
গত ১০ ডিসেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে। ১১ ডিসেম্বর তাদের পূর্ব ঘোষিত হরতালের আগের দিন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতারের কারণ হিসেবে জানা যায় যে, রোববারের (৯ ডিসেম্বর) অবরোধে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ৩৮টি মামলা করা হয়েছে (সুত্র: বিডি নিউজ ২৪, ১১ ডিসেম্বর)। তার মধ্যে বাছাই করা ২টি মামলায নাকি তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার একটির বাদী আমাদের চৌকশ পুলিশবাহিনী এবং অন্যটির বাদি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক গাড়িচালক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী চলুন দেখি,
অবরোধের দিন সকাল ৭টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে দুইশ’ নেতাকর্মী সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
পল্টন থানায় সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির ড্রাইভার আইনাল এর করা মামলায় ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্ন হল এই গরীব খেটে খাওয়া ড্রাইভারের উপর বন্দুক রেখে কেন রাজনীতির নোংরা খেলা খেলতে হবে? ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য কী হোমরা চোমরা দলীয় নেতার অভাব ছিল? তারা কেন এর দায়ভার নিল না?এসব হাস্যকর মামলা করে সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে? এইসব আইনালের কী আদৌ কোনও ভূমিকা আছে রাজনীতিতে? কেউ কী একবারও ভেবে দেখেছে এই আইনাল ড্রাইভারের কী হবে পরবর্তীতে? বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যে এই ড্রাইভার খুন হবে না, এর গ্যারান্টি কী কেউ দিতে পারবে? কিংবা যে পুলিশ সরকারী চাপে মামলা করেছে, তার যে কী হাল হবে তা কিন্তু আমরা ম্যাংগো জনগণ ভবিষ্যত দ্রষ্টা না হয়েও দিব্য চোখে দেখে নিতে পারি.. ক্ষমতার পালাবদলে অতীতেও দেখেছি এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ!!
এবার শুনুন আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মিয়ার কথা,
“সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার মতো একটি তুচ্ছ ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য।
সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ির কিন্তু কোনও দাম নাই..পুড়ে গেলেই কী না পুড়ে গেলেই বা কী!! এটা কী আর কোনও দূতাবাসের গাড়ি নাকি যে আমলে নিতে হবে!!! এক রফিকুলের এই বাণী কিন্তু সমগ্র রাজনীতির চালচিত্র অনায়াসে বুঝিয়ে দেয়..এখানে দেশ, দেশের সম্পদের ক্ষয় ক্ষতি, দেশের মানুষের অসুবিধা কিন্তু বড় কথা নয়..এসব যেন কোনও ব্যাপার না। ক্ষমতার মসনদে বসাই সবার প্রধান লক্ষ্য!!!কারণ এরা আমাদের পরম শুভকাঙ্খি!! হায় রে রাজনীতি।
এদিকে, ফখরুল গ্রেফতার হয়ে কিন্তু বিএনপি যে মন খারাপ করেছে তা কিন্তু নয়..বরং মনে মনে সরকারকে যে কতবার থ্যাংকস দিয়েছে তা অনুমান করে নিতে কষ্ট হয়না মোটেও। আর গ্রেফতারের সময় ফখরুলের হাসিমাখা চেহারা দেখেই বোঝা যায় রাজনীতির কূটচাল সফল হবার আনন্দে তিনি ঝলমল করছেন!! কারণ ফখরুল গ্রেফতারে পরপরই এরা পেয়ে যায় আলাদীনের চেরাগের মত হরতাল করার কাঙ্খিত ইস্যু..এখন খালি ঘষা দাও..আর হরতাল কর..আর ফখরুল ওখানে কারাগারে ভিভিআইপি রুমে বসে রেস্ট নিক!!
