়েছে – রুই-কাতলা ছাড়া আসলেই অন্ন রোচে না। আর আপনার ব্যঙ্গ কী অসাধারণ –
অনেক ভাল থাকুন।
পাগল মন বলেছেনঃ
@হৃদয়ে বাংলাদেশ, মাননীয় নৌমন্ত্রীকে দিয়ে মফিজের মুক্তির জন্য মিছিল-টিছিল করানো, যা তিনি আগে বহুবার করেছেন। আগেরবার করেছিলেন, এবার করবেন না কেন? একই সাথে মন্ত্রী বাহাদুরের গাড়িতে সংঘর্ষ ঘটানো ড্রাইভারের মুক্তিও তাঁর দাবী করা উচিৎ। হাততালি !! হাততালি !! হাততালি !!
জাহেদ ভাই মন্তব্য কি করতেই হবে ?? ক্ষমতাটা মনে হয় হারিয়ে ফেলছি । খুব চিন্তার কথা !!!
মাথাটা মনে হয় আমার ঠিকমত কাজ করছে না । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
সাজ্জাদ ভাই মন্তব্য করন লাগবো না। আইছেন – এতেই খুশী।
murad বলেছেনঃ
মফিজের বাস ড্রাইভার হওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও সে বাস ড্রাইভার হয়েছে কিছু লোভী আর সমাজে উচ্চ পদ আগলে থাকা মানূষ নামের নরপশুদের প্রত্যক্ষ্য সহযোগিতায়। জাহিদ তুমি ঠিক যায়গাতেই আঙ্গুল তুলেছ। সঠিক প্রশিক্ষন ছাড়াই টাকার বিনিময়ে বাস চালকের লাইসেন্স নিয়ে মফিজ যতটুকু না অন্যায় করেছে তার চেয়ে অনেক বড় অপরাধী তারা যারা চালকদের প্রশিক্ষনের সঠিক মান যাচাই না করে শধুমাত্র টাকার লোভে একজন অদক্ষ অপ্রশিক্ষিত চালককে লাইসেন্স প্রদান করে মৃত্যদুত হিসাবে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় চালককে শাস্তি দিয়ে কোনোদিনই দু্র্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবেনা যদিনা আমরা এই মৃত্যদুত তৈরীতে যারা সহায়তা করছে তাদেরকে শাস্তির মুখোমুখি দাড় না করাই।তোমার লেখনী সমাজের প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুক এই প্রত্যাশা করি।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
murad ভাই, আপনি চমৎকার বলেছেন। আপনি বলেছেন-
আপনার এই প্রত্যাশা মত কাজ আমি যে কোন মূল্যে করে যাব আশা করি। দারুন উৎসাহ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মাহবুবুর রহমান বলেছেনঃ
মজার ব্যাপার এই যে, মফিজ কে রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে। 😆 😆 😆
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
আসলেই ভীষণ মজার ব্যাপার মাহবুব।
আবু সুফিয়ান_অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বলেছেনঃ
@ পোষ্টে সহমত জাহেদ ভাই।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
ধন্যবাদ বস্।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
@মোনেম ভাই, ওস্তাদ হিছাবে হেদায়েত করবার পারেন, কইরা যান। মগর আপনে নিজে রৌ-কাতলের মাথা চুছবেন, বিলাইনির লাগিও রাখবেন না আর আমাগো কইবেন অন্যদিকে চায়া থাক্! আপনেও তো মন্ত্রীগো মতোই! “তুমি শুয়ে রবে তেতালার পরে আমরা রহিব নীচে …ইত্যাদি”
@আরে হাগল, হাততালি দেওন রাখেন, লন যাই মন্ত্রীরে খুইজা বাইর কইরা মিছিলের সামনে খাড়া কইরা দেই!!
