
পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব মাতবর বিশ্বব্যাংক তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগের ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ পাওয়ার কথা বলে বিশ্বব্যাংক গত শুক্রবার পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনও অর্থ লগ্নি করবে না বলে ঘোষণা দেয়। উল্লেখ্য যে, পদ্মা সেতু নির্মাণে ২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল।আর অন্য অর্থ যোগানদাতা এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬১ কোটি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৪০ কোটি এবং ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ১৪ কোটি ডলার ঋণ এবং বাকি অর্থের যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।
বিশ্বব্যাংক কেন আর এই প্রকল্পে অর্থ ঋণ দেবে না তার কারণটাও তারা জানিয়েছিল অনেক আগে থেকেই।দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ বিশ্বব্যাংক ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ও ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)এর কাছে দেওয়া হয়েছে বলে তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
কী আছে সেই বিবৃতিতে?
বরাবর দুর্নীতিতে শীর্ষ পর্যায়ে থাকা বাংলাদেশের সব থেকে ক্ষমতাশালী এবং সরকারের আস্থাভাজন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব আবুল হোসেন পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগ এ দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেতু পরামর্শক নিয়োগে এসএনসি-লাভালিনের কাছে মন্ত্রী সাহেবের ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে কানাডিয়ান তদন্ত দল।পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে ৪৭ মিলিয়ন ডলারের কাজ পাইয়ে দিতে এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০ শতাংশ কমিশন চাওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য তদন্তে উদ্ঘাটিত হয়।দুর্নীতিতে আবুল সাহেবের সঙ্গে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এবং পদ্মা সেতুর সাবেক প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়।

বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির যে অভিযোগ করেছে সাবেক মন্ত্রী আবুল সাহেব সব সময়ই তা প্রত্যাখান করে এসেছেন এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। মহান দুদক ও নাকি তাদের দুর্দান্ত ত্বরিত তদন্তে আবুল সাহেবের নামে কোনও দুর্নীতির লেশ মাত্র পাননি। তারা আবুলকে স্বচ্ছ ঘোষণা করেছে এবং উল্টা বিশ্বব্যাংকই মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেছে বলে আমাদের জনগণের কাছে পত্র পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক এর নিজের স্বচ্ছতা নিয়ে এবং তাদের উন্নয়নশীল দেশ গুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমে তাদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা আছে জানি, কিন্তু আমরা তো আমাদের ঘরের মানুষ ভাল করেই চিনি। কে সাধু আর কে চোর, এটা জানতে আমাদের কোনও দেশী-বিদেশী তদন্তের উপর নির্ভর করতে হয় না। এর জন্য অনুবীক্ষণ যন্ত্র এর দরকার পড়ে না। খোলা চোখেই আমরা দুর্নীতির করাল থাবা দেখতে পাই দেশের সর্বত্র।
আমরা আম-জনতা কে সত্য, কে মিথ্যা, কার স্বার্থ, কার মুনাফা নিয়ে চিন্তা করলেও সরকারের তাতে থোড়াই কেয়ার। কাজেই সেতু তৈরি নিয়ে আমরা যে অন্ধকারে ছিলাম সেই অন্ধকারেই আছি। আমরা জনতা শুধু একের পর এক তামাশা দেখছি।

নতুন তামাশা হল সরকার নাকি মালয়েশিয়ার সাথে এই সেতু নির্মাণে স্মারক চুক্তি সই করেছে। শোনা যায় যে গত ১০ এপ্রিল মালয়শিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এবং এর পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী গত ২৮ জুন চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে খসড়া প্রস্তাব দেয় মালয়শিয়া।
কিন্তূ কী আছে সেই প্রস্তাবে?
ধারনা করা যায় যে বিশ্বব্যাংক এর থেকে তারা চড়া সুদে ঋণ দেবে। স্বাভাবিক ভাবেই এতে সেতু নির্মাণে ব্যয় বেড়ে যাবে।প্রস্তাবে আর ও উল্লেখ্খ্য যে মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণ করলে ৩৯ বছর এই সেতুর মালিকানা তাদের হাতে চলে যাবে এবং টোল নির্ধারণসহ সবকিছুই থাকবে তাদের হাতে। আর সোজা হিসাবে এর মাশুল দিতে হবে দেশের জনগণকে।
সাধারণ মানুষের ভাগ্যউন্নয়নের উদ্দেশ্যে যে সেতু নির্মাণ, দেশের আপামর জনতার দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি, দুর্নীতি আর নোংরা রাজনীতির কারণে সে সেতু যদি জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়, তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। কাজেই ভয় হয়, মনে প্রশ্ন জাগে পদ্মা সেতু কী আনবে সম্ভাবনা নাকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলতে থাকা বিড়ম্বনা?
