বৃষ্টির শব্দ,বিমোহিত মন

নাজমুল হক জেনিথ.
Published : 7 July 2012, 04:06 AM
Updated : 7 July 2012, 04:06 AM

বাংলা সনেকে সাজানো হয়েছে ছয়টি ভাগে। তার মধ্যে বর্ষার বৃষ্টি নিয়ে অনেক গান কবিতা রয়েছে। আছে বড় বড় উপন্যাস কাহিনী। বর্ষার বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ নিয়ে সিনেমা বা নাটকও কম নয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছে দান' বা আধুনিক কালের শিল্পীরাদের মধ্যে তৌসিফের বৃষ্টি ঝরে যায় গোপনে,আগুনের বৃষ্টিরে বৃষ্টি আয়না জোরে বা কনার ঝুম ঝুম বৃষ্টি সবসময়ই মাতিয়ে রাখে আধুনিক তরুনদের।

প্রকৃতির লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুন শিক্ষার্থীরাও বর্ষার মাদলা দিনে মেতে থাকে উৎসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলো নবরূপ ধারন করে এসময়। অনেক টা নবযৌবনা দেখায় তাদের । দীর্ঘ পিচঢালা পথে তাকিয়ে বা সবুজ বৃক্ষরাজির উপর ঝুম ঝুম শব্দে মাতাল করে রাখে। ঘুম কাতুরে শির্ক্ষাথীরা আবার হল থেকে খুব বেশী না বেরিয়ে স্বপ্নের মাঝেই বিভোর থাকে। ডানপিটে ছেলেরা তুমুল বৃষ্টিকে অপেক্ষা করে চালিয়ে যায় তাদের দস্যুপনা। কেউবা সহপাঠীদের নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরান কলা সংলগ্ন লেকে। বিপদে পড়েন সাঁতার স্বপ্ন জানা বন্ধুরা । তাদের নিয়ে চলে তামাশা। অনেককে আবার প্রিয় জনকে সাথে একই ছাতার নিচে হেঁটে চলে দীর্ঘ পথ ধরে। ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ছাতার নিচে বসে কেউবা কাটিয়ে দেয় দীর্ঘক্ষন। কেউবা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে উপভোগ করে বাংলা বর্ষের এ সময়টা। আষাঢ় আর শ্রাবন নিয়ে বাংলার বর্ষা। কদম ফুল বা ফুল শুভাসিত করে বাতাস। আকাশে মেঘের আনাগোনা বা সারাদিন চলা বৃষ্টির রিম ঝিম শব্দে বিমহিত ভাব। নতুন কলার সামনে বা সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে অমর একুশে সংলগ্ন বা পুরান কলার চত্বরে ভিজে উল্লাসের আমেজ লক্ষনীয়। ইতিহাস বিভাগের হিমু বৃষ্টির গুন গুন গানে ঘুমাতেই পছšদ করে। আবার সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাহুল বৃষ্টির শব্দ শুনলে অনেক টা কবি সুলভ ভাবে বৃষ্টি নিয়েই চিন্তা করে। পরিসংখ্যান বিভাগের সুমিত বা মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের অমিত কিন্তু এ সময়টাকে ভিজতে নেমে যায়। সৌরভের মত গিটারিস্টরা আবার গিটার নিয়ে গানে পরিবেশ কে আরো মোহনীয় করে তোলে। অনেক আনন্দের খোরাক এ বর্ষা হলেও তা সবার জন্য আনন্দ আর খূশির নয় । যারা সারা দিন ফেরি করে বেড়ায় বা রিকসা চাপিয়ে মামা-খালাদের নির্দিষ্ট গন্তব্য পৌছে দেয় তাদের কাছে বর্ষার এ আনন্দ অনাকাংখিত। এদিনে তাদের খাবারের নিশ্চয়তা থাকেনা। কেননা অন্যান্য দিনের মত এ সময়টাতে তাদের উর্পাজন অনেক কমে যায়। তবে এদিন তারা একটু বাড়তি ভাড়া আদায় করে থাকে। সবাই সতস্ফুর্ত ভাবে দেয়ও। তবে সব কিছু ছাপিয়ে বাংলায় বর্ষার প্রভাব প্রতিপত্তি যাই বলি তার সব কিছ্ইু বিদ্যামান । যার বিমোহিত ভাব এ সবুজ ক্যাম্পাসেও বিরাজ করে ফেরে।