
সেদিন সুন্দর একটা টি সার্ট (গেঞ্জি) পরে কাজে এলাম। আমার সহকর্মী ভ্যালেরি ম্যাককর্ড মন্তব্য করলো- ‘অসম্ভব সুন্দর’। আমি গেঞ্জির কলার উপরের দিকে তুলে ধরে বললাম, দেখ তো এটা কোন দেশের তৈরি? ‘ওহ’ বলে সে আরো আশ্চর্যান্বিত হলো। তারপর পাল্টা তাকে প্রশ্ন করেছি- জানো এই টি সার্টটি যে তৈরি করেছে সে শ্রমিকের বেতন মাত্র ঘন্টায় ‘সাত সেন্ট’! আর তোমার ওয়েট্রেসি চাকরির বেতন (টিপস সহ) সম্ভবত ঘন্টায় আঠারো- কি ঊনিশ ডলার! ভ্যালেরি আকাশ থেকে পড়লো! পালটা মন্তব্য- বলো কী? তখন জানতে চাইলো সম্ভবত তোমাদের দেশে জায়গা জমি মানে জীবন নির্বাহের খরচও অনেক কম, মানে- আমেরিকার এক হাজার ভাগের এক। তখন তাকে বললাম, তুমি হয়তো জানো না- ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র এবং ম্যানহাটানের জমির দামে কোন পার্থক্য নেই! আরো কিছু তথ্য দিলাম- যেমন তোমাদের এখানে এক গ্যালন (৩.৭৮ লিটার) দুধের দাম তিন ডলার (২৪০ টাকা), আর বাংলাদেশে তুমি যদি এক গ্যালন খাটি দুধ কিনতে চাও তাহলে তোমাকে অন্তত দ্বিগুণ দাম দিতে হবে। আমার মুখে ‘খাঁটি’ কথাটি শুনে সে আবার ভিড়মি খেল। দুধ আবার খাঁটি অখাটির কি হলো। আরো তথ্য দিলাম- যেমন তুমি এক ডজন ডিম কেনো এক ডলারে (আশি টাকায়)। আমার মায়ের জন্য সে ডিম কেনা হয় একই অথবা তার চেয়ে বেশি দামে।
এবার ভ্যালেরি মুখ খুললো- তাহলে তোমার ওদেশের মানুষ কি খেয়ে বেঁচে থাকে? আমি বলি- ‘আশা’। আমার জন্মভূমির মানুষদের ইহ এবং পরজনমের আশা ঝুলিয়ে বাঁচিয়ে রাখার মতো মানুষের অভাব নেই। এই সব আশা জাগানিয়া মানুষের অস্তিত্ব মসজিদ-মন্দির থেকে শুরু করে পল্টন পর্যন্ত বিস্তৃত। এদের মুখের সামনে আছে দৃশ্য ও অদৃশ্যমান ‘মাইক্রো ফোন’। এসব মাইক্রো ফোনে এরা দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা আশা’র বাণী প্রচার করে। এই ‘আশা’ খেয়েই মানুষ বেঁচে থাকে! এরা তেল চটচটে, চর্বিযুক্ত। এরা দেশি না বিদেশি বোঝার উপায় নেই! যারা এদের কথা শুনে, তাদের কোন জীবনী শক্তি নেই। এই বাকি’রা অর্ধ মৃত। জায়গা-জমি, ফ্ল্যাট, রাজনীতি, অর্থনীতি সবই ঐ চর্বিযুক্তদের কব্জায়। এদের সম্পদের পাহাড়াদার হিসেবে আছে ডজনে ডজনে চ্যানেল এবং রেডিও। ঠিক যেন ধনীর বাড়ির কুকুরের মতো। আমি ভ্যালেরিকে বলি- কী আশর্য্য জানো, বাংলাদেশ কিন্তু গর্ব করে এই হাড় জিরজিরে মানুষগুলোর জন্যই। এই হাড় জিরজিরে মানুষগুলোই তোমাদের ‘ক্লোজেট’ ভরে রেখেছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা কাপড়ে! এরপর ভ্যালেরি’র দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে দেয়া মন্তব্য- ‘হোয়াট দ্যা হেল ইট ইজ’ (কী নরকের কাণ্ড)!