ছবি ও তথ্য সুত্র: বিডি নিউজ, প্রথম আলো ও ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত।
নীলকন্ঠ বলেছেনঃ
ধন্যবাদ জিনিয়া আপা
যদিও অভিযোগে আবুল কমিশনারের নাম বেশী উচ্চারিত হচ্ছে তবে সিক্যুয়েন্স দেখে মনে হচ্ছে কমিশনটা আবুল কমিশনার একা খেতেন না। তাই কমিশনার সাহেবকে বাঁচানোর কত রকম কী দেখলাম। সাংবাদিক এড়িয়ে যাওয়া, দুদক অফিসের বাইরে গিয়ে কারো সাথে সাক্ষাৎ।
সেতু হয়তো হবে। তাতে জনগনের কত খরচ হলো বা মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ কত হল তা নিয়ে মাথাব্যথার কী দরকার। সেতু তো তৈরী হচ্ছে। পরবর্তি নাটকটা দেখবো হয়তো নামকরণ নিয়ে।
জিনিয়া বলেছেনঃ
অনি, আমাদের নেতারা নিমকহারাম না রে। ওরা যা খায়, ওপরে নিচে সবাইকে দিয়ে খায়।তাই তো ওদের বাচাতে সবাই এমন উঠে পড়ে লাগে।
তোমার জন্য শুভকামনা।
পাগল মন বলেছেনঃ
অনেক ছোটবেলার কথা, সম্ভবত ৭৫/৭৬ সালের দিকে। আমি তখন সেভেন/এইটে পড়ি। সন্ধ্যার দিকে বের হবার জন্য বাসার নিচে যেই দাঁড়িয়েছি, পুরাতন একটি সাইকেলে করে জীর্ণ-শীর্ণ, মুখে বেদনার স্পষ্ট ছাপ নিয়ে লোকটি আমার সামনে এসে বলল, খোকা তোমাদের কি প্রাইভেট শিক্ষক লাগবে? আমার মাথা নাড়া দেখে উনি বললেন, তোমাদের এই বিল্ডিঙে কারো লাগবে, বলতে পার? আমি বললাম, তাতো জানি না, সম্ভবত না। লাগলেও, এইভাবে কেউ আপনাকে রাখবে না। সেটা আমিও বুঝতে পারছি, কিন্তু একটা চাকরির আমার খুব দরকার খোকা, বলে উনি নিরবে কতক্ষণ দাড়িয়ে থেকে খুব কষ্ট করে সাইকেল চালিয়ে চলে গেলেন। লাইট পোস্টের আলোতে মুহূর্তের জন্য দেখলাম, তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
জিনিয়া, তুই বলেছিস না কিভাবে আপনি লিখেন। অসহায়, যন্ত্রণা আর বেদনায় ভরা ওই মানুষটির মুখ এখনো আমাকে তাড়িত করে। ওই মুখ, এই ষোল কোটি মানুষের মুখ। সেই হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাস আজ আমি ষোল কোটি মানুষের মুখে দেখতে পাই। বেদনায় ভরা এই বুকটি থেকে কি লিখা বের হয় আমি নিজেও জানি না। এই মানুষের মুখগুলি আমাকে পরিচালিত করে সঠিক পথে, আমাকে বিচ্যুত হতে দেয়না সোজা পথ থেকে। এই মাটি আর মানুষগুলো আমার কাছে বড়, আমার জীবনের থেকে, আমার স্বার্থ থেকে।
তুই যাদের কথা বলেছিস, তারা সেই মুখের দেখা পায়নি রে!! কাজেই তাদের কাছে তারা অনেক বড়, এই মাটি থেকে।
জিনিয়া বলেছেনঃ
ভাইয়া, কেন যেন ওই লোকটার জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব..খুব..এজন্যই কী তুমি এভাবে লিখ?এত মমতা দিয়ে?!!!
শুভকামনা।
সৈয়দ রিয়াজ বলেছেনঃ
আসলে কার দূর্নীতির বিচার কে করে! ফোবর্স ম্যাগাজিনে বিশ্ব ব্যাংকের ব্যাপক দূর্নীতি নিয়ে রির্পোট বেরিয়েছে। সেই হিসেবে তাদের কোন নৈতিক অধিকারই নেই অন্যের দূর্নীতি নিয়ে কথা বলার। আর আমাদের সরকারের কথা তো ছেড়েই দিলাম, চারিদিকে দূর্নীতি হচ্ছে সবাই সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েও দিচ্ছে আর আমাদের সরকার কাকের মতো চোখ বন্ধ করে নিজেকে ধোয়া তুলসি পাতা মনে করছে। চিপায় পড়েছি আমরা সধারন জনগণ, বিনা।অপরাধে দুই তরফের অন্যায় অবিচারের শিকার! আরে নিজের ভালো বেকুবও বুঝে- বিশ্বব্যাংকের তিন শর্ত এমন কোন কঠিন ব্যাপার ছিল না, বরং যুক্তি সংগতই ছিল। সেই মোতাবেক কাজ করলে আজকে এই র্দূদিন আর দেখা লাগত না।
আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ জিনিয়া সুন্দর পোষ্টের জন্য। ও আরেকটা কথা আপনার লিখাগুলো যে অখাদ্য না সেটা আপনার পাঠক প্রিয়তা আর আপনার বন্ধুদের আপনার প্রতি মমতাই বলে দেয়…… 🙂 ভালো থাকবেন, শুভকামনা।
জিনিয়া বলেছেনঃ
আমাদের সরকার যদি দেশের ভাল বুঝতো তাহলে এই বাংলা আজ এমন হতনা? এরা শুধু ক্ষমতা বোঝে..টাকা বোঝে..আর কিচ্ছু বোঝে না..কিচ্ছু না।
রিয়াজ ভাই, আমার তৈরি অখাদ্য গুলো ভক্ষনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আর আমাকে ব্লগে ফিরিয়ে আনার কাতারে কিন্তু আপনিও আছেন..বুঝেছেন?
