ইচ্ছা হলেই স্বাধীনতার ইতিহাস বলা যায় না।
আমাকে জানতে হবে কেন এই দেশ স্বাধীন করার প্রয়োজন হয়েছিল।
বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানীদের শাসনের নামে বর্বরতার ইতিহাসকে জানতে হবে। কিন্তু কে আমাকে জানাবে? আমি কোথা থেকে জানব?
মুক্তিযোদ্ধে বাঙ্গালীদের কি ক্ষতি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি।
৩০ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ ধর্ষণ।
কত সহজ কথা!
৩০ লক্ষ শহীদ বলতে আমাদের মুখ বিবর্ণ হয় না। আমাদের জ্বিহবা কাঁপে না।
আপনি কি “একাত্তরের চিঠি” বইটিতে ছাপানো চিঠিগুলো পড়েছিলেন? সেখানে প্রতি চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা শহীদের রক্ত দেখার আনান্দ(!) পাবেন। প্রতিটি চিঠি আপনার মুখকে বিবর্ণ করবে, আপনার চোখকে পাথর বানিয়ে দিবে।
এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বাধীনতার ৩৮বছর পর। তারপর কত জনের সংগ্রহে আছে এই বই? কতজন পড়েছে ওই চিঠিগুলো?
তাহলে আমরা কোথা থেকে জানব? কিভাবে অনুভব করব মুক্তিযোদ্ধের ভয়াবহতা?
আমরা আজ খুব সহজে বলতে পারি দুই লক্ষ ধর্ষণ।
ধর্ষণ শব্দ বলার পর আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে না, দাঁত দিয়ে কাটা স্তন, বেয়নেট দিয়ে ক্ষত বিক্ষত যৌনাঙ্গের লাশ।
দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারপর সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার দ্বায়িত্ব কার?
রাষ্ট্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে এমন কোন রাজনৈতিক দল নেই যারা নিজের দলের উর্ধে দেশের জন্য কাজ করে।
রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বলার চেয়ে ব্যাক্তি জীবন নিয়ে বলা সহজ, বাংলাদেশে যেই ছেলেটি সরকারি অফিসার হচ্ছে তার মধ্যে কোন প্রবনতা বেশি কাজ করে, দেশের জন্য কিছু করা নাকি নিজের জন্য সম্পদ গড়া? দেশপ্রেম আজ কোথায়?
স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ৩০ লক্ষ শহিদের দেশপ্রেমের অবদান আজ আমরা বসে বাসে ভোগ করছি। আমারা আজ ভুলে গেছি স্বাধীনতা রক্ষা না করলে দুঃশাসনের কবলে পরতে হবে।
স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমি ব্যাক্তিগতভাবে কতটুকু কাজ করেছি, এই প্রশ্ন যেদিন প্রত্যেক বাঙ্গালী নিজেকে করতে শিখবে সেইদিন আমার দেশ প্রকৃত স্বাধীনতার আনন্দে নেচে উঠবে।
পছন্দের পোস্ট করতে আপনাকে লগইন করতে হবে।