আজ সিএনএন, এবিসি, সিএনবিসি’র পর্দা জুড়ে ঐ একই দৃশ্য। জানালার গ্রীল ধরে অসহায় আর্তনাদ ছুঁড়ে দিয়ে এই বর্বর সভ্যতাকে বিদায় জানাল শত শত ভাই ও বোন। আজ এদের রক্ত আখড়ে লেখা হউক আরো একটি গান, ঠিক যেন আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারির মতো! কিন্তু লেখা হবে না। বাংলাদেশকে সম্ভাবনার শিখরে নিয়ে যাবার জন্য যারা এই নব্য দাশ যুগে আত্মদান করলো, তাদের আত্মদানকে কেনা হবে দু’চার লাখ টাকায়। কী দানবীয় স্বীকৃতি! মানুষের জীবনকে নিয়ে যারা এই মৃত্যুর পাশবিক খেলায় মেতে উঠেছে, এরা মানুষ নামে স্বীকৃতি পাবার যোগ্য নয়!
নাই ধর্ম, নাই মর্ম
সম্পদ আহরণের পাশবিক খেলায় এখন রাষ্ট্র থেকে যেমন ধর্ম বিদেয় নিয়েছে, তেমনি বিদেয় নিয়েছে সমাজের মর্ম! কেউ কারো জন্য হাপিত্যেশ করে না। আপন প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, এটাই পুঁজিবাদের নিয়তি। কিন্তু রাষ্ট্রের আইন-কানুন এবং সমাজের বিবেক যে এতোটাই ভিত্তিহীন দুর্বল হয়ে পড়বে, তা ভাবতে কষ্ট লাগে। কিছুদিন আগে বিমানে ভ্রমণের সময় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন পাশের সীটে। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম গার্মেন্টস খোলার অনুমতি দেয়ার আগে পরিবেশ সার্টিফিকেট দেয়ার বিধান আছে কি না, থাকলে তা ঠিকমতো তদারকি হয় কিনা। এর জবাব না দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আগুন কি নিউইয়র্কে লাগে না? আল্লাই আমাদের রক্ষা করেন’। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব সরকারি কর্মকর্তাই বাংলাদেশের নিয়তি। ‘পাবলিক সেফটি’ সম্পর্কেই তাদের কোন ধারণা নেই। অথচ তারা মাসে মাসে বেতন গুনেন মানুষের কষ্টের ট্যাক্সের পয়সায়! এদের না আছে মানবিক সম্ভ্রম, না আছে ধর্মের সম্ভ্রম!
দুর্বলের কান্না
আমার মনে হয় বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী সবচেয়ে দুর্বলতম ব্যক্তি! ইনি সব দূর্ঘটনার পেছনে খুঁজেন ‘ষড়যন্ত্র’! রাষ্ট্রের কর্মচারীদের জবাবদিহিতার পরিবর্তে ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’ খোঁজা ব্যর্থতার সামিল। দূর্ঘটনায় অপমৃত্যুর দায় কাউকে না কাউকে নিতেই হবে! যে সব কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে, সে গুলোর পরিবেশ তথা অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থাপনা কতটা জুতসই, তা যাচাই করা উচিত শুরুতেই। যারা আইন মানবে না, তাদের জন্য থাকবে শাস্তি, এইতো একটি রাষ্ট্রের কাছে জনগণের চাওয়া! সেই রাষ্ট্রটি যদি দুষ্টের লালন, এবং শিষ্ট দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি আর রাষ্ট্র থাকে না। পরিগণিত হয় ব্যর্থ রাষ্ট্রে! আমাদের প্রধান মন্ত্রী সেই কুচক্র থেকে বেড়িয়ে দেশকে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী’ রাষ্ট্রে পরিণত করবেন, তাইতো প্রত্যাশা!
নিউইয়র্ক, ২৬ নভেম্বর ২০১২
বিন্দুবিসর্গ বলেছেনঃ
জহিরুল ভাই। সমবেদনা, শোকপ্রকাশ আর বিধাতার নিকট দোয়া প্রর্থনা করা ছাড়া এই অধমের করার কিছু নেই (আপাতত)। মস্তকবিহীন থেকে শুরু করে খন্ডবিখন্ড লাশ আমি দেখেছি। পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া লাশও দেখলাম। কি বিভৎস! কি অমানবিক!