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
জিনিয়া, মালয়েশিয়ার সাথে পদ্মা সেতুর চুক্তির সুদ ৭ শতাংশের মত হবে, যেখানে বিশ্বব্যাংকের সুদ হত ০.৭৫%। পত্রিকায় এসেছে মালয়েশিয়ার চুক্তিতে আছে, তাদের সাথে বাংলাদেশ বাংলাদেশ চুক্তি করলে ২য় পদ্মা সেতু হতে পারবে না। তাদের টোলের একটা ন্যুনতম হিসাব থাকবে – যেটা না পেলে সেই টাকা সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কোন সন্দেহ নেই আমরা একটা শ্বেত হস্তী আনছি এই দেশে।
আমি বেশ কিছুদিন আগে এই সেতু নিয়ে একটা পোষ্ট লিখেছিলাম (তারিখ মিলিয়ে দেখলাম তখন তুই ব্লগে আসিসনি); তাই পোষ্টটার লিঙ্ক দিলাম – তাজমহল আর পদ্মা সেতুঃ বিপজ্জনক মিল
জিনিয়া বলেছেনঃ
তোর লিখাটি আমি আগে পড়েছিলাম অতিথি হয়ে। লিখার সময় আবছা আবছা মনে পড়ছিল.।
তুই ঠিকই ঠিক বলেছিস রে। এই শ্বেত হস্তী পোষা যে কী বিড়ম্বনা হবে তা ভবিষ্যতই বলে দেবে.।
শুভকামনা। আমি আর একটি পোস্ট লিখেছি শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে..ওখানে তোর ভাগিনার ছবি দিছি..দেখে নিস মামু।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
জিনিয়া, অত্যন্ত জরুরী এক সময়ের পোস্টটি খুব ভালো লাগলো। আমরাতো চাই যে পদ্মা সেতু জনগণের জন্য বিড়ম্বনা না হয়ে অপার সম্ভাবনার সেতু হউক, কিন্তু কেন যে আজ দূরদর্শীতার অভাবে সরকার বিশ্বব্যাঙ্ক-এর সহজ শর্ত মানতে এত সময় ক্ষেপণের পরেও কি না মালয়শিয়ার সঙ্গে কঠিন শর্তে গেলো ! তোমার কথা যেন সত্য না হয়, ভাগ্যাহত জনগণের সামনে আরেক দীর্ঘসূত্রী দুর্ভোগ যেন না হয় অনেক সাধের পদ্মা সেতু। ভালো থাকো, শুভেচ্ছা।
জিনিয়া বলেছেনঃ
আপু, শুধুমাত্র হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে এই দেশ যে কত ভুগছে, তারপর ও আমাদের রাজনীতিবিদদের হুস হয় না..হবেও না.।
তোমার জন্য শুভকামনা।
কাজী বলেছেনঃ
আমার ধারনা, এইখানে দুর্নীতির সংগা নিয়ে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়ে যাচ্ছে। কানাডাতে যেই তদন্ত হয়েছে, সেখানে লাভলিন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এবং তা প্রমাণিত। কারণ, কাউকে ঘুষ দেয়া, দিতে সম্মত হওয়া, বা ঘুষ চাওয়া সবই দুর্নীতির মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের আইনে, ঘুষ দেওয়া, সাক্ষী থাকা, পুলিশের চার্জশীট দেয়া এবং সরকারের ইচ্ছা সব মিলিয়ে দুর্নীতি। অন্যরা যেখানে দুর্নীতির ইচ্ছাকে দুর্নীতি হিসাবে ধরে, আমরা “প্রমাণ” ছাড়া ধরি না। কোন পাগলের মাঠ খারাপ হয়েছে যে কোনও “কনফার্ম চুক্তি” এবং “মবিলইজশন ফান্ড” ছাড়া একটা টাকাও ছাড়বে?
সরকারের ইচ্ছার উপর লোকমান, আমিনুল, সাগর-রুনি, এপিএস এর ড্রাইভার, ইলিয়াস এবং ড্রাইভার সব নির্ভর করে।
এই ইচ্ছাপূর্তির দেশে কী আশা করতে পারি? বিএনপি সময়ের জজ মিয়া, তাও সরকারের ইচ্ছা, আর এখন মাহফুজ এর বাচালতা সব সরকারের ইচ্ছা।
শেখ হাসিনা নির্বাচনে জয়ের পরে দুইটা কথা বলেছিল, দুইটাই যে কি রকম বেদনাদেয়ক, আমরা ছাড়া কে বুঝবে।
এক, জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে “ক্ষমতা” দায়েনাই, দিয়েছে দেশ পরিচালনার অধিকার।
দুই, রসগোল্লার মত হবে। (প্রশ্ন ছিল, মন্ত্রীসভা কেমন চিন্তা করছেন, কারা মন্ত্রী হচ্ছেন)।
এই এক পদ্মাসেতু থেকে দুটোরই উত্তর পেয়েছি, “ক্ষমতা” কাকে বলে, আর “রসগোল্লা” কি।
আর সামনে কি আসছে তাও বড় বেদনাদেয়ক, খালেদা জিয়া বললেন দুইটা পদ্মা সেতু করবেন, এবার শেখ হাসিনার পালা, বলতে হবে চারটা পদ্মা সেতু করবেন।
শেষ করি সময়ের মূল্যবান ব্যবহার কিভাবে হয়ে তার একটা উদাহরণ দিয়ে। দুদকে “কর্মকর্তার অভাব” বলে অনেক কিছু করা যাচ্ছেনা। এমনকি পদ্মা সেতুর তদন্তও সময়মত করা যাচ্ছেনা। ভালো কথা। আমাদের চাচু যখনই মহাজোটে একটা মোচড় দিলেন যে আগামী নির্বাচনে জাপা একাই যাবে, অমনি দুদকের ঘুম ভাঙলো, একুশ বছরের পুরানো দুর্নীতির মামলা জেগে উঠলো, এক “গোলাম” সাহেব বলে উঠলেন এটা কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না, সময়ের অভাবে করা যাচ্ছিল না, এখন সময় পাওয়া গেছে। এই সময়টা যদি দুদক “আবুল” সাহেবের পিছনে দিতো, সারা দুনিয়ার কাছে আজ আমাদের বেইজ্জত হতে হতো না।
জিনিয়া বলেছেনঃ
আপনি ঠিক ই বলেছেন..আজব এই দেশ!!!আজব সব কান্ড কারখানা!!!