বিরোধীদল থেকে ইতোমধ্যেই মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতারের পর তার মুক্তির দাবিতে লাগাতার হরতালের ভয়াবহ কর্মসূচির হুমকি দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে একের পর এক হরতাল এর ভোগান্তি ভুগতে হবে জনগণকে। প্রশ্ন হল কেন তাহলে ফখরুলকে গ্রেফতার করে বিরোধী দলকে এসব হরতাল করার সুযোগ দিচ্ছে সরকারী দল? উদ্দেশ্য কী? এই যে মাঝখান থেকে সরকারী দলের হাতে বিশ্বজিত খুন হল এতে সরকারী দলের ক্ষতি বই লাভ তো কিছু হল না।
সংক্ষেপে তাহলে এখন চলুন কস্ট-বেনিফিট এনালাইসিস করে নেই।
ফখরুলের জন্য বিরোধীদলের লাভ:
১। হরতাল করার আরও সুযোগ।
২। মওকামত বিশ্বজিতের মত আরও লাশ।
৩। দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘবদ্ধতা আনয়ন
৪। নিজেদের শক্তি প্রমাণের মহড়া
৫। সরকারী দলকে বেকায়দায় ফেলার বহুল কাঙ্খিত সুবর্ণ সুযোগ সন্ধান।
ফখরুলের জন্য সরকারী দলের ক্ষতি:
১। বিশ্বজিতের মত বেকায়দায় ফেলা লাশ
২। নিজের দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের বহিষ্কৃত ঘোষণা করে দলীয় শক্তি হ্রাস
৩। মিডিয়ার সহানুভূতি হ্রাস
৪। বিদেশী সাহায্যদাতার কাছে জবাবদিহি
৫। ফখরুলকে বসায় বসায় মেহমানের মত পোলাও, কোরমা খাওয়ায মেহমানদারি.
কস্ট-বেনিফিট এই এনালাইসিস পাঠকদের জন্য ওপেন..যে কেউ হিসাবে যোগ দিতে পারেন..দেখা যাক কার কেমন লাভ-ক্ষতি হয়।
*****
তথ্য ও ছবি সুত্র: বিডি নিউজ ২৪, এর ৯, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর, ২০১২ এবং গুগল ইমেজ।
প্রবাসী বলেছেনঃ
আপু, ওদের কে কী পেল, কার কী গেল তা না দেখে আমাদের যারা পেটের দায়ে কাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে না বেরুলে ডাল ভাত মিলবেনা তারা যেন কাজ শেষে সহিসলামতে ঘরে ফিরতে পারে আস সেই দোয়া করি। আর কাউকেই যেন ওদের হিংস্রতার স্বীকার না হতে হয়।
ওই দুই পাতা-পোতার মাঝ থেকে আমাদের যদি একটু মুক্তি মিলতো, যদি মুক্তি পেতাম। আর কিছু চাওয়ার ছিল না। এই মুক্তিটুকুই শুধু চাই।
জিনিয়া বলেছেনঃ
ভাইজান, একদম মনের কথা কইছ..এদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর লোভ এর হাত থেকে আমাদের মুক্তি যে কবে মিলবে!!
বিন্দুবিসর্গ বলেছেনঃ
শুধু দলীয় লাভ-ক্ষতির হিসেব দিলেন? দেশের লাভ-ক্ষতির হিসেব কই?
জিনিয়া বলেছেনঃ
বিসর্গ, রাজাদের ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব সবার আগে..আমাদের ম্যাংগো জনতার হিসাব আবার কী? আমাদের কোনও দাম আছে নি? আমাদের কোনও কিছু থাকলে না হিসাব..এখন যার দিন আনি দিন খাই অবস্থা..তার আবার ইনকাম ট্যাক্স কী? আমরা হইলাম সেই দিন-আনি দিন-খাই পাবলিক.।
তাও যখন বল্লা., দেখি হরতালে সকলের লাভ-ক্ষতি নিয়া একটা স্যাটয়ার লিখব ভাবছি..অর্থনীতির ভাষায় “নেগেটিভ-পজিটিভ এক্সটারনালীটি”..অপেক্ষায় থাকো.।
শুভকামনা।
সত্য কথক বলেছেনঃ
হেই জিনিয়াপু,
এইডা কি করলা। ৫। ফখরুলকে বসায় বসায় মেহমানের মত পোলাও, কোরমা খাওয়ায মেহমানদারি.