মাননীয় প্রধানমণ্ত্রি যে ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন তা কিন্তু একেবারে ফেলে দেবার নয়। পলিটিক্যাল অর্থনীতিতে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। অন্যের বাজার ধংশ করে নিজের বাজার নিশ্চিত করা, লোকসানে থাকা ব্যবসায়ের লোন পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে বা বীমা দাবী করার ক্ষেত্রেও এমন ঘটনার জন্ম হতে পারে। কর্পোরেট নামে একটা হিন্দি মুভি দেখেছিলাম। যেখানে এমন কিছু ঘটনা ছিল। যদি ষড়যন্ত্রই হয় তবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব তা খুজে বের করা। আর নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থারও আরো উন্নতি সাধন ও যথাযথ পরিপালন করার ক্ষেত্রে মালিক পক্ষকে আরো সচেতন হতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা কিছুই করতে পারে না যখন দলীয় পরিচয়ে লাইসেন্স এর আবেদন করা হয় আর নেতার প্রেশার থাকে। নিজেদের স্বার্থেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আর যেন এমন প্রাণহানী না হয় সবারই এমনই চাওয়া।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের মন্তব্য পড়ে দুঃখ খানিকটা গলে পড়লো।
মালিক পক্ষ তো কখনো সচেতন হয় না, যদি রাষ্ট্রের নির্মোহ তদারকি না থাকে। রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারি দুর্নীতির ওপর ভরসা করে থাকলে তদারকি করবে কিভাবে? ‘আগুণ লাগবেই’ এটা ধরে নিয়েই তো যে কোন ভবনের নকশা প্রণীত হওয়া উচিত? কারখানা গুলো অগ্নি নির্বাপনে কতটা দক্ষ, তাতো যাচাই করা উচিত অন্তত বছরে একবার?
কারখানার শ্রমিকরা ‘ফায়ার ড্রিল’ করে বছরে একবার অনুশীলন করবে, জরুরি মোকাবেলার। এটাই তো প্রতিষ্ঠিত নিয়ম। এর ব্যত্যয় হলে তো আগুণে পুড়ে মরতেই হবে। এবং সে আগুন একদিন আমার-আপনার গায়েও লাগতে পারে!
Auny Alamgir বলেছেনঃ
বাংলাদেশের শ্রমিকের
শ্রম যত সস্তা
শ্রমিকের জীবন
তার চেয়েও সস্তা
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন।
আসাদুজজেমান বলেছেনঃ
আসলে, আমাদের দেশটা বড় দুর্ভাগা!!!
এদেশে গাভিরা এখনো দুগ্ববতী কিন্তু সে দুধ শুধু পয়সাওয়ালাই কিনতে পারে….!!!
এদেশে শীতের সকালে এখনো মিষ্টি রোদ ওঠে কিন্তু সে রোদ শুধু সামর্থবানরাই পোহাতে পারে……!!!
মাত্র সাত সেন্টের জন্য কাজ করে যাওয়া মানুষগুলো ভোরে খোয়ারে ঢোকে সন্ধ্যা পেড়োলে বেড়োয়….সন্তানকে দুধে ভাতে রাখার আকাংখা অনেক আগেই হারিয়েছে, যাদের দাম দিয়ে কেনা মিনারেল ওয়াটারেই হিমশিম খেতে হয়!!!
………………………………।
………………………………।
মর্মান্তিক বিষয় বিধায় ভালো লাগার অভিব্যক্তি ব্লাঙ্ক রাখা হলো……তবে যেনে রাখুন সে ভাল লাগা হৃদয়ে পূর্ন আছে…………………….
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
সত্যি দুর্ভাগ্য। সত্তর-আশির দশকে এ দেশে সচিব থেকে পিয়ন পর্যন্ত পদে কিভাবে নিয়োগ হতো তা আপনি জানেন। এখনো যে পরিস্থিতি খুব একটা বদলেছে তা নয়।
চট্টগ্রামে গার্ডার ধ্বসে পরার পর কর্মকর্তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না! এ সব কর্মকর্তা কতটা উচ্ছিস্ট- কাপুরুষ আপনি তা ভাবতে পারেন?