কাজী ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ..শুভকামনা।
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
আমাদের দেশে দুর্নিতি-অনিয়ম দির্ঘ দিন থেকে বিদ্যমান, এটা হঠৎ করে সবাই ভাল হয়ে যাবে এতটা প্রত্যশা কেউ করেনা। সময়েই এসব কমে আসবে।
তবে বিশ্বব্যাঙ্কও সাধু নয়। এদের বিরুদ্ধেও অনেক আগে থেকে সেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, দুর্নিতির অভিযোগ ছিল। সামরাজ্যবাদিদের পোষা ভৃত্য বিশ্বব্যাঙ্ক-IMF তাদের ইঙ্গিতেই চলবে এটাই স্বাভাবিক। সামরাজ্যবাদিদের পোষা ভৃত্যরা ৭৪ এ খাদ্য আটকিয়ে এদেশের হাজার হাজার মানুষকে না খাইয়ে মেরে ছিল।
আলোচিত পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাঙ্ক খুব সুরুতেই তাদের পছন্দনিয় ঠিকাদার নিয়োগ করতে চেয়েছিল, এটা না হওয়াতে তারা মনে মনে ক্ষিপ্ত ছিল। যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আসল ঘটনা হয়তো আমরা কোন দিনই জানতে পারবোনা।
সম্প্রতি ফোবর্স ম্যাগাজিনে বিশ্ব ব্যাংকের অনিয়ম সেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, দুর্নিতি নিয়ে কিছু রির্পোট বেরিয়েছে। পরে হয়তো আরো কিছু জানা যাবে।
জিনিয়া বলেছেনঃ
হ্যা, জানি বিশ্বব্যাংক অবশ্যই সাধু নয়..কিন্তু আমাদের অর্থনীতির যা অবস্থা..খামাখা নিজের পায়ে কুড়াল মারার দরকার কী, তাও আবার স্বীকৃত চোরের জন্য?
কাল বৈশাখী আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
Hasan বলেছেনঃ
আমরা যেখানে প্রমানিত দুর্নিতির বিচার করতে পারি না, অন্তত গত ২৫/৩০ বৎসরে চোখে পরার মতন কোন বিচার হয় নাই, সেখানে/সেদেশে দুর্নিতির ইচ্ছা পোষন করাতেই আবুল হোসেন সাহেবের বিচার চাওয়াটা ঠিক মানায় না ৷ ১০% কমিশন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নতুন কোন ঘটনা নয় ৷ চীন বা ভারত হলে কিন্তু এটা করতে বিশ্ব ব্যাংক সাহস পেত না ৷ সামর্থ না থাকলে কোন কাজেই হাত দেওয়া ঠিক নয় ৷
জিনিয়া বলেছেনঃ
হাসান আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।শুভকামনা।
সৈয়দ মুজিবুল হক বলেছেনঃ
[ইংরেজি ও রোমান হরফে লেখা মন্তব্য মুছে ফেলা হলো। বাংলায় মন্তব্য করুন: ব্লগ টিম]
সৈয়দ মুজিবুল হক বলেছেনঃ
দেশের জন্য সবার এত রুক্ষ বেদনায় ব্লগ এর পেজ প্রতিনিয়ত নীল বর্ণ ধরণ করে! আমরা কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব যে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য কিছু করেছি???
পাগল মন বলেছেনঃ
@মুজিবুল হক, আপনার কথামত বুকে হাত দিয়ে কিছুই বলতে পারলাম না ভাই, বুকের ভিতর তো কিছুই নাই, শুধু খোলস!!
rubel বলেছেনঃ
আমরা চোরের দেশে বাস করি।
এজন্যই বলি কুরআন হোক দেশের সংবিধান
সৈয়দ মুজিবুল হক বলেছেনঃ
ভাই অভিমানী কথা কইলেন। সবাই অভিমান নিয়ে দূরে সরে গেলে দেশ ঠিক টাক মত চলবে কেন? দুর্নিতী মুক্তই বা হবে কেন?
