আমাদের মত কর্মজীবী মায়েদের এছাড়া কোনও গতি নেই। আমার ছেলে জাইম এখানে সকাল ১০.৩০ টা থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত থাকে। বিশাল এরিয়া নিয়ে তৈরি। বেচারা সারাদিন দৌড়ঝাপ করে ৮.৩০ টায় ঘুম… 🙂 🙂 ..শুভকামনা।
ডে কেয়ার সেন্টারে বেড়ে উঠা বাচ্চাগুলোর জন্য আমার খুব করুনা হয়। আমার সাড়ে সাত বছর আর আড়াই বছরের ছেলে দু’টি কিছুক্ষন মা-বাবাকে দেখতে না পেলেই অস্থির হয়ে উঠে। যেখানেই থাকি অন্ততঃ প্রতি দুই ঘন্টা পরপর ওদের সাথে ফোনে কথা বলতে হয়। আর যে বাচ্চাগুলো সারাদিন মা-বাবার সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত তাদের স্বাভাবিক বেড়ে উঠা ব্যাহত হয় কি না আমার জানা নেই। তবে ওরা যে কষ্ট পায় তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। সম্ভবতঃ এই কষ্টের প্রতিশোধ নিতেই বুড়ো মা-বাপকে ওরা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে এক সময়।
আমার বৃদ্ধা মা তাঁর দুই নাতিকে নিয়ে যে আনন্দময় সময় কাটান সেটির কোন তুলনা আমি খুঁজে পাইনা।
মাহি ভাই, ডে কেয়ার নিয়ে আপনার ধারনা সঠিক না..তবে এটা ঠিক জাইমকে যখন আমি প্রথমে দেড় বছরে এখানে আনি তখন মাত্র ২ ঘণ্টা করে দিতাম..নিজের কাছেই বেশি রাখতাম..ও যখন ৪ এ পড়ল তখন ৫ ঘণ্টা দিতে শুরু করি..অনেকটা বাংলাদেশের স্কুল এর মত..কারণ এখানে ৬ এ না পড়লে আসল স্কুল এ দেয়া যায় না.।
এখানে আমার বাচ্চা খেলার ছলে যা শিখেছে, আমি বাসায় সারাদিন রেখেও শেখাতে পারতাম কী না সন্দেহ..আমি পড়াশুনার কথা শুধু বলছি না..ম্যানার শিখেছে..সত্যবাদী হতে শিখেছে..মানুষকে যে কখনো মিথ্যা বলতে হয় না..কষ্ট দিতে হয় না..এই শিক্ষাও পেয়েছে..এমনকি অন্যের ধর্ম কে যে শ্রদ্ধা করতে হয় এটাও জেনেছে.।কখনো সময় পেলে ডে কেয়ার নিয়ে আপনাদের ভ্রান্ত ধারনা ভেঙে দেয়ার জন্য পোস্ট লিখব.।
সত্যি ডে-কেয়ার সম্পর্কে আমার ধারনা ছিল ভিন্ন রকম। আসলে আমরা অনেক সময় না জেনে, না বুঝেই বাজে মন্তব্য করে ফেলি। আমার ভূল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার বর্ণনা অনুসারে ডে-কেয়ার সেন্টার আসলে চমৎকার এক বিদ্যাপীঠ। এমন ডে-কেয়ার সেন্টার আমাদের দেশেও চাই। এ নিয়ে আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
জাইমের জন্যও রইল অনেক আদর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হাসান মসফিক বলেছেনঃ
এদ্দিন, ডেকেয়ার সেন্টার’র নাম শুনেছি! আজ, ছবি দেখে আন্দাজের সুযোগ হল । ধন্যবাদ।
জিনিয়া বলেছেনঃ
আমাদের মত কর্মজীবী মায়েদের এছাড়া কোনও গতি নেই। আমার ছেলে জাইম এখানে সকাল ১০.৩০ টা থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত থাকে। বিশাল এরিয়া নিয়ে তৈরি। বেচারা সারাদিন দৌড়ঝাপ করে ৮.৩০ টায় ঘুম… 🙂 🙂 ..শুভকামনা।
মাহি জামান বলেছেনঃ
ডে কেয়ার সেন্টারে বেড়ে উঠা বাচ্চাগুলোর জন্য আমার খুব করুনা হয়। আমার সাড়ে সাত বছর আর আড়াই বছরের ছেলে দু’টি কিছুক্ষন মা-বাবাকে দেখতে না পেলেই অস্থির হয়ে উঠে। যেখানেই থাকি অন্ততঃ প্রতি দুই ঘন্টা পরপর ওদের সাথে ফোনে কথা বলতে হয়। আর যে বাচ্চাগুলো সারাদিন মা-বাবার সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত তাদের স্বাভাবিক বেড়ে উঠা ব্যাহত হয় কি না আমার জানা নেই। তবে ওরা যে কষ্ট পায় তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। সম্ভবতঃ এই কষ্টের প্রতিশোধ নিতেই বুড়ো মা-বাপকে ওরা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে এক সময়।
আমার বৃদ্ধা মা তাঁর দুই নাতিকে নিয়ে যে আনন্দময় সময় কাটান সেটির কোন তুলনা আমি খুঁজে পাইনা।
জিনিয়া বলেছেনঃ
মাহি ভাই, ডে কেয়ার নিয়ে আপনার ধারনা সঠিক না..তবে এটা ঠিক জাইমকে যখন আমি প্রথমে দেড় বছরে এখানে আনি তখন মাত্র ২ ঘণ্টা করে দিতাম..নিজের কাছেই বেশি রাখতাম..ও যখন ৪ এ পড়ল তখন ৫ ঘণ্টা দিতে শুরু করি..অনেকটা বাংলাদেশের স্কুল এর মত..কারণ এখানে ৬ এ না পড়লে আসল স্কুল এ দেয়া যায় না.।
এখানে আমার বাচ্চা খেলার ছলে যা শিখেছে, আমি বাসায় সারাদিন রেখেও শেখাতে পারতাম কী না সন্দেহ..আমি পড়াশুনার কথা শুধু বলছি না..ম্যানার শিখেছে..সত্যবাদী হতে শিখেছে..মানুষকে যে কখনো মিথ্যা বলতে হয় না..কষ্ট দিতে হয় না..এই শিক্ষাও পেয়েছে..এমনকি অন্যের ধর্ম কে যে শ্রদ্ধা করতে হয় এটাও জেনেছে.।কখনো সময় পেলে ডে কেয়ার নিয়ে আপনাদের ভ্রান্ত ধারনা ভেঙে দেয়ার জন্য পোস্ট লিখব.।
আপনার ছেলেদের আদর আর মা কে আমার সালাম জানাবেন।
মাহি জামান বলেছেনঃ
সত্যি ডে-কেয়ার সম্পর্কে আমার ধারনা ছিল ভিন্ন রকম। আসলে আমরা অনেক সময় না জেনে, না বুঝেই বাজে মন্তব্য করে ফেলি। আমার ভূল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার বর্ণনা অনুসারে ডে-কেয়ার সেন্টার আসলে চমৎকার এক বিদ্যাপীঠ। এমন ডে-কেয়ার সেন্টার আমাদের দেশেও চাই। এ নিয়ে আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
জাইমের জন্যও রইল অনেক আদর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।