প্রত্যেক মানুষের জীবনে তিনটি বিয়ে।
প্রথম বিয়ে হয় স্বর্গে, আমাদের মাবাবার। তাদের ভালবাসায় আমরা পৃথিবীতে ফুল হয়ে ফুটি।
দ্বিতীয় বিয়ে হয় পৃথিবীতে। এ বিয়ে হয় বসন্ত কালে। যার মনে যখন ভালবাসা, তার জীবনে তখন বসন্ত। প্রিয় এবং প্রেয়সী ভালবেসে তখন ধবংস হয়।
তৃতীয় বিয়েতে হয় লোকান্তর। তখন আমরা দেখা পাই জগৎস্বামীর।
প্রকৃতির সূত্র, মানুষের মন এবং জীবনের গতি বুঝতে পারার অলৌকিক ক্ষমতা হুমায়ূন আহমেদকে শরৎচন্দ্রকে অতিক্রম করতে বাধ্য করেছে, কিন্তু তা তাকে অমরত্বের পাতালপুরীতে পৌঁছে দিতে সফল হয় নি। জগৎস্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদকে করেছে নশ্বর।
হিমুশাস্ত্র মতে, একটা পৃথিবীর মূল্য যত, একটা মানুষের মূল্য তত।
হিমু-কারিগর হিমুকে দিয়েছে অমরত্ব। প্রথম হিমু চলে যাবার আগে রেখে গেছে অনেক হিমু। প্রথম হিমুর তৃতীয় বিয়েতে থাকবে সব হিমু।
জোছনা ভরা দুপুরে ভালবাসার এ বিয়েতে উপহার হিসেবে সবাই হাতে করে নিয়ে আসবে পৃথিবীর সবগুলো নীলপদ্ম।