হিন্দু দাস বলেছেনঃ
জিনিয়া আপা মেলবোর্ন থেকে নয় স্বদেশে এসে গবেষণা করুন,আপনার মত geneous দরকার এই বঙ্গদেশে,না আসতে পারলে বঙ্গদেশ কে মেলবোর্ন নিয়ে যান, আপনার মত অনেস্ট আর সুশীল বানিয়া দেন,
জিনিয়া বলেছেনঃ
হিন্দু দাস, স্বদেশে এসে অবশ্যই গবেষণা করব ভাই..আর এখন যে কাজ করছি তাও বাংলাদেশের উপর..খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে..আপনার জন্য শুভকামনা।
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
ধন্যবাদ না জানিয়ে থাকতে পারলাম না সঠিক সময়ের সঠিক একটি পোস্টের জন্য। চিন্তা করেছিলাম আপনার পরবর্তী পোস্ট খানা হবে হয়তো বা আরও কিছু টেন পার্সেণ্ট ওয়ালাদের নিয়ে কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের আপনি লিখলেন স্বাস্থ্য নিয়ে। যাই হোক, জিনিয়া আপু পদ্মা সেতু নিয়ে আপনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষুরদার লেখাটি অবশ্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিসন্দেহে। সাদুবাদ জানাই আপনাকে। সেই সাথে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি আপনার ভাইদের সহ, এই দেশে এই টেন পার্সেণ্ট কাহিনীর জনক খালেদা পুত্র জনাব তারেক রহমান, পুরাণ ঢাকার সাদেক হোসেন খোকা, নাইকো দুর্নীতি নায়ক, ময়মনসিংহর মোশারফ হোসেন, পটুয়াখালীর আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামের মীর নাসির, নাটোরের পটল সাব দের টেন পার্সেণ্ট বিষয়ে কিছু লেখার জন্য।
আরও একটা বিশেষ অনুরোধ রইল বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে কিছু লেখার জন্য। আমি আপনাকে ফোর্বস ম্যাগাজিনের কিছু লিঙ্ক দিচ্ছি বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক আমলনামা সম্মন্ধে
http://www.forbes.com/forbes/2012/0716/feature-world-bank-robert-zoellick-too-big-to-fail.html
http://www.forbes.com/forbes/2012/0716/feature-world-bank-robert-zoellick-too-big-to-fail_3.html
অনুবাদ করে কিছু লিখুন। আর দেশ প্রেমী বিএনপি-জামাতীদের পড়তে দিন। আবুল হোসেন হল এখন মরা লাশ তার গন্ধে নিজের শরীর নষ্ট করে আর লাভ নেই। জানেন তো লেবু বেশি চিপলে তিতা লাগে।
আমরা আওয়ামীলীগের চ্যালা চামুণ্ডারা (আপনার ভাষায়) সেই সব লেখা গুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ যদি কোথাও কিছু ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর বিএনপি জামাতি ভাইদের বলছি, আমার এই মন্তব্যের পড়ে হয়তো বা প্রতি মন্তব্য করে আমাকে বলবেন আওয়ামিরা তাদের দুর্নীতির কথা গুলো শুনলে এমনই মন্তব্য করে থাকে। আমি তাদের কে অত্যান্ত বিনীত ভাষায় বলছি, না ভাই মাইন্ড করি নাই আমাদের যেই সব মন্ত্রী এমপি রয়েছেন তাদের দুর্নীতির কথা বলবেন তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আপনাদের কিছু টেন পার্সেণ্ট ওয়ালাদের বিষয়ে ও কিছু বলুন।
জিনিয়া বলেছেনঃ
মির্জা,
আমার ভাই বলতে কী বোঝাতে চেয়েছ আমি জানিনা.।আর যাদের কথা উল্লেখ করেছ তাদের নিয়ে লিখতে আমার রুচিতে বাধে..বিশেষ করে খালেদা পুত্রদ্বয়..
তুমি হয়তো খেয়াল করে দেখবে আমি রাজনীতি নিয়ে লিখিনা..আমার লেখা থাকে অর্থনীতি নিয়ে..যেটা আমার ক্ষেত্র।সেটা স্বাস্থ বল আর শিক্ষা বল।তুমি এখানে কোনও দলীয় বিশ্লেষণ কর না প্লিজ.।
তোমার হয়েছে টা কী?ব্যবসা নিয়ে কী খুব বেশি ব্যস্ত?ভাল থেকো..
জিনিয়া বলেছেনঃ
মির্জা, আর একটা কথা, আমি যখন লিখি আমি নিউজ পেপার এ যা ছাপা হয় তা লিখি। এখানে আমার নিজস্ব কোনও তথ্য নাই..আর পদ্মা সেতু নিয়ে লিখলেই বিশেষ কোনও দলের হয়ে গেলাম..এমন ধারনা তোমার হল কিভাবে?
আধারের বাসিন্দা বলেছেনঃ
@সুলতান মির্জাঃ বরাবরের মতই একজন খাটি আওয়ামী চ্যালার ন্যায় মন্তব্য করলেন । দলীয় সমর্থন ভাল কিন্তু অন্ধ সমর্থন দেখতারিনা । এই জন্যই কবি বলেঃ Love Is Blind.
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
@আধারের বাসিন্দা, হা হা….কী খবর জামাতি চ্যালা ? আমি যে আওয়ামী সেটা তো আপনি এক বছর আগে থেকেই জানেন। এখন বলুন আপনি দেখার আর না দেখা দিয়ে আমার কী যাবে আর আসবে ? ঊহ কোন কবি বলেছেন এইটা নিশ্চয় কোনও জামাতি কবি ? তাই না ভাই ?
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
দেখ জিনিয়া এই খানে কে কী বলল আর না বলল তা নিয়ে আমি চিন্তা করিনা। তুমি যান সেটা এইখানে কিছু কিছু ব্লগার কে আমি সামান্যতম হলেও ব্যাক্তি গত ভাবে চিনি ও জানি, এবং তুমি হলে তার মধ্যে একজন। তুমি, জাহেদ ভাই, শিরীন আপু ও আরও দুই একজন ব্লগার রয়েছেন যাদের কে আমি কোনও দলের অনুসারী বলে মনে করি না। এখন কথাটা হলো তুমি তোমার মতামত ব্লগে প্রকাশ করবে এটা তোমার অধিকার। মন্ত্রী আবুল হোসেন দুর্নীতিবাজ নয় সেটা আমি বলব না। যারা বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতির সাথে জড়িত তারা যে দলেরই হোক না কেন দুর্নীতি করছে না বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এই কথা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না। তুমি লিখবে সবার কথা লিখবে এটাই তোমাকে বলেছি।
শুন জিনিয়া, বর্তমান সময়ে ব্লগ গুলোতে পেইড ব্লগার এর সংখ্যা বেড়ে গেছে হু হু করে। যেমন অতি সাম্প্রতিক সময়ে মাহফুজুর রহমান এর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য কিছু ব্লগার রা কাজ করে যাচ্ছে তুমি দেখ একটু খেয়াল করে তারা কোনও পোস্ট দেয় না। তারা অন্য কোনও পোস্টে মন্তব্য করবে না, কিন্তু যখন তাদের টার্গেট কৃত লেখা হবে তখন মন্তব্য করবে। ঠিক এমন ভাবে, যুদ্ধাপরাধী দের পক্ষে চলছে আরও অনেক বিষয়ে হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কথা বলছ ? আসলে জিনিয়া ব্যপারটা কী জানো, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হইসে কে বলল বিশ্ব ব্যাংক বলল। কেন বলল টা জানি না। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক বলছে এটা না হয়ে থাকতে পারেনা। দেশের সম্মান আর কিছু ই রইল না। এখন কী করি ?