দারুণ মজা পাইলাম।
জিনিয়া বলেছেনঃ
😀 😀 😀 😀
Hossain বলেছেনঃ
রাজনীতির কস্ট-বেনিফিট এনালাইসিসে ফখরুল গ্রেফতারে অাপনি “বিরোধীদলের লাভ এবং সরকারী দলের ক্ষতি” -র হিসাব কষেছেন কিন্তু বিরোধীদলের ক্ষতি এবং সরকারী দলের লাভ এর হিসাব দেননি।
জিনিয়া বলেছেনঃ
হোসেইন ভাই, অনেক মাথা খাটিয়েও সরকারিদলের কোনও লাভ আর বিরোধীদলের কোনও ক্ষতি খুঁজে পেলাম না.. 😥 😥 ..জানা থাকলে মন্তব্যের ঘরে লিখে দিন..আমি পোস্টে যুক্ত করে দেব.।
শুভকামনা।
বোতল বাবা বলেছেনঃ
বড় আপু বিরোধী দলের লাভ বলছ! বিরোধীদলের যে কত মন:কষ্ট এই সরকারের আমলে, এই ব্যাথা কি আর বিরোধীদল ছাড়া কেউ বুঝবে! বেচারারা কিছুই করতে পারে নি। আর জামায়াতকে যে কাজ করা হয়েছে, একটু সুতা ছাড়া হয়েছে।
বড় আপু , রাজনীতি অনেক অনেক জটিল , অনেক অনেক গিরিঙ্গি।
আপু ভালো থেক !!!
জিনিয়া বলেছেনঃ
আরে আমি তো এই ব্লগের এনালাইসিস ওপেন রাখছি..সবাই মিলে চল এদের লাভ ক্ষতির হিসাব করি.।
আসলেই রাজনীতির খেলা অনেক গিরিঙ্গী..এই জিলাপির প্যাচে যে পড়ছে সেই আটকে গ্যাছে।
শুভকামনা তোমাকে বাবুই।
বিডি০৮ বলেছেনঃ
…ফখরুল সাহেব ডিসেম্বরে হরতাল দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে চাইছেন …তাই তার শাস্তি হওয়া উচিত …?
জিনিয়া বলেছেনঃ
হুম..কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত..তাইনা? তা কোন মামলায় শাস্তি হবে? মামলা কে করবে?ড্রাইভার আইনাল? শাস্তি দেবে কোন বিচারপতি?
ভাল কথা এত দিন কই ছিলেন আপনি? অনেকদিন পর আপনাকে দেখছি.।
শুভকামনা।
অতুল বলেছেনঃ
এই লিংকটি ব্যাখ্যা করার মতো সাহস আপনার কলমের কি আছে?
জানেন তো, পুঁথিপত্র ও এখন প্রমান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এড়িয়ে যাবেন না নিশ্চয়।
জিনিয়া বলেছেনঃ
অতুল, আপনার লিঙ্ক ব্যাখ্যা করার জন্য আবার বাড়তি সাহস লাগে নাকি? রাজনীতির নোংরা খেলা কেমন হয় তা কী আমরা জানিনা? এত জানা কথা..জজ মিয়া সিনড্রোম তো রাজনীতিতে এখন ওপেন সিক্রেট। এই দুই দলের পায়ের ফুটবল হওয়া থেকে মুক্তি চাই..সাহসের প্রমাণ কী আরও লাগবে?