সত্য কথক বলেছেনঃ
জাহেদ ভাই, আপনার যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণের সাথে একমত না হয়ে পারলাম না। এই সবের সাথে সাথে যদি মানুষের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যেত। সাধারণ মানুষকে নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধে সচেতন করা যেত? তাহলেই অনেকাংশে সমস্যা দূরীভূত হতো বলে আমার বিশ্বাস।
যেমন, এই মানুষটা যদি সচেতন হতো তাহলে নিজেই বুঝত, সে যে দুই নম্বর লাইসেন্স নিচ্ছে তাতে আপতদৃষ্টিতে সে লাভবান হচ্ছে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে দেখা যায়, সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যার ফলাফল ভোগ করছে নিরীহ মানুষ ও দেশ।
তবে এই সচেতনতার প্রধান দায়িত্ব যে যন্ত্রের সেই যন্ত্রই যদি অনিয়মের সাথে নিত্য প্রণয় করে তবে জনেসচতনতা বৃদ্ধি যে সূদুর পরাহত সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই বিষয়ে তাই অন্যের দিকে চেয়ে থেকে লাভ নেই। যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। জনসাধারণকে তাদের অধিকারের কথা বলতে হবে, দেশের কথা বলতে হবে, মাটির কথা বলতে হবে, আর সচেতন করতে হবে। বলতে হবে নৈরাজ্য, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে আপনাদের নিজেদের স্বার্থেই। আপনাদের দেশমাতৃকার স্বার্থেই।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
মামুন চমৎকার বলেছ। আসলেই তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে, অনেক হয়েছে।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
জাহেদ, মন্ত্রী হতে গেলে সবার আগে ওই তুচ্ছ বস্তুগুলি বিসর্জন দিতে হয়ে। বীর বিপ্লবী, একদা আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের চৌদ্দগুষ্ঠি ধ্বংসকারী মেনন, ইনু, শাহজাহান খান, দিলীপ বড়ুয়া কে দেখছনা? শোননি কি আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদাত্ত দাবী যে তিনি সফল? বলতো, ওই অপ্রয়োজনীয় বস্তুগুলো থাকলে তাঁরা (চন্দ্রবিন্দু খেয়াল করো) তা পারতেন?
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
হৃদয়ে বাংলাদেশ, দারুন সব উদাহরণ। তাঁরা তো আবার বলেন “রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই”। 👿 ।
Majed বলেছেনঃ
[ইংরেজি ও রোমান হরফে লেখা মন্তব্য প্রকাশ করা হয় না। বাংলায় মন্তব্য করুন। নাম বাংলায় লিখুন। অতিথি ব্লগার নয়, নিবন্ধিত ব্লগার হিসেবে ব্লগিং করার অনুরোধ করা যাচ্ছে : ব্লগ টিম]
সামসুল আরেফিন বলেছেনঃ
জাহেদ ভাই,কি আর কমু!আমাদের পরিবহন শ্রমিক নেতা নৌমন্ত্রী কেন যে মফিজের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘট দিতাছে না ,বুঝি না!!!
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
আরেফিন, এলা দিবো – তোমরা মনে করাইয়া দিতাছ না?
Majed বলেছেনঃ
[ইংরেজি ও রোমান হরফে লেখা মন্তব্য প্রকাশ করা হয় না। বাংলায় মন্তব্য করুন। নাম বাংলায় লিখুন। নিয়মিত অতিথি মন্তব্য কাম্য নয়, তাই নিবন্ধন করে লগইন মন্তব্য করুন : ব্লগ টিম]
নীরব বলেছেনঃ
সহমত।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
ধন্যবাদ নীরব। ভাল থাকুন।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ভাইজান কি হামারে ক্ষেমা দিছেন, যদি না দেন মতিঝিলের ১৩২ তলা থাইকা লাফ দিমু। লাফ দিয়া আপনের ঘারে পরমু, আমার কিছু হইবনা আপনে কিন্তু কাইত হইয়া যাইবেন। ধন্যবাদ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
আরিফ, অস্বীকার করবো না যে কালকের ব্যাপারটায় আমি এতোটাই ধাক্কা খেয়েছিলাম যে সেটা আমি এখনো পুরো সামলে উঠতে পারিনি – এটা আমার জীবনের এক নতুন অভিজ্ঞতা। তবে তুমি যেভাবে অনুতপ্ত হয়েছেন তার পর সেটা মনে ধরে রাখা মনুষত্বের পরিপন্থী। আশা করি যতোটুকু রেশ এখনো আছে সেটাও কেটে যাবে অচিরেই।
পাগল মন বলেছেনঃ
আচ্ছা জাহেদ ভাই, এটাতো বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভুক্ত দেশ নয় । একটি মুসলিম সংখাগরিষ্ঠ দেশ যার প্রায় ৮০% মুসলমান । অন্যকিছু বাদ দেন, এই ধর্মটাও আমাদের মানুষ করতে পারছে না কেন । সৃষ্টির মঙ্গল, জীবের সাধন, এ তো আমাদের ধর্মে বলাই আছে । ধর্মকে কাজে লাগালেও তো আমাদের এত নৈতিক অবক্ষয় থাকতো না ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
সজ্জাদ ভাই এই ব্যাপারে আপনার সাথে আমার দৃষ্টিভঙ্গিগত অমিল আছে বেশ। ধর্ম কেন পারছে না, কারণ অনুসন্ধান আপাতত বাদ দেই, কিন্তু ফলাফল তো দেখতে পাচ্ছেন স্পষ্টই – ইসলাম ধর্ম এই দেশে থাকার পরও এই দেশের মানুষদের মধ্যে ভয়ংকর অসততা, অপরাধ প্রবণতা আছে।
ধর্ম কেন এটা পারে না (পারবেও না) সেটা নিয়ে আমার একটা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন এবং বিশ্লেষন আছে। তবে সেটা নিয়ে একটা বিশেষ কারণে ব্লগে আলোচনা করতে চাই না। তবে একটা ছোট কথা, আদি বৌদ্ধ ধর্ম কিন্তু সেই অর্থে ধর্মমত নয় – এটাকে একটা দর্শন বলাই ভাল (ঐ দর্শনের অনেক কিছুই আমি পছন্দ করি)। মোনেম ভাই যে কারেন আর্মষ্ট্রংকে নিয়ে লিখেছেন, ওনার একটা বই আছে বুদ্ধকে নিয়ে লিখা। সম্ভব হলে পড়বেন, ভাল লাগবে। অনেক ভাল থাকুন।
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
@ জাহেদ ভাই ধন্যবাদ।
ভাই, আমি আপনাকে বলেছিলাম আমি একটা পরিবহন কোম্পানীর সাথে জড়িত ২/১ বাস ও রয়েছে আমার। সেই জন্য বলতে পারেন তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের কাছে আমরা জিম্মি। মন্ত্রী এইখানে কোনও ফ্যাক্ট নয়, ফ্যাক্ট হলো শ্রমিক নেতারা। মন্ত্রী যদি নেতাদের কথা না শুনে তাহলে শ্রমিক দের ইউনিটি কথা শুনাতে বাধ্য করে।
শুনে অবাক হয়ে থাকবেন, আমরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে গাড়ি কিনি। কিন্তু আমাদের গাড়ি কে চালাবে সেই সিদ্ধান্ত পুরোটা আমাদের হাতে থাকে না। সিস্টেম হলো ড্রাইভার একটি দিবে মালিক আর একটি দিবে শ্রমিক নেতারা।