জিনিয়া তুমি জানো, আমরা পৃথিবীর এমন এক জাতি আমাদের অনেক সম্পদের কম থাকতে পারে কিন্তু একটা সম্পদের কম নেই আর সেটা হলো দুর্নীতি নামক সম্পদ। যেই সম্পদের গুণে আমরা বারবার গুণান্নীত হয়ে মেডেল পর্যন্ত লাভ করেছি। এখন লাইনে আসো, উত্তর দাও পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিশ্চয় বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের প্রথম কোনও বিনিয়োগ ছিল না ? আর যদি তাই না নয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয় আগেও দুর্নীতি হয়েছে তাহলে এত দিন বিশ্বব্যাংক প্রশ্ন তোলেনি কেন ? দেখা জিনিয়া আমি বরাবর বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ বিরোধী। এই জন্য বিরোধী ব্যাখ্যা করছি, সিরিয়াতে গত একবছর ধরে গৃহ যুদ্ধ হচ্ছে, আসাদ সরকার এর পতনের জন্য। কারা করছে, সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার 4% বা 5% হবে হয়তো বা। যাই হোক আমেরিকা বা তাদের মিত্ররা বলছে সিরিয়াতে আসাদ সরকারের পতন ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। আসাদ সরকার তার নিজেকে ক্ষমতায় রাখতে তার বিদ্রোহীদের দমন করছে। আমেরিকা বা তার মিত্ররা বলছে এতে করে মানবাধিকার লঙ্গিত হচ্ছে। আবার আসাদ বিরোধীরা যখন সিরিয়াতে আসাদের লোকজনকে হত্যা করে তখন এটা হয় মানবাধিকারের পুনরুদ্ধার পশ্চিমাদের ভাষায়। এখন মোট কথা হলো সেই সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমারা হলো বিশ্বব্যাংকের হর্তা কর্তা এখন বিশ্লেষণটা তুমি করে নিও। আমাদের আবুল আর বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে কে ভাল।
সত্যি কথা বলতে আমার কিছুই হয়নি। তবে আমি তোমাকে নিয়ে চিন্তিত। কারণ কিছু পেইড ব্লগার তোমাকে ঘিরে ফেলেছে। আর এতেই আমার ভয় হচ্ছে সস্তা হাত তালি দিতে দিতে তোমাকে দিয়ে আর কী না কী করিয়ে ফেলে। পরিস্থিতিটা এমন যে তুমিও জামাতীদের নিয়ে লিখতে পারো। জামাতীদের মুক্তি চাই দিতে হবে। এরা তোমাকে দিয়ে সেই কাজ করাবে।
ধন্যবাদ।
জিনিয়া বলেছেনঃ
মির্জা, তোমার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। কাছের বন্ধু হিসেবে আমাকে নিয়ে তোমার উদ্বিগ্নতা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পার, আমাকে দিয়ে কেউ রাজাকারদের পক্ষে কোনদিন ও লেখাতে পারবে না। আর জিনিয়া সস্তা হাত তালিতে কখনো মজে যায় না। আজকের জিনিয়া এক দিনে তৈরি হয় নি। সততা, নিষ্ঠা, মেধা আর সরলতা দিয়ে তিল তিল করে নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমি ন্যায়-অন্যায় এর মাঝে তফাত করতে জানি।
তুমি ভাল থেকো। যা হয়েছে ভুলে যাও..আমি আমরা সবাই তোমার পাশে আছি ঠিক আগের মত।
তোমার জন্য শুভকামনা।
সৈয়দ মুজিবুল হক বলেছেনঃ
সুলতান ভাই er একটু অবগতির জন্য বলছি শুধু বিশ্ববেংক না, এই পোস্ট এই আরও দুর্নীতির খবর পাবেন- সেতু পরামর্শক নিয়োগে এসএনসি-লাভালিনের কাছে মন্ত্রী সাহেবের ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে কানাডিয়ান তদন্ত দল।পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে ৪৭ মিলিয়ন ডলারের কাজ পাইয়ে দিতে এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০ শতাংশ কমিশন চাওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য তদন্তে উদ্ঘাটিত হয়
আরজ আলী মাতব্বর বলেছেনঃ
মাননীয় অর্থমন্ত্রী গতকাল জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পে প্রকৃতপক্ষে কোনো ধরনের দুর্নীতি আজ পর্যন্ত হয়নি; যদিও প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে। মাননীয় মন্ত্রী সঠিক বলেন নি। প্রকল্প এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ, ভুমি উন্নয়ন, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, গাড়ী ক্রয়, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য স্বাক্ষরিত ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক যে বিবৃতি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তিনি তা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন। তাঁর মনে হয় এটি বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য নয়। এটি বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী সভাপতি রবার্ট জোয়েলিকের ব্যক্তিগত মন্তব্য। বিশ্বব্যাংকের সভাপতির মন্তব্য যদি বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য না হয়ে থাকে তবে শেখ হাসিনার মন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের মন্তব্য হয় কি করে? এছাড়া বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত আপনাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হলেই কি বা না হলেই কি, এতে বিশ্বব্যাংকের কিছুই আসে যায় না। বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে অন্যান্য সহযোগী তহবিলদাতা প্রতিষ্ঠান যেমন এডিবি, জাইকা, ইসলামিক ডেভালপমেন্ট ব্যাংক এদের কেউই আর এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বলে মনে হয় না। বিশ্বব্যাংক যতবারই সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাংলাদেশ সরকার ততবারই তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় ঘুষের টাকাসহ হাতে নাতে ধরা না পড়া পর্যন্ত তাকে দুর্নীতি বলা যাবে না। তাই বিশ্বব্যাংক এর এই অভিযোগ কখনোই আমলে নেয়া হয়নি। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির সাথে জড়িত যেসকল ব্যক্তিদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে এর বাইরেও অনেক অজানা ব্যক্তি, নারী, পুরুষ এবং ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ও তাদের প্রবাসী আত্মীয় স্বজনরা এই কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকতে পারে। এর মধ্যে দুইজন প্রবাসী ইতোমধ্যেই কানাডিয়ান পুলিশের হাতে ধরা পরেছে। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা ‘কমার্শিয়াল এজেন্টস’কে অবৈধভাবে ৫৬ মিলিয়ন ডলার প্রদানের অপরাধে এসএনসি-লাভালিনের সিইও মিঃ বেন আইসাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। বর্তমানে সেও কারাগারে। এসএনসি-লাভালিন কর্তৃপক্ষ কোন প্রকল্পের জন্য এই ৫৬ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হয়েছে তার নামসহ এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অজ্ঞাতনামা এই ‘এজেন্টেদের’ নাম জানা গেলে রহস্যের দ্বার উম্মোচিত হতে পারে বলে অনেকের ধারনা। অবশেষে হয়তো কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়বে। এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে বিশ্বব্যাংক ও কানাডিয়ান পুলিশ কর্তৃক অর্থমন্ত্রী ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রদত্ত দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করা ও তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা। তা না করে সরকার এখন বিশ্বব্যাংকের চরিত্র হনন করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বলা হচ্ছে বিশ্বব্যাংক ধোয়া তুলসী পাতা না। তারা নিজেরাই দুর্নীতিবাজ। তাদের কাজে স্বচ্ছতা নেই ইত্যাদি। তাই যদি হয় তা’হলে তাদের কাছে ঋণ চাওয়া হয়েছিল কেন? দুর্নীতির তথ্য সর্বপ্রথম কানাডিয়ান পুলিশ উদ্ঘাটন করেছে। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জড়িত। সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। শুনেছি বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের একজন বিকল্প পরিচালক কর্মরত রয়েছেন। তার নাম কাজী আমিন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রশাসনের নাটের গুরু ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বসে তিনি অনেক অপকর্ম করেছেন। প্রশাসনের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। অবশেষে আওয়ামীলীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে বিশ্বব্যাংকের এই লোভনীয় পদটি জোগাড় করেছেন। তিনি এখন ওয়াশিংটনে বসে বসে কি করছেন? এ ক্ষেত্রে তার কি কোন দায় দায়িত্ব নেই? বর্তমান যোগাযোগ মন্ত্রীকে মন্ত্রণালয় চালানোর কজে অদক্ষ ও আনাড়ি বলে মনে হয়। এই সেতু নির্মাণের জন্য তিনি কখনো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ, কখনো বু-বট পদ্ধতির কথা বলেছেন। মাঝে মাঝেই সাংবাদিকদের ডেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য একাধিক দেশের প্রস্তাব তার কাছে আছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এক পর্যায় তিনি মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করে ফেলেন। এই লোকটার জন্যই বিশ্বব্যাংক তাড়াহুড়া করে ঋণ চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। এই মন্ত্রী বারংবার ‘বিশ্বব্যাংকের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবো’ ইত্যাদি কথা বলে বিশ্বব্যাংককে উত্যক্ত করে তুলেছিলেন। তিনি একটা গ্রাম্য কূটচাল চেলেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার এসব নাটক দেখে বিশ্বব্যাংক ভয় পেয়ে যাবে আর টাকার বস্তা নিয়ে তার কাছে ছুটে আসবে। যখন সত্যি সত্যি বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি বাতিল করে দিল তখন তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন এই ঘটনা বিনা মেঘে বজ্রপাত। পরবর্তীতে বলেছেন তার কাছে চমক আছে। বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। এতে বিশ্বব্যাংকের ঋণের চেয়ে কম খরচের সম্ভাবনা রয়েছে, ইত্যাদি। কিন্তু সোমবার আবার তিনি বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন বিশ্বব্যাংক কেন এভাবে একটি দেশকে শাস্তি দেবে? এখন দেখা যাচ্ছে তিনি বিশ্বব্যাংকের টাকার আশায় বসে আছেন। বিশ্বব্যাংকের দিকে তাকিয়ে থাকলে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শুরু করবেন কি ভাবে? মাননীয় অর্থমন্ত্রীও বর্তমান অর্থবছরের মধ্যেই সেতুর কাজ শুরু করার কথা বলেছেন। তিনি বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্টের সাথে যে কোন মুহূর্তে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু গতকাল দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্তকে ‘সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির নতুন প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। এদিকে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাহেব মনে হয় আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তার কথাবার্তার মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন এটি আন্তর্জাতিক কূটকৌশল। দুদক চেয়ারম্যান ইদানীং সাংবাদিকদের ভয় পেতে শুরু করেছেন? সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়ে তিনি ঘামতে শুরু করেন? তার এতো ভয় কিসের? তাহলে, তিনি কি কোন চাপের মধ্যে আছেন? পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে কানাডিয়ান পুলিশ তার কাছে কি তথ্য দিয়ে গিয়েছে? সেটা তিনি সাংবাদিকদের কাছে গোপন করতে চেয়েছিলেন কেন? তিনি দুদক অফিসে সাংবাদিকদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন কেন? দুদকের আইন উপদেষ্টা আনিসুল হক বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক কিছু অবাস্তব দাবি জানায়—যেমন সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত থাকা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব তলব, পাসপোর্ট জব্দ ইত্যাদি। এগুলোর কোনোটাই আইনসিদ্ধ নয়।’ বিশ্বব্যাংক এসব সন্দেহভাজনদের ব্যাংক হিসাব তলব করতে বলেছিলেন কেন? তাহলে কি টাকা পয়সাও লেনদেন হয়েছিল? সন্দেহভাজনদের কে শুধু ভদ্র ভাষায় জিজ্ঞাসাবাদ করে লাভ নেই। এদেরকে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তা না হলে শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সেই মনোরম ছবিটা ছাড়া আপাততঃ জনগণের ভাগ্যে হয়তো আর কিছুই জুটবে না ।
জিনিয়া বলেছেনঃ
তথ্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
@সৈয়দ মুজিবুল হক, বিশ্ব ব্যাংক এর বানান আগে ঠিক করুন। আর কী বললেন ?