শুভকামনা।
মামুনর রশীদ বলেছেনঃ
হরতালে সরকারী দলের লাভ:
১। মানুস মেরে নিজেদের শক্তি দেখানো। বরো নেটা হবার সুযোগ।
২। লাশটা কি বিএনপি র কেউ ফেলেছে? আসলে আমাদের একটা সভাব হচছে নিজেদের মত করে সবাইকে মাপি, এটা কারো কারো সভাব হতে পারে। খুনিদের সবাই চেনে, কারো ঘারে চাপানোর সুযোগ নেই।
৩। দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘবদ্ধতা আনয়ন
এত বুঝেন, নেতাদের আগে বলেননি কেন?
৪। নিজেদের শক্তি প্রমাণের মহড়া
এটা আমলিগের সভাব। বিপরিতটা লিখে ফেলেছেন।
৫। সরকারী দলকে বেকায়দায় ফেলার বহুল কাঙ্খিত সুবর্ণ সুযোগ সন্ধান।
**অপরা্ডি নিজের অজানতেই কিছু ভুল করে,তারাএটাই করেছে। গায়ে শয়তান লাগলে যা হয়।
জিনিয়া বলেছেনঃ
এগুলা কী সরকারী দলের লাভ নাকি মামুন ভাই? গায়ে শয়তান দুই দলের সাথে আজীবনের জন্য লেগে গেছে..মুক্তি নাই.।
শুভকামনা।
হাসান মসফিক বলেছেনঃ
বেশ সুন্দর এনালাইস করেছেন তো! এমন রাজনৈতিক মর্মভেদী লিখা লিখতে থাকুন। সবার চোখ খুলবে, একদিন।
শুভেচ্ছা।
জিনিয়া বলেছেনঃ
ধন্যবাদ। আপনার চোখ খুলেছে তো?
শুভকামনা।
মো: আশরাফ বলেছেনঃ
আপু, খুব সুন্দর বলেছেন। লাভ-লোকসান হিসাবটা এমন হবে,
বাংলাদেশের জনগনের
লাভ-লোকসান হিসাব
২০১২ সালে ফকরুল গ্রেফতারের জন্য
ডেবিট
১। লাগাতার হরতাল।
২।বিশ্বজিতের মত আরও লাশ।
৩।স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মাথা তুলে দাড়াবে।
৪।রাস্তায় গাড়ী পুড়বে।
৫।ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ থাকবে।
৬।নিয়মিত পরীক্ষা দিতেনাপেরে ছেলেমেয়েরা সেসনজটে পড়বে।
৭।জিনিসপত্রের দাম বাড়বে।
৮।বিদেশি বন্ধুরা মাতাব্বরি করবে।
৯।সকল সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা অলস সময় কাটাবে।
১০।আর একটি ২৮ অক্টোবর আসবে।
মোট ********
ক্রেডিট
১।ব্যালান্স সি ডি (লোকসান) ************
মোট ************
জিনিয়া বলেছেনঃ
আশরাফ ভাই, জনগণের লাভ-ক্ষতির হিসাব যদিও এই পোস্টের মূল লক্ষ্য না..কিন্তু আপনার এনালাইসিস ভাল হয়েছে..ধন্যবাদ। শুভকামনা।
মাহি জামান বলেছেনঃ
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন…….।
তবে একখান তথ্য আপনার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, ড্রাইভার আইনাল নাকি ঘটনার দিন ছুটিতেই ছিল। আইনালের গাড়িটি সেদিন চালাচ্ছিল অন্য একজন। আইনালের স্বাক্ষর জাল করে মামলা করা হয়েছে বলে আইনাল নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে।
সত্যিই সেলুকাস।
আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
জিনিয়া বলেছেনঃ
মাহি ভাই, আমি তো আগেই জানি আইনাল মিয়ার খবর..কিন্তু তারপরও কী বেচারা রাজনীতির রোষানল থেকে বাচবে? কী দরকার এদের দিয়ে এইসব নাটক করার? মামলায় যদি করবি, তো নেতা গোছের কাউরে দিয়া করা..এটা তো জানি রাজনীতির ময়দানের বাইরে এই দুই দলের নেতারা কেউ কারও বেয়াই, শ্বশুর বা জামাই।
শুভকামনা।
বাংগাল বলেছেনঃ
ম্যাডাম জিনিয়া , ছবিতে ফখরুল মাস্টরের আকর্ণ বিস্তৃত হাসি আর বডি ল্যাংগুয়েজ বলে দিচ্ছে , সে যেটা চেয়েছিল তার পুরোটাই পেয়েছে , অর্থাত্ পুরোটাই লাভ ,লোকসানের ঘরে শূন্য ।
জিনিয়া বলেছেনঃ
প্রিয় বড় ভাই, আমিও তাই পোস্টে লিখেছি..হাসি দেখে তো মনে হয় ধরা খেয়ে ফখরুল মিয়া আনন্দে ঝলমল করছে..বেচারার উপর ধকল গেছিল..এখন আরামে রেস্ট নিতে পারবে কয়দিন..আমিও মাথা খাটায় ফখরুলরে গ্রেফতারে সরকারী দলের কোনও লাভ পাইলাম না..
বাবু বলেছেনঃ
ফখরুলকে যেদিন গ্রেফতার করল, সেইদিন সকালে সরকারি একনিশঠ সমর্থকরা রাস্তায় মানব সন্তান কুপিয়ে মা্রল, কোনও গ্রেফতার নাই, কোনও অনুশোচনাও নাই। কেমন দেশের কেমন মানুষ? আসলে এরা মানুষের আবরণে, নাহ পশুও না, তার চেয়েও অধম। হায়েনারাও হায়েনা মারে না, পছন্দ না হলে তারিয়ে দেয়। ২০১২ র আগে, সালাম তালুকদার, জিল্লুর রহমান, মান্নান চৌধুরী, জলিল সাহেব কেউ কোনও রাজনৈতিক সরকারের সময়, কর্মসূচি পালনের জন্য গ্রেফতার হন নি। আজকে ফখরুল সাহেব গ্রেফতার হলেন, বা, আ, ল সমর্থক যারা বগল বাজাচ্ছেন, তাদের এই আকর্ণ হাসি বেশি দিন থাকবে না। প্রাক্রিতিক নিয়ম। কসট-বেনেফিট আনালাইসিস, সিরিয়াসলি? আজকাল কি সেবন করছেন?
জিনিয়া বলেছেনঃ
বাবু, এটা তো সরকারী আর বিরোধীর কস্ট-বেনিফিট..শুধু সুবিধামত নামটা বসায় নিবেন..ব্যাস ঝামেলা খতম।
ব্ল্যাক কফি ছাড়া তো জীবনে কিছু সেবন করি নাই ভাই..তো আগে কী অন্য কিছু সেবন করতাম নাকি!!! 😯 😎
শুভকামনা।
জুলফিকার জুবায়ের বলেছেনঃ
জিনিয়া আপু
কেমন আছেন? হরতালের দিনগুলো আবার ফিরে এসেছে।
আপনার ম্যাংগো পাবলিক টার্মিনোলোজিটা আমাকে ভাবায়। সরকার পক্ষ ও বিরোধী দল তাদের মনের খুশি অনুযায়ী জনগণকে নিয়ে উদাসী খেলায় মেতে থাকে। খেলাটা মূলত ফুটবল খেলা। গোলপোষ্ট দু’টি। এক-ই মাপের, এক-ই আয়তনের, এক-ই উচ্চতার। ফলে গোল যতই হোক ব্যাবধান একই থাকে। আপনি কি একটু বলবেন, এই পাবলিক যখন দু’পক্ষের পায়ের আঘাতে জুসে রূপান্তরিত হবে তখন কি সে ম্যাংগো জুসই থাকবে না-কি কমলা রঙের অরেঞ্জ জুসে রূপান্তরিত হবে?