জাহেদ ভাই, আপনি জানেন কিনা জানি না, প্রতিদিন অসংখ্য ড্রাইভার পয়দা হচ্ছে এই সোনার বঙ্গ দেশে। যারা একসময় রিক্সা চালাত, টেম্পু চালাত। এখন কথা হলো কোনও মালিক জানে না শ্রমিক নেতারা যে ড্রাইভার দিল সে কতদিন ধরে ড্রাইভার হইছে।
যাই হোক আমি আপনার পোস্ট এর সব বিষয়ে একমত না। বর্তমানে বিএনপি ও আওয়ামী পন্থী সব শ্রমিক এক হয়ে এই কাজ গুলো করছে। যা থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়ার কোনও উপায় নেই।
আর লাইসেন্স এর কথা বলছেন, এটার চেয়ে সহজ কোনও অপশন আর নেই। সয়ং শেখ হাসিনা ও যদি চেষ্টা করে এটা দমন করতে পারবে না। আর এটা জন্য কোনও মন্ত্রীর নয় সকল দ্বায় ভার হলো সরকারী কর্মকর্তা দের যারা যুগে যুগে এই আসনে আসিন।
ভাল থাকবেন।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
সুলতান, তুমি এই সেক্টরে জড়িত থাকার কারণে তোমার মন্তব্যে এই সেক্টর সম্পর্কে কিছু না জানা তথ্য জানলাম। তোমাকে অনুরোধ করছি – এই সেক্টরে কেন অনিয়ম দূর করা যাচ্ছে না সেটা নিয়ে বিস্তারিতভাবে একটা পোষ্ট লিখ। অনেক ভাল থেকো।
এস.এম.আখিউজ্জামান মেনন বলেছেনঃ
জাহেদ ভাই, চমৎকার লিখেছেন ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
মেনন ধন্যবাদ। লিখছ না অনেকদিন। 👿 ।
মোঃ তানভীর সাজেদিন নির্ঝর বলেছেনঃ
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত জাহেদ ভাই। দুর্নীতি নামক গাছের ডালপালা কেটে শেকড় না কাটা কখনোই উত্তম সমাধান হতে পারে না। যোগাযোগ মন্ত্রীর উদ্দেশ্য ভালো হলেও একজন শ্রমিক লিডার নৌ মন্ত্রীর দাপটে এ ব্যাপারে সরকারকে উদাসীন হতে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। একজন নৌ মন্ত্রীর জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন নিয়ে রাষ্ট্রের বাজী খেলার অধিকার নেই। চালক লাইসেন্স কোথায় পেল? এটা সবার কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। মানবাধিকার সংগঠন গুলোকেও কিছুই বলতে দেখলাম না।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সময়োপযোগী লেখাটি প্রদানের জন্য।।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
নির্ঝর ভাই, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আসলে আমাদের সবার উচিত এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো – যখন সরকার, বিরোধী দল, মানবাধিকার সংস্থা, সবাই মানুষের অধিকারের প্রশ্নে এমন চুপ থাকে তখন আমাদের রুখে দাঁড়ানো ছাড়া আর কীই বা করার আছে?
মঞ্জুর মোর্শেদ বলেছেনঃ
জাহেদ কেউ হয়ত বলবেন, মফিজ ব্যাটাকে যদি চরম শাস্তি(মৃত্যুদণ্ড) প্রদান করা হয় ,তাহলে অন্য মফিজ রা সতর্ক হতো । যারা অনিয়ম করেই ভাল আছে, অনিয়মের মাধ্যমেই এতদুর এসেছে তাহলে কি পরশ পাথরের ছোঁয়ায় এরা একজন সুনাগরিকে পরিনত হবে। যেই সিস্টেম থেকে হাজারো মফিজ তৈরি হচ্ছে্ , ঐ সিস্টেমটাকেই বদলান দরকার।
ক মাস আগে নৌ দুর্ঘটনা নিয়ে স্বজন হারানো একজন মহিলা আহাজারি করে বলেছিল শাহজাহাইনন্যা তুই মরছ না কেন ,। একজন অর্ধ শিক্ষিত মহিলাও বুঝেছিল গোঁড়ায় গলদের কথা , আমাদের সরকার গুলো না বুঝতে চাইলেও।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