২০০১ সালে আমি দেশ ছেড়ে চলে আসার মাস খানেক পর সাইন্স ল্যাবের নির্মানাধীন ফুট ওভার ব্রীজ ধ্বসে পড়ে বিজিএমসি’র এক কর্মকর্তা ও কর্মচারি গাড়ির ভেতরেই নিহত হলো। ঐ পথে আমি প্রতিদিন অন্তত চার বার যাতায়াত করতাম রিক্সায়। চিন্তা করুন- ব্রিজটা আমার মাথায়ও ভেঙ্গে পড়তে পারতো। এ সবের জন্য দায়ী কে- নিশ্চয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বরত কর্মকর্তা?
প্রথম আলো বলেছেনঃ
আপনিও সেই আশা/প্রতাশা নিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন তাও আবার সেই তেল চটচটে মুখওয়ালাদের উপর আস্থা রেখে।
অবুঝ বাঙ্গাল
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
আমি না শুধু, আমরা সবাই। কারন আমাদের তো আশা’র উপরই বেঁচে থাকতে হয়!
মাহবুব বলেছেনঃ
সংসারে সুখ দুঃখ তরঙ্গের খেলা; আশাই তার একমাত্র ভেলা! আমিও আশায় থাকলাম আমাদের দেশের এইসব খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য একদিন বদলাবেই! আর তাদের ভাগ্য বদলালে দেশের ভাগ্য এমনিতেই বদলাবে! আর আমাদের বি..জ্ঞ নেতা নেত্রীদের মন্তব্য নিয়ে সুধু একটা কথায় বলতে হয়, নাচতে না জানলে উঠান সব সময়ই বাকা হয়! ষড়যন্ত্র যদি হয়েই থাকে তাহলে সেটা প্রকাশ করলেতো ষড়যন্ত্রকারীরা সতর্ক হয়ে যাবে! পারলে কথায় বড় না হয়ে বা অন্যের ঘরে দোষ না চাপিয়ে ভালো কিছু করে দেখান এই প্রত্যাশাই রইলো উনাদের প্রতি!
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
ষড়যন্ত্র তো এদেশে নতুন নয়। ৭৪-৭৫ সালে পাটের গুদাম পোড়ানো, খাদ্য গুদাম লুটপাটের ঘটনা তো শেখ হাসিনার জানা থাকার কথা! ষড়যন্ত্র হবেই। তাই বলে আগুণ লাগলে পলানোর পথ থাকবে না, তা কি করে হয়?
ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। মানুষ মরতে মরতেই শিখে। কিন্তু আমাদের পাঠশালায় শেখানোর পদ্ধতিটা খুবই নির্মম!
ahsan বলেছেনঃ
[ইংরেজি ও রোমান হরফে লেখা মন্তব্য প্রকাশ করা হয় না। বাংলায় মন্তব্য করুন। নাম বাংলায় লিখুন : ব্লগ টিম]
ahsan বলেছেনঃ
[ইংরেজি ও রোমান হরফে লেখা মন্তব্য প্রকাশ করা হয় না। বাংলায় মন্তব্য করুন। নাম বাংলায় লিখুন : ব্লগ টিম]
শাহরিয়ান আহমেদ বলেছেনঃ
বিষ্ফোরন ঘটার সময় হয়ত ঘনিয়ে এসেছে। নাহলে এত বার বারে না।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
হয়তো বিস্ফোরণ হবে। কিন্তু বিস্ফোরণের পর যেন শ্রেয়’র আবির্ভাব ঘটে!
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
চৌধুরী সাব, মন খারাপ করা ভালো লাগলো আপনার আবেগী লেখা পড়ে। সেই সত্তুরের শেষ দশক থেকে আজতক পোষাকশিল্প শ্রমিকজীবন ও পরিবেশের মান একবিন্দু এগোয়নি। মাঝখান থেকে মুক্তঅর্থনীতিকে প্রনোদনা দেয়ার নামে আপনার যথার্থ ভাষায়, কিছু “না আছে মানবিক সম্ভ্রম, না আছে ধর্মের সম্ভ্রম” রক্তপায়ী লেভিয়াথান তৈরী করা হয়েছে। এরা এখন রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার। এদের টাকা আমাদের নেতাদের পেটে খচখচ করে আওয়াজ তোলে, তাইতো নেতারা দুর্বল।
প্রধানমন্ত্রীর ষড়যন্ত্র তথ্যে আপনার অবিশ্বাসের প্রতিবাদ করে একজন ইতোমধ্যে মন্তব্য করেছেন। সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সহানুভুতিশীল তাঁর মতো সবাইকে আমি বলবো, যদি বহিঃষড়যন্ত্র রুখতে আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অপারগ হয়, তাহলে দয়া করে তেনারা নিরাপত্তা বাহিনী ছেড়ে চুলকাটার ব্যবসায় যোগ দিন।
কারখানার মালিক নিউ ইয়র্ক টাইমসকে অগ্নিকান্ড ঘটা কালে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, “আমি বুঝতে পারছিনা, শ্রমিকেরা বের হতে পারছেনা কেন?”। একে আপনি কি বলবেন?
ভালো থাকুন।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
শুধু বাংলাদেশ কেন, সমগ্র বিশ্বটাই আজ লোভের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। ওয়াল মার্ট, জেসিপেনি, এইচ এন্ড এম, ওল্ড নেভী- এদের সবার প্রতিযোগিতা কি করে সস্তায় তৈরি জামা বিক্রি করবে। আর বাংলাদেশে ‘বাইং হাউজ’গুলো প্রতিযোগিতা করে এদের ওর্ডার ধরার জন্য। মাঝখানে শ্রমিকের জীবনে ‘বারোটা’।
যে মালিক বলেছে- “আমি বুঝতে পারছিনা, শ্রমিকেরা বের হতে পারছেনা কেন?”। আপনি আন্দাজ করতে পারেন এর সঙ্গে কারখানার দূরত্ব কতটুকু। নিজের কারখানা সম্পর্কেই এর কোন ধারণা নেই। এখানেই আমাদের দেশের এন্টাপ্রেনরদের সঙ্গে চীন-কোরিয়া-থাইল্যান্ডের এন্টারপ্রেনরদের পার্থক্য।
মালিক এবং কারখানার এই দূরত্ব ঘোচানোর দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু দূর্ভাগ্য জনকভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই!
ধন্যবাদ আপনাকে। এতোদিনে নিশ্চয় আপনার কর্ম সংশ্লিষ্ট লেখাপড়ার ভার কিছুটা লাঘব হয়েছে? ভাল থাকুন।
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেনঃ
মধ্যবিত্তের নিস্ফল আহাজারি বিলাস
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
আপনার লেখাটি আমি আগেই পড়েছি। যদিও মন্তব্য করিনি, নিজেকে ‘সুবিধাবাদী মধ্যবিত্ত’ মনে করি বলে!
নাজমুল ফিরোজ বলেছেনঃ
কবে? কবে আবার বাংলার এই সব নিপীড়িত, অত্যাচারিত মানুষ যার যা আছে তাই নিয়ে বেরিয়ে পড়বে, আর একবার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, আর একবার আর একটি বার যুদ্ধ ঘোষনা করবে সেই স্বার্থপর, লোভী রাজনৈতিকদের বিরুদ্ধে। দুনীতিবাজ, ভন্ড আমলাদের বিরুদ্ধে। হে মধ্য বিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা তোমাদের এখনি সময়, যুদ্ধের- প্রতিরোধ গড়ে তোলার। না হলে তোমরা তোমাদের প্রিয় সন্তানদের কিছুই রেখে যেতে পারবে না। না সম্পদ না সুন্দর সমাজ।
একবার ভাবুন আগুনে পুড়ে যাওয়া মানুষ গুলোর কথা, প্রথমে তাদের আগুনে তাপ লেগেছে, সেটা থেকে তারা বাচতে চেয়েছে তারপর নিরুপায় ঐ উত্তপ্ত আগুনে একটু একটু করে ছটপট করে মরেছে। কত কষ্টের ছিল সেই মৃত্যু। একবার নিজেকে ভাবুন সেই, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, বুক ফেটে কান্না আসে। অথচ আমাদের দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজনৈতিকদের একটু দয়া হয়না, একটু মায়া হয়না। এই হায়েনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
ওদের দয়া হয়- যখন ভোটের সময় আসে। দেশ ও সমাজের মালিক আসলে ওই ‘হলমার্ক’ ওলারা। ‘মাফিয়া’ রাজত্বে বসবাস আমাদের। তবে জেগে ওঠার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। ধন্যবাদ আপনাকে।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
চৌধুরী সাব, চাপের শেষদিকে আছি, আর বিস্তারিত কিতা কইমু? আপনি ভালো আছেন তো?