আপনার সাব্জেক্ট অর্থনীতি, রাজনীতি আপনার আওতাবহির্ভূত; তার পরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শটা চাইলাম কারণ আমি জানি বিষয়টার উপর আপনার দখল আছে।
জিনিয়া বলেছেনঃ
জুবায়ের ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা ম্যাংগো পাবলিক এদের পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে যে জুস বের হয়, তার রঙ সব সময়ই লাল, এর অন্য কোনও রঙ নেই। আর এই লাল রঙের সেই জুস ওনাদের আবার অনেক প্রিয়..জুস বের হয়ে যাবার পর ম্যাংগো পাবলিকের আঁটি (দেহ) মাটিতে গড়াগড়ি খায়..আর আমে-দুধে দুদলে মিলে যায়!!!
না রে ভাই, আমার জ্ঞান খুবই সীমিত..প্রতিনিয়ত সব কিছুই শিখছি সবার কাছ থেকে.।
অনেক অনেক শুভকামনা।
পথহারা সৈকত বলেছেনঃ
সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার মতো একটি তুচ্ছ ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য।……………………..ঠিক…
জিনিয়া বলেছেনঃ
ধন্যবাদ। শুভকামনা।
শাহ আবদালী বলেছেনঃ
একজন মানুষ মরলে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হতে দেখেছি অনেকবার। সেখানে সিটি করঃ এর একটা গাড়ির দাম ২০-২২ লাখ টাকা । সুতরাং বিশ্বজিৎ এর ঘাতকদের ধরা অপেক্ষা ফখ্রুল কে ধরাটা বেশী জরুরী । অতএব, পুলিশের কাজটা ‘ফুলিশ লাইক ‘ হয় নাই । কি বলেন ?
জিনিয়া বলেছেনঃ
হুম তাই তো দেখছি..অর্থের সাশ্রয় হইল বহুত..এইদিকটা ভেবে দেখি নাই..ভালই বলছেন আবদালী ভাই।
শুভকামনা।
শাম দত্ত বলেছেনঃ
লেখাটা ভালো লাগেনি…।। জনগনের লাভক্ষতি নিয়ে লিখলে ভালো লাগত…।বিশব জিতের খুনিদের বিচার চাই…।।
জিনিয়া বলেছেনঃ
দাদা, হরতালে কী জনগণের সত্যিকার অর্থে কোনও লাভ আছে? জনগণের কথা চিন্তা করে কী কোনও হরতাল হয়? হরতাল তো এই সব রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে করে জনগণের নাম ভাঙ্গিয়ে..এজন্যই এদের লাভ-ক্ষতির হিসাব দিলাম.।
বিশ্বজিতের খুনের বিচার চাই, সহমত।
শুভকামনা।
RUDRO MOHAMMAD ROHAN বলেছেনঃ
Bangladesh অবমেলেয়াগুয়ে যা শুর করেছ টা সঝ করা জায় না । বাকশাল আসল কারপ না । আবার খনা খনি হবে বুজ্তা পরশে ।
জিনিয়া বলেছেনঃ
রুদ্র ভাই, আপনি বাংলা কোন সফটওয়ার ব্যবহার করছেন? বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন..তা না হলে কিন্তু ব্লগ টিম এর পর থেকে মন্তব্য প্রকাশ করবে না.।
যাইহোক আপনার সাথে বাকশাল নিয়ে একমত হতে পারলাম না।
ধন্যবাদ..শুভকামনা।
কেরাইম মাসটার গোগো বলেছেনঃ
“আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মিয়ার কথা,
“সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার মতো একটি তুচ্ছ ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য।”
খুব খুশি হইতাম এই লোকের গাড়িতে আগুন জালাইলে।
জিনিয়া বলেছেনঃ
যদিও জ্বালাও পোড়াও ভাল্লাগে না, তারপরও এই তৈলবাজের উক্ত মন্তব্য দেখে আমারও তাই মনে হয়েছে। 😀 😀
