কাকের মাংস কাকে না খেলেও পুলিশে খায়

জাকির হোসেইন
Published : 7 May 2016, 08:13 PM
Updated : 7 May 2016, 08:13 PM

আমার আজকের পোস্টটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের খণ্ডচিত্র, সামগ্রিকতা নয়। সুতরাং ভুল বোঝার কোন অবকাশ নেই।

আমার এক বন্ধু পুলিশের এসআই। অতি সম্প্রতি আমার এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। ফলে ঘনিষ্টতা যেন একটু ঘনই। সাত লাখ টাকা দিয়ে চাকরিটা জুটিয়েছেন। যদিও এই পোস্টের বর্তমান বাজার মূল্য আরো বেশি। শ্বশুড় বাড়ি বেড়াতে এলেই আমার সাথে দেখা, আড্ডা আর আলোচনা।

পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধঃস্তনদের মাসিক নির্দিষ্ট মাশোহারা দিতে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এ কারনে মৃত ব্যক্তিকে সরাতেও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। ইদানিং পুলিশের একটা বড় বাণিজ্য হচ্ছে "বৈধ"-"অবৈধ" প্রেমে হানা দেওয়া। দিনে কি রাতে টহল পুলিশের সামনে আপনি আপনার প্রেমিকাকে নিয়ে পড়লেই হল। কেল্লা ফতে। টাকা তো যাবেই, প্রেমিকার সামনে প্রেস্টিজটুকুও যেতে পারে! বন্ধুর ভাষায়–রিক্সা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার অথবা নির্জনে কোথাও দুজন নারী-পুরুষ পেলেই হল। আলাদা করে দুজনকে জেরা করা হয়। মেয়েটিকে চাপ দেয়া হয় মা বাবা কারো নম্বরে কল দিতে। ছেলেটিকে বলা হয়- সঠিক সম্পর্ক কী বল, না হলে ওকে হ্যারেজ করব। বেচারা কী আর করবে? ওদের টাকা পয়সা পুরোটাই রেখে দেয়া হয়। বন্ধু বলল- সে দিন এক রিটায়ার্ড পুলিশ এক মহিলাকে নিয়ে ধরা পড়ল। মহিলার ব্যাগে আট হাজার টাকা ছিলো পুরোটাই রেখে দিলাম। লোকটিকে বললাম, পুলিশ পরিচয় দেয়ায় আপনাকে ছেড়ে দিলাম। ভাবুন একবার। পুলিশ কতোটা বেরসিক হতে পারে। বাংলা ছিঃনেমার ভিলেন সাক্ষাৎ আপনার চোখের সামনে।

রেশনে বাঁশমোতি চিকন চাল দিলে এরা নাকি শুদ্ধ হবে! আমার বিশ্বাস এই দেশের পুলিশ ডিপার্টমেণ্টে আসমানী ফেরেশস্তা রিক্রুট করলেও তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার আসমানে চলে যেতে হবে।

যে সব পুলিশ সদস্য সৎ, পরোপকারী, আদর্শ ও নিষ্টাবান তাদের জন্য স্যালুট। দেশ ও জাতি তোমাদেরকেই চায়।।