এক মন্তব্যকারীর মন্তব্যে আপনি চমৎকার উত্তর দিয়েছেন, “….তাই বলে আগুণ লাগলে পলানোর পথ থাকবে না, তা কি করে হয়?”। শেখ হাসিনা আমাদের কদু শেখান, মূল প্রশ্নের ধার দিয়েও হাটেন নি। এখন দেখবেন, সরকারী দলের মন্ত্রী-নেতা-পাতি নেতা-সিকি ও দুয়ানী নেতা এমনকি ব্লগের বীরপুরুষেরা অন্তর্ঘাতের বিরুদ্ধে কীভাবে হুঙ্কার দিয়ে উঠে।
ভালো থাকবেন।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
এ ভাবেই মানবিকতা আর মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
কমু হাসান বলেছেনঃ
জনাব: আপনি তো আমেরিকাতে থাকেন। তারপর শুধু মালিকদের ব্লেম ডিসছেন কেন? এখানে ড্যাখেন না, কোনও বাড়ি বা ইন্ডাস্ট্রি বানাবার আগে কী করতে হয়? একটা বাড়ি বানাবার আগে রাস্তা, বিদ্যুত, পানি, গ্যাস, শিউরেজ, নেইবারহুদ তৈরি হয়, তারপর বাড়ির নকশা যাতে সবার আগেই ফায়ার ফাইটিং এবং এসকেপ একসেস পাস করাতে হয়, তারপর “জিরো তলারেন্সের” ইন্সপেক্ষন তো আছেই। এসব এপরুব হলে পরেই বাড়ির কাজ শুরু করা জায়ে।
বাঙালি পারে তো শুধু বিদেশকে ঘেন্না করতে আর অন্যকে দোষারোপ করতে। এসব গার্মেন্টস ফেক্টরী যখন তৈরি হয়েছিল তখন কোনও আইন বা নিয়ম কেন ছিলনা? তরক করে তো মির্জা গং বা আওয়ামি লীগের চামছাড়া বলবে ও ও তখন বি এন পি গদিতে ছিল, বা বিল্ডিং গুলো জামাত শিবির বানিয়ে ছিল…। সরকার যেই হোকনা কেন এটা 100% সরকারের দায়িত্ত হীনটা। বাঙালির এক মাত্র উপায়ে হল আওয়ামি লীগ ও বি এন পি কে নির্মূল করা, তবে যদি বাংলাদেশ রেহাই পায়ে। খোদা হাফেজ.।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
ধন্যবাদ @কমু, আমি আপনার সঙ্গে একমত। হ্যাঁ, বিদেশ থেকেও আমাদের শেখার আছে। আপনি যে নিয়ম কানুনের কথা বললেন, এসব নিয়ম এবং আইন বাংলাদেশেও আছে। কিন্তু সেগুলো পালন করা হয় না। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সত্য কথা হলো- বাংলাদেশে আইন মানার চেয়ে, আইন ভঙ্গকারী মানুষের সংখ্যা বেশি। আর আইন ভাঙ্গার জন্য সরকারি কর্মকর্তারাই মানুষকে বেশি উৎসাহিত করেন ‘টু পাইস’ কামাই করার জন্য। গত চল্লিশ বছরে সাধারণ মানুষের চরিত্র ধংসের জন্য এই শিক্ষিত সরকারি কর্মকর্তারাই দায়ী।
যে রাজনীতিবিদরা এই অবনতি থেকে দেশকে রক্ষা করবেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারাও আজ দুর্নীতিপরায়ন আমলা এবং ব্যবসায়ী নামের ‘মাফিয়া চক্রের’ হাতে জিম্মি!
প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতির কারনে ‘ষড়যন্ত্র’ ভর করেছে ‘সহযোগিতার’ জায়গায়। দেশে যে কোন প্রকারে বিশৃঙ্খলা তৈরি এখন বিএনপি এবং জামাতের লক্ষ্য। ‘৭১-এর বিচ্চু জামাত এখন অর্থ-বিত্তে ‘অজগরে’ পরিণত হয়েছে। দু’-চার বছর বাদে এরা যদি বিএনপি-কে গিলে খায় তাতেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।
এত কিছুর পর- ষড়যন্ত্র হবে, আগুণ লাগবে এটা ধরে নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা বিদদের সজাগ হওয়ার সময় এসেছে। নিজেদের অবহেলা ও কর্তব্যহীনতায় মানুষের মৃত্যু হলে তাতে গণতন্ত্র টিকে থাকবে না। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার বাংলা লেখা আরো বোধগম্য হলে পড়তে নিশ্চয় আনন্দ লাগবে। ভাল থাকুন।
মজিবর বলেছেনঃ
সব নষ্টের মূলকারীগর রাজনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ,রাজনীতিবিদ।
“বাঙালির এক মাত্র উপায়ে হল আওয়ামি লীগ ও বি এন পি কে নির্মূল করা, তবে যদি বাংলাদেশ রেহাই পায়ে।” সহমত প্রকাশ করছি।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
মজিবর ভাই, আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে নির্মূল করে কাকে ক্ষমতায় আনবেন? বাজিকরেরা তো এ দু’দলেই বাজি ধরে রেখেছে? এরা তো মান্না ভাই, অথবা ড কামালের দলে বাজি ধরবে না! কারন তারা জানে এদের দলে বাজি ধরলে নিশ্চিত ফতুর হতে হবে! 😀
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেনঃ
জহিরুল ভাই, আপনার লেখাটা পড়ে মনকষ্টটা আরও বেড়ে গেল!
আমি আপনাকে একটা আমার ব্যক্তিগত বিষয় বলছি-
এই কথাগুলো বললাম এই কারণে যে, একটু সতর্ক হলেই অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা যায় বা এড়ানো যায়!
যে ফ্যাক্টরিতে আগুনে পুড়ে এত মানুষ মারা গেল, সেই ফ্যাক্টরিটার মালিক অবশ্যই আইন মেনে এটা তৈরি করেননি এবং তাতে যদি সত্যি সত্যি বিকল্প সিঁড়ির ব্যবস্থা না থেকে থাকে, তাহলে তা হয়েছে বড় ধরনের “আইন লঙ্ঘনের ঘটনা”। এর ফলে ফ্যাক্টরিটা হয়েছে মৃত্যুফাঁদ, যাকে আপনি “খুনের ফাঁদ”ও বলতে পারেন! এর জন্য ওই এলাকার সরকারি বিভিন্ন দফতরের ফ্যাক্টরি ইনস্পেক্টরদের থেকে শুরু করে ফ্যাক্টরি মালিকের বিরুদ্ধে সরাসরি “গনহত্যার” মামলা দায়ের করা উচিত!
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
সুকান্ত আমি সাম্প্রদায়িক না। সাম্প্রয়ায়িকতাকে ভীষণ রকম ঘেন্না করি। কিন্তু চারদিকের সাম্প্রদায়িকতার মাঝে আপনাকে পূজা দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। এই দেশের সার্থান্ধ ‘গাধা’ মুসলমানেরা আপনার কাছ থেকে যদি কিছু শিখতো, তবে তারা সভ্য হতো!
আমার এক মামা আজ থেকে তিরিশ বছর আগে আমার কৈশোরে বলেছিলেন- অর্থ-বিত্তের পাশাপাশি মানুষের সাংস্কৃতিক উন্নতি না ঘটলে খুবই বিপদ! বাংলাদেশের এখন খুবই বিপদ! কিছু লোকের প্রাচুর্যের প্লাবনে ভেসে যাচ্ছে সব নৈতিক মূল্যবোধ! আপনার মতো সৃষ্টিশীল তরুণরাই আমাদের শেষ ভরসা! আপনারা এই অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়ান। নিশ্চয় একদিন দেখবেন, আমিও আপনার পাশে এসে দাড়িয়েছি।
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেনঃ
জহিরুল ভাই!
আপনার জন্য আমার আর একটা ছোট তথ্য, “আমরা ব্যবসাটিতে শত ভাগ লোকসান দিয়েছি!
এর কারন গুলো সময় হলে বলবো !!! 🙁 🙁 🙁
ধন্যবাদ!