শুভকামনা।
মাহবুব বলেছেনঃ
কিছুদিন আগে যখন বিশ্বজিতকে খুন করা হলো সবার চোখের সামনে, যখন সবাই ব্যস্ত ছিল শুধু ওই ঘটনাটাকে ক্যামেরা বন্দী করে জন সম্মুক্ষে তুলে ধরতে, কেউই এগিয়ে গেলনা একটা প্রাণকে রক্ষা করতে তখন মনে হয়েছিল শুধু ঐসব খুনিকে দোষ দিয়ে কি লাভ আমি নিজেওতো একই দোষে দোষী! চেয়েছিলাম কিছু একটা লিখতে নিজেদের অক্ষমতাকে ধিক্কার দিয়ে! কিন্তু আমার খুব কাছের এক ছোট ভাই বলল ভাই কি লাভ এসব লিখে! বাংলাদেশের পত্রিকায় এদেশের নেতা নেত্রীরা পড়ে কিনা সেটারই ঠিক ঠিকানা নেই, সেখানে আবার একটা ব্লগের লিখা পড়বে তারা! এত সময় কি তাদের আছে? যাদের চোখ খোলার জন্য লিখা তারাই যদি না দেখল তাহলে লিখে কি লাভ? সে আমাকে বলল আপনি পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছেন, আপনার জন্য ভালো পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে কিছু লিখুন তাতে অন্তত কিছু ছেলে মেয়ে উপকৃত হবে! কারণ নতুন প্রজন্ম নতুন কিছু শিখতে অনেক বেশি আগ্রহী! আসলেই আমরা যারা ব্লগে কিছু লিখে দেশ পরিবর্তনের কথা ভাবি তারা আসলেই অনেকটা দিবা স্বপ্ন দেখছি! কারণ, আমাদের লিখা আমরাই পড়ছি যারা আসলেই দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই বিরক্ত! কিন্তু আমাদের এই কথা গুলো কি ঐসব ক্ষমতা বাজদের কানে পৌছাচ্ছে, যারা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে দেশটাকে একটা সয়ংক্রিয় জাহান্নামে পরিনত করছে? আমার কাছে মনে হয় একটা কথাই শুধু সত্যি “পাটা পুতার ঘষার ভেতর পড়ে শুধু মরিচের জীবনই ক্ষয় হচ্ছে”. এইসব ধরা মারার নাটকে সব দলই উপকৃত হচ্ছে, শুধু আমরা আমজনতা কিছু সফল নাটকের চিত্রায়ন দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছি মাত্র!
জিনিয়া বলেছেনঃ
মাহবুব ভাই, কেন যেন ব্লগের মন্তব্যের ঘর পর্যন্ত আসতে পারছিলাম না, তাই আপনার চমত্কার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হল।
আসলে হতাশা যে কাজ করে না তা না, মাঝে মাঝে আমারও মনে হয় লেখালেখি করে কী হবে? বিশ্বজিতের ঘটনায় এতটাই শকড হয়েছিলাম যে ওকে নিয়ে কিছু লিখতে পারিনি..পেপার এ ওর মৃত্যুর জীবন্ত ছবি গুলো দেখতে হবে জন্য পেপার পর্যন্ত ওপেন করিনি।
কিন্তু তারপরও লিখে যাই নিজের দায়বদ্ধতা থেকে..অল্প কিছু মানুষ পড়বে..ওরা জানাবে অন্যদের..তারা অন্যদের..এভাবে ছড়িয়ে পড়বে গণসচেতনতা..আশা তাই জিইয়ে রাখি.।
অনেক অনেক শুভকামনা।
মাহবুব বলেছেনঃ
যাদের বাংলা লিখতে কষ্ট হয় তাদের জন্য সহজ সমাধান নিচের লিন্কটা!
মাহবুব বলেছেনঃ
যাদের বাংলা লিখতে কষ্ট হয় তাদের জন্য সহজ সমাধান এই লিন্কটা!
জিনিয়া বলেছেনঃ
আমার নিজেরই বাংলা লিখতে কষ্ট হয়..কোনও বাংলা সফটওয়ার নাই..যাক লিংকটার জন্য ধন্যবাদ.।দারুন একটা লিঙ্ক পাঠিয়েছেন তো!!