মঞ্জুর ভাই, মনে পড়ে আপনি বেশ কিছুদিন আগে সিস্টেম বদলানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চমৎকার একটা পোষ্ট লিখেছিলেন। আসলেই ওটা করাটা জরুরী।
আর নৌ দূর্ঘটনা নিয়ে স্বজনের আহাজারির ব্যাপারটা তো আসলেই সবকিছু চমৎকারভাবে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। অনেক শুভকামণা আপনার জন্য।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
জাহেদ, সহমত। প্রধানমন্ত্রী কি যারা “মফিজ” তৈরী করছেন অবাধ লাইসেন্স দিয়ে, ভবিষ্যতেও করেই যাবেন এমন সাংঘাতিক অপরাধীদের ছাড় দিয়েই যাবেন !!!! এবঙ একজন ধরা পড়া মফিজ-এর সাংবাদিক হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন জেল / ফাঁসি হলেও অযোগ্যদের অবৈধ লাইসেন্স প্রাপ্তি তো আর বন্ধ হবার নয় !!!! এদেশে আর কতকাল চলবে এইসব অসার মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়-এর ততোধিক অসার কীর্তি !!!! দিন বদল-এর এমন রঙ্গ ও বাহাস বন্ধ করা জরুরী, অথচ জরুরী নির্দেশটি যেখান হতে আসা উচিত সেখানে উদ্যোগ নেই …. কোনও কালেই ছিলোনা …. ছিলোনা বলেই আজও থাকবেনা …. এমন চলতে পারেনা, বদলানো চাই , নতুনের হাতেই বদল-এর চাবি , হয়তো অচিরে নতুন আলো আসবে পুরনোর হাত ধরেই , এমনই বিশ্বাস, তর্কে বহুদূর ছিটকে পড়তে রাজী না, দেখা যাক বিশ্বাসে বস্তু মেলে কি না ! শুভেচ্ছা।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
শিরীন আপু, আপনার অসাধারণ মন্তব্যটির পর আর কিছু বলার থাকে না। আপনার বিশ্বাস সত্যি হোক। অনেক শুভকামণা আপনার জন্য।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ভাই বহুদিন পর কারও সাথে খারাপ ব্যবহার করছি। তয় আপনে হুদাই ডরাইছেন, মতিঝিলে ১৩২ তলা নাই 😀 😆
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
যাক, ভুলে যাও ওসব।
সৈয়দ সাইফুল আলম বলেছেনঃ
ঢাকায় প্রতিদিনই গড়ে সড়ক দূঘটনায় একজন পথচারী মারা যায়। শুধুমাত্র একটি শ্রেণী বা পোশার মানুষের নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে এই শহরকে নিরাপদ করা সম্ভব নয়। যদি তার চেষ্টা করা তাহলে তা ভয়াবহ হবে। যখন সরকারের কোন র্শীষ স্থানীয় ব্যক্তি চলাচল করেন তখন তার নিরাপত্তার কথা বলে সবার যাত্রা থামিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ঐ ভিআইপি’র নিরাপত্তা পাচঁ বছরের জন্য নিশ্চিত হলেও, টানা ছয় বছরের জন্য নিরাপদ হয় না। ঢাকার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের নিরাপত্তার বিবেচনা করে পরিকল্পনা করলেই স্থায়ী ও নিরাপদ ঢাকা গড়ে তোলা সম্ভব। তবে যেকোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তির আন্দোলনের ফলে যদি কতৃপক্ষের সাড়া জাগে তাতে সমর্থন রইল
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। অনেক ভাল থাকুন।
জিনিয়া বলেছেনঃ
জাহেদ, আমার ও মফিজ এর চেহারা দেখে কেন জানি খুব মায়া লাগছিল। বেচারা মফিজ, এইবার ওর বাচন নাই। উস্তাদ যে নিজেই ব্যাপক অসুবিধায আছে।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
হ্যাঁ জিনিয়া যুগে যুগে আমাদের দেশে মফিজদেরই বাচন থাকে না। রুই-কাতলারা থাকে বহাল তবিয়তে। এই না হলে বাংলাদেশ!