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
সুকান্ত, প্রথম আলোতে কাবেরি গায়েন নামে একজন লিখেছেন-
“যে বস্ত্র শ্রমিকেরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আমাদের পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই বস্ত্র শ্রমিকদের শনাক্ত-অযোগ্যভাবে পুড়িয়ে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে তুলে দেওয়ার মানে কি আমরা বুঝি? কেউ এসএমএস করেছেন তাঁর মায়ের কাছে, ‘কোমরে বাঁধা শার্ট দেখে লাশ চিনে নিয়ো’, কেউ বলেছেন, নাকফুলের কথা। এভাবে জলজ্যান্ত সবচেয়ে কর্মব্যস্ত মানুষগুলো মালিকদের লোভের আর রাষ্ট্রের উদাসীনতার শিকার হয়ে পরিচয়হীন হয়ে গেল, অথচ রাষ্ট্রই তো মানুষকে পরিচয় দেয়। এই শনাক্ত-অযোগ্য লাশের দায় কেন রাষ্ট্র নেবে না?” এই লিঙ্ক থেকে লেখাটি পড়ে নেবেন দয়া করে।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
@সুকান্ত,, আপনার পাশে আমরাও আছি। কিছু মানুষ সৎ হওয়ার উদাহরন না দেখালে দেশটি আরো পুতিগন্ধময় হয়ে যেতো। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
সুকান্ত দেখলেন তো, বড় ভাইও আছে আপনার সঙ্গে। একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি হারিয়েছেন তো কি হয়েছে। জীবন টা তো বাকি আছে! আর আছে জয় করার মতো বাকি বিশ্ব!!
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেনঃ
“আমার মুখে ‘খাঁটি’ কথাটি শুনে সে আবার ভিড়মি খেল। দুধ আবার খাঁটি অখাটির কি হলো।”
————————-
বেশ কিছু মতামত/বক্তব্য উদ্ধৃতি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং বিচক্ষণ। তবে ‘খাঁটি দুধ’ বিষয়ক কথাটি উল্লেখ না করে পারলাম না। লেখাটি অনেক বিষয়ে পাঠককে সচেতন করেছে। ‘প্রধানমন্ত্রী দুর্বলতম ব্যক্তি’ – একদম একমত আমি। সবমিলিয়ে মজা পেলাম পড়ে।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
লেখাটি আপনার মনে ছায়াপাত করেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ।
মেহেদী হাসান আজাদ বলেছেনঃ
লেখকে ধন্যবাদ দারুন সুন্দর এবং সময়উপযোগী একটি লেখা পোস্টিং দেওয়ার জন্য।
দুঃখ প্রকাশ এবং সমালোচনা করার পাশাপাশি এই অবস্থা থেকে উত্তরনের উপায়ও সুপারিশ করা উচিত ছিল আপনার। তাহলে আরো বেশী অনবদ্য হত আপনার লেখাটা।
জহিরুল চৌধুরী বলেছেনঃ
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। লেখায় মোটাদাগে কিছু সুপারিশ আছে। যেমন – ” যে সব কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে, সে গুলোর পরিবেশ তথা অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থাপনা কতটা জুতসই, তা যাচাই করা উচিত শুরুতেই। যারা আইন মানবে না, তাদের জন্য থাকবে শাস্তি, এইতো একটি রাষ্ট্রের কাছে জনগণের চাওয়া! সেই রাষ্ট্রটি যদি দুষ্টের লালন, এবং শিষ্ট দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি আর রাষ্ট্র থাকে না। পরিগণিত হয় ব্যর্থ রাষ্ট্রে! আমাদের প্রধান মন্ত্রী সেই কুচক্র থেকে বেড়িয়ে দেশকে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী’ রাষ্ট্রে পরিণত করবেন, তাইতো প্রত্যাশা!” তাছাড়া রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকির প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়েছে। তবে বেশ কিছু মন্তব্যে আমি গার্মেন্টস মালিকদের করণীয় ব্যাপারেও বলেছি। তবে সবার আগে যে প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা, সেটা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য সেটাও মনে করিয়ে দিল। ধন্যবাদ আপনাকে চোখ রাখার জন্য।
ম, সাহিদ বলেছেনঃ
সুপ্রিয় জহিরুল ভাই,আপনাকে নগর নাব্য-২০১৩ বইটির প্রথমিক বাছাই কমিটির সম্মানিত সদস্য করা হয়েছে। আশা করি আপনার বিচক্ষন চিন্তা চেতনার বহিঃপ্রকাশ লেখা বাছাইয়ে থাকবে এবং আমরা উপকৃত হব। দয়া করে একটু এই লিংকে এসে আপনার মন্তব্যটি জানিয়ে যাবেন।
ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।।