শুভকামনা।
কাজি বলেছেনঃ
নব্বই পরবরত্তি প্রতিটি সরকারকে যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি, প্রতিটি সরকার তার আগের সরকারের চেয়ে একটি কাজ বেশি মাত্রায় ও অধিক পরিমাণে করতে পেরেছে আর তা হলো বিরোধী দলের উপর নির্যাতন।
তবে বর্তমান সরকার যেভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র বাবহার করে বিরোধী সব দলের সব নেতাকে এক সাথে জেলে পুড়লো, এর পড়ে যে কী হবে ? তা আমার বুঝে আসছে না। তবে একটা জিনিস ক্লিয়ার এবার আর নেতারা কর্মীদের উপর দিয়ে বালামছিবত দূর করতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাদের সাবধান করার কারণ হলো, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যাদেরকে দিয়ে একনায়ক তন্ত্র্রিক ভাবে দেশ চালাচ্ছেন (বিরোধী দলের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন) আল্লাহ না করুক যদি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে যায় এবং তত্কালীন সরকার যদি (প্রতিশোধের জন্যে ) আওয়ামী লীগের প্রথম 44 জন নেতার নাম নির্ধারন করে (আমার মনে হয় তারা কমসেকম 88 জন নেতার নাম নির্ধারন করবে অভাগা বাংলাদেশের এটাই নীতি ) তবে আজকে আওয়ামী লীগের যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের 5-7 জনের নামও ওই লিস্টে আসবে বলে মনে হয়না।
তখন দলের ক্রান্তি লগ্নে আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাদেরই আবার এগিয়ে আসবে এবং তারাই সকল নির্যাতনের শিকার হবে।
যেমনি আমরা দেখেছিলাম 96-01 সালের সরকারের কোনও গডফাদারের কর্মকাণ্ডের জন্যে তাদের জেলে যেতে হইনি, তারা বহাল তবিয়তে বিদেশে ঘুরে বাড়িয়েছেন, আর প্রকৃত নেতাদেরকেই সকল নির্যাতন সয্য করতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সাবধান হোন এবং অন্তত ভবিষতের কথা চিন্তা করে আপনাদের নেত্রীকে বুঝান এই জেল জুলুম, নির্যাতনের রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে।
জিনিয়া বলেছেনঃ
কাজী ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। মির্জা ফখরুল ছাড়া বিএনপির আর কোন কোন বড় নেতাকে সরকার গ্রেফতার করেছে আমার জানা নেই!!
তবে প্রকৃত নেতা আদৌ রাজনৈতিক দলগুলোতে আছে কী না আমি সন্দিহান। থাকলেও তারা তেমন ফোকাসড নন। দল তাদের মূল্যায়ন করে না, দল মূল্যায়ন না করলে আমরা ম্যাংগো জনতাও তাদের মূল্যায়ন করি না!!!কাজেই প্রকৃত নেতাদের কথা দলপ্রধান শুনবেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। বরং আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে যে, যদি কেউ দলের ভালোর জন্য দলপ্রধানকে কিছু বোঝাতে চান তবে তিনি উল্টা দলপ্রধানের রোশানলে পড়েন!!!এভাবেই চলছে আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
আপনাকে শুভকামনা।
কাজি বলেছেনঃ
আপা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন এইতো কিছুদিন আগে একটি গাড়ি পড়ানো মামলায় বিরোধী দলের মির্জা ফখরুল সহ প্রথম শারিরি 22 জন নেতাকে এক সাথে জেলে পুড়ে ছিল!!!!!!!!!
জিনিয়া বলেছেনঃ
কাজী ভাই, মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। আসলে মির্জা সাহেব এত বেশি ফোকাসড এই গাড়ি পোড়ান মামলায় যে বাকি সব নেতার খবর নেয়ার টাইম বোধকরি ওদের নিজের দলেরও নেই!! আর তাইতো কে কবে জেলে ঢুকল আর বের হল মিডিয়াও এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করে না।
অনেক অনেক শুভকামনা।