সিনথিয়া বলেছেনঃ
জাহেদ ভাই ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য । আসলে আমরা পচতে পচতে এত বেশি পচে গেছি যে আর শোধরান যাবে না ।
“আমি সরকারী অফিসার , আমি একালের জমিদার” ।
এই জমিদার দের কে হাসিনা খালেদাও ঠিক করতে পারবে না । সুলতান মির্জা ভাই যা বলেছেন টা ও সত্য । মালিক রা আসলেই জিম্মি । আর কিছু দিন পর হয় তো আমরা বিদেশী দের দ্বারা শাসিত হবো । তখন তো কিছু বলতেও পারব না । আর বেশী সচেতন নাগরিক সংখা বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক কে সব কিছু এভাবেই সহ্য করতে হবে ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
সিনথিয়া আপু, আপনি বলেছেন,
আপনার কথা ঠিক। এঁরা এটা করতে পারবেন না কারন এঁরা নিজেরাই তো ঠিক নন আদৌ। নিজেরা ঠিক হলে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যেতো – আমি নিশ্চিত। আর এঁরা কোনদিনন ঠিক হবেন এই আশা করা মানে অকাট মূর্খতা। তাই আমাদেরকে এখনই ভাবতে হবে এই দেশকে যদি আমরা বাসযোগ্য করতে চাই তবে আমাদের কী করতে হবে। অনেক ভাল থাকুন।
মঞ্জুর মোর্শেদ বলেছেনঃ
সুলতান তো নিজেই স্বীকার করলেন শ্রমিক সংগঠন গুলর কাছে কি ভাবে জিম্মি হয়ে আছে পরিবহন সেক্টর।দল দুটিই তো এই মনপলি চালু রেখেছে। উনি বলেছেন এটা ভাঙ্গা সম্ভব না। দলদুটি যদি নিয়মিত মাসিক উৎকোচ গ্রহন করে এদের কাছ থেকে তাহলে কি করে শাসাবে । এই নোংরা মিথোজীবিতা দরুন ভাল কিছু আশাই করা যায় না।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
সহমত মঞ্জুর ভাই। তারপরও আমি সুলতানকে অনুরোধ করেছি ওই সেক্টরের ভেতরের কিছু বিষয় নিয়ে লিখার জন্য।
জিনিয়া বলেছেনঃ
আমি তরে জিগাই , তুই হ্যা গূড়ে সম্বোধনে চন্দ্রবিন্দু দিছস কিললাইগ্যা?
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
ভুল হইছে, মাফ চাই- আর করুম না কোনদিন।
ট্রাভেলহলিক বলেছেনঃ
জাহেদ ভাই ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য ।
হাততালি,হাততালি।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
ট্রাভেলহলিক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভাল থাকুন।
পাগল মন বলেছেনঃ
মোনেম ভাইর বুদ্ধকে নিয়ে লিখা বইটি প্রাপ্তির তরীকা জানাইলে যারপরনাই খুশি হইব ইহার সহিত তাঁহার আর কোন অবদানের হদিস দিলে খুশির পরিমান অতিশয় বৃদ্ধি পাইবে মর্মে প্রতীয়মান হইতেছে ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
সাজ্জাদ ভাই, আমার আগের মন্তব্যটি একটা ভুলবোঝাবুঝি তৈরি করেছে সম্ভবত। আমি বলেছিলাম বুদ্ধকে নিয়ে কারেন আর্মষ্ট্রং এর লিখা বই এর কথা। আমি বলেছিলাম, মোনেম ভাই ইদানিং কারেন আর্মষ্ট্রংকে নিয়ে লিখছেন।
যাই হোক বইটির পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড করা যাবে এখানে। আর চাইলে আপনার ইমেইল ঠিকানা দিতে পারেন; আমিই পাঠিয়ে দেব।
পাগল মন বলেছেনঃ
ধন্যবাদ ভাই I