এসএনসি-লাভালিনের বিষয়ে কতটুকু জানেন ? এসএনসি-লাভালিন বিশ্ব ব্যাংকের কালো তালিকা ভুক্ত প্রতিষ্ঠান। জানেন সেটা ? বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ সরকার কে আগেই সতর্ক করেছিল এসএনসি-লাভালিন কে যেন পদ্মা সেতু তে যুক্ত করা না হয়। এর যৌক্তিক কারণ ছিল এসএনসি-লাভালিন বিশ্ব ব্যাংকের সমালোচক দীর্ঘ দিনের। আমি বাংলাদেশ সরকার কে দুধে ধোয়া তুলসী বলছি না। কিন্তু পদ্মা সেতু তে বিশ্বব্যাংক যে বিনিয়োগ করবে না সেটা তারা অনানুষ্ঠানিক ভাবে গত এক বছর পূর্বেই বলেছিল। হয়তো বা সরকার এত দিন চেষ্টা করেছিল রাজি করাতে। কিন্তু ব্যার্থ হয়েছে ড.ইউনুসের কারণে। যাই হোক, বিষয়টি তদন্তনাধীন ছিল, কিন্তু শেষ ছিল না। আমি আবারো বলছি আবুল হোসেন দুর্নীতি করে নাই সেটা বলব না। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক যা করে দেখাল তা অনৈতিক।
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
জিনিয়া আপনার এই পোস্টে আবার যদি মন্তব্য না করতে হতো তাহলে বেশ ভাল লাগতো আমার। কিন্তু নিচের এক মন্তব্য কারীর মন্তব্য আমাকে উদ্দেশ্য করে তার প্রতিউত্তর দিতে আবার এই পোস্টে আসলাম।
একটা কথা মনে রাকবেন, এই ব্লগে আপনি আর জাহেদ ছিলেন আমার খুব কাছের ব্লগার, একজন চিহ্নিত পাকি প্রেমির জন্য আপনারা যা বললেন আমাকে উদ্দেশ্য করে যা মেনে নিতে পারব না কোনও দিন। আর আপনার পোস্টে এই মন্তব্য লেখার পূর্বে যদি সেই গঠনা তা গঠতো তাহলে এই ধরনের মন্তব্য করতাম না। যাই হোক, আপনি যখন আমার পাশে ছিলেন, জাহেদ যখন ছিল না তখন কিন্তু আমি থেমে থাকি নাই। ইনশাল্লাহ এখনো তার ব্যত্যয় গঠবে না। তাছাড়া অন্য ব্লগার কে কী বলল তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল না আমার আমি অপেক্ষা করেছিলাম আপনারা কে কী বলেন সেটার উপর। আর আপনাদের মন্তব্য দেখে আমি রীতিমতো হতাশ হয়েছি। এই ভেবে যে এটা তো শুধু মাত্র ভার্চুয়াল সম্পর্ক। আর সব হলো ভন্ডামি। এই যদি হয় বিচার আর বিবেক তাহলে আর কিছু বলার নেই।
বিডি ব্লগে আমি হামলা করেছি, আপনাদের মন্তব্যে সেটা প্রতিফলিত হয়েছে।
এখন আপনি জিনিয়া আর জাহেদ গিয়ে দুশ্চিন্তা নামে মামলা দিন প্রমাণ করুন। এই হলো আপনাদের দুইজনের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ।
সৈকত ইকবাল বলেছেনঃ
ভালো পোস্ট । ধন্যবাদ জিনিয়াকে।
এদেশের হালুয়া রুটির রাজনৈতিক দলগুলো শুধু পদ্মা সেতু নয়, আরো অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের নামে লুটপাটের নিদশর্ন অতীতে রেখেছে, ভবিষ্যতে রাখবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান মেরুদন্ডহীন দূনির্বাজদের প্রশ্রয় কিন্তু একটু বেশিই দেয়। এখানে ঘটনা আরো কিছুটা বিস্তৃত মনে হয়।
এখন প্রশ্নটা হলো, একেকটা ঘটা ঘটবে আর আমারা কেবল চা’এর টেবিলে ঝড় তুলে যাবো? কিছুই কী করার নেই???
জিনিয়া বলেছেনঃ
সৈকত আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা শুধু চায়ের কাপে ঝড় তুলব না..দেখবেন একদিন অবশ্যই কিছু করব। আমি আশাবাদী। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
সৈকত ইকবাল বলেছেনঃ
ধন্যবাদ জিনিয়া। চরম নৈরাজ্য ও নৈরাশ্যের মধ্যে আশাবাদই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা।