সংক্রমিত ধর্মীয় শিক্ষা

জাকির হোসেইন

Published : 3 Nov 2015, 08:43 AM

Updated : 3 Nov 2015, 08:43 AM

আমাদের ধর্মীয় জীবন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। এ জন্য ধর্মীয় জ্ঞানও সংক্রমিত। যদিও একজন ব্যক্তির ধর্ম-জীবন তার নিজ ধর্মের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ দ্বারা নির্মান হওয়া উচিত। তা না হওয়ায় আমাদের মধ্যে মৌলিক ধর্মীয় জ্ঞানের পরিবর্তে সংক্রমিত-জ্ঞান স্থান করে নিয়েছে। যেমন: আমরা মুসলিমরা আরবী কোরআন পড়ি অর্থ না জেনে, এতে করে অজানা থেকে যাচ্ছে কোরআনের মূল বক্তব্য। আবার বেদ হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ হলেও হাজারে একজন হিন্দুর ঘরে বেদ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। ফলে ঠাকুর মশাই-ই তার ধর্মীয় জ্ঞানের উৎস। বৌদ্ধধর্মে ঈশ্বরের অস্থিত্ব না থাকা সত্ত্বেও মৃত্যুর পর ভক্তদের অতিভক্তির কারনে মহামতি বুদ্ধজি নিজেই ঈশ্বরে পরিনত হয়েছেন। মহামান্য পোপকে পবিত্র বাইবেলকে যুগোপযোগী করে নিতে মাঝেমধ্যে সংশোধনী করে নিতে হয়। এভাবে পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলো নিজ নিজ একটি বিশেষ শ্রেণির কাছে বন্দি। এরজন্য অবশ্য আমরা নিজেরাও দায়ী। কেননা ধর্ম কোন বিশেষ শ্রেণির জন্য নয়। ধার্মিক বা জ্ঞানী হওয়া, মানবিকতা অর্জন,দাসত্ব না করা প্রত্যেকটি ধর্মের মৌল-বাণী হলেও এখন এসব সুদূর পরাহত। ইদানিং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে, ধর্মকে ব্যবহার করে এক বা একাধিক গোষ্ঠি নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। কখনো কখনো তাদের ঈস্পিত লক্ষ্যও অর্জিত হচ্ছে। কিন্তু যাদের দ্বারা বা যাদেরকে ব্যবহার করে লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে বিনিময়ে তারা কী পাচ্ছে? কিছুই না। তাদের সংকীর্ণ অথবা সংক্রমিত ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে তারা ব্যবহৃত হচ